সুভাষ চন্দ্র বসু। এই একটি নামই এক করে দেয় আপামর বাঙালিকে। সেই আবেগককেই কি কাজে লাগাতে চাইছেন নরেন্দ্র মোদি? আজাদ হিন্দ সরকারের প্রতিষ্ঠার ৭৫ বছর উদযাপনে প্রথা ভেঙে লালকেল্লায় জাতীয় পতাকা তুললেন প্রধানমন্ত্রী। টেনে আনলেন বিবেকানন্দের কথাও। বাংলার কথা ভেবেই কী এতকিছু? প্রথা ভাঙলেন নরেন্দ্র মোদি। ১৫ অগাস্ট নয়, লালকেল্লায় জাতীয় পতাকা তুললেন ২১ অক্টোবর। উপলক্ষ আজাদ হিন্দ সরকার প্রতিষ্ঠার ৭৫ বছর। ধর্মীয় মেরুকরণের ফর্মুলা বাংলায় কাজ করছে না বলেই কি বাঙালির নেতাজি আবেগকে কাজে লাগাতে চাইছেন নরেন্দ্র মোদি? বক্তৃতায় টেনে আনলেন বাঙালির আরেক আবেগ স্বামী বিবেকানন্দের কথাও ৷ সুভাষচন্দ্র ও জওহরলাল - স্বাধীনতা আন্দোলনের দুই শীর্ষনেতার সম্পর্ক নিয়ে বহু বিতর্ক। সেই বিতর্ক উস্কে দিয়ে প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্য, নেতাজি প্রাপ্য স্বীকৃতি পাননি। আক্রমণ কংগ্রেসের পরিবারতন্ত্রকে। এদিন আজাদ হিন্দ ফৌজের মিউজিয়ামেরও উদ্বোধন করেন নরেন্দ্র মোদি। বিজেপির এই উদ্যোগ সর্দার বল্লভভাই পটেল, বি আর আম্বেদকরের মতো নেতাজিকে প্রাপ্য স্বীকৃতি দেওয়ার কৃতিত্বও দাবি করলেন প্রধানমন্ত্রী। আগামী ৩১ অক্টোবর গুজরাতে বল্লভভাই প্যাটেলের স্ট্যাচু অফ ইউনিটির উদ্বোধন। বাংলায় নেতাজি আর গুজরাতে বল্লভভাই - লোকসভার প্রচারে মোদির হাতিয়ার কি তবে স্বাধীনতা আন্দোলনের দুই শীর্ষনেতাও?