কম প্রোটিন খাওয়ার মতো সহজ কয়েকটা অভ্যাসেই বশে ক্রিয়েটিনিন

Published by  Rukmini Mazumder                   11-11-2025

ক্রিয়েটিনিন এক প্রকার বর্জ্য পদার্থ যা পেশির ব্যবহারে উৎপন্ন হয়। অতিরিক্ত পরিমাণে প্রোটিন খেলেও ক্রিয়েটিনিন তৈরি হয়। রক্তে যদি ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা বেশি থাকে, তবে সতর্ক হতেই হবে। কারণ, ক্রিয়েটিনিন বাড়া মানেই অকেজো হচ্ছে কিডনি! গবেষণা বলছে, কয়েকটি সহজ অভ্যাসেই কমিয়ে ফেলা যায় ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা–

ক্রিয়েটিন সাপ্লিমেন্ট নেওয়া বন্ধ করুন– ক্রিয়েটিন একটি প্রাকৃতিক যৌগ যা যকৃতে তৈরি হয়। এটি পেশিতে পৌঁছে সেখানে শক্তির উৎস হিসেবে ব্যবহৃত হয়। যখন ক্রিয়েটিন শক্তির জন্য ব্যবহৃত হয়, তখন এটি ভেঙে ক্রিয়েটিনিনে পরিণত হয়, যা বিপাক প্রক্রিয়ার একটি উপজাত। অনেক ক্রীড়াবিদ দক্ষতা বাড়াতে ক্রিয়েটিন সাপ্লিমেন্ট নিয়ে থাকেন, যা বন্ধ করতে হবে।

কম প্রোটিন খান– গবেষণায় দেখা গিয়েছে, বেশি প্রোটিন খেলে ক্রিয়েটিনিন বেড়ে যায়। বিশেষ করে রান্না করা রেড মিট ক্রিয়েটিনিন-এর মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। রান্নায় ব্যবহৃত তাপ মাংসে থাকা ক্রিয়েটিন-কে ক্রিয়েটিনিন-এ পরিণত করে।

অত্যধিক মাংস না খেয়ে ডায়েটে রাখুন সবজির স্যুপ বা স্ট্যু, ডালের স্যুপ। এমনিতেই যাঁরা বেশি রেড মিট, অন্যান্য প্রোটিন যেমন দুগ্ধজাত পণ্য খুব বেশি খান, তাঁদের শরীরে ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা বেশি হয়।

বেশি ফাইবার খান– বেশি ফাইবার খান–গবেষণায় দেখা গিয়েছে, ফাইবার বেশি খেলে রক্তে ক্রিয়েটিনি-এর মাত্রা কমে। বেশি করে ফল, সবজি, দানাশস্য খান। গবেষণায় দেখা গিয়েছে,ক্রনিক কিডনির অসুখে আক্রান্ত যাঁরা, তাঁরা যদি বেশি ফাইবার খান, তাঁদের শরীরে ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা কমে যায়।

More Stories.

রান্নাঘরের ৪ উপকরণেই ঘাড় চকচক করবে, গায়েব সান-ট্যান

‘লিভার সিরোসিস’-এর আগে শরীর আর কোন ৪ ইঙ্গিত দেয়?

আঙুলের কোন লক্ষণ ক্যানসারের ইঙ্গিত দেয়?

ক্রিয়েটিনি কমাতে একেবারেই খাবেন না আলু, টম্যাটো, ক্যানড খাবার, দুগ্ধজাত খাবার, কলা, কমলালেবু, আচার, প্রক্রিয়াজাত মাংস, ব্রাউন রাইস।

সোডিয়াম কম খেতে হবে– যে-সব খাবারে অতিরিক্ত নুন রয়েছে,সেগুলি রক্তচাপ বাড়িয়ে দিতে পারে। প্রক্রিয়াজাত খাবারে উচ্চ পরিমাণে ফসফরাস ও সোডিয়াম থাকে যা কিডনির সমস্যা করে। কাজেই প্রক্রিয়াজাত খাবার এড়িয়ে চলুন

NSAID ওষুধের অতিরিক্ত ব্যবহার এড়িয়ে চলুন– অতিরিক্তওভার-দ্য-কাউন্টার পেইনকিলার যেমন নন-স্টেরয়ডাল অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি ড্রাগ (NSAID) খাওয়া ক্ষতিকর।

পড়তে ক্লিক করুন