শিলিগুড়ি : একুশে নির্বাচনের প্রস্তুতিপর্ব থেকে দেখা দিয়েছিল প্রবল রক্ত সংকট। রক্ত সংকট রুখতে জায়গায় জায়গায় রক্তদান শিবির আয়োজন করলেও রক্তদাতার সংখ্যা খুবই কম ছিল। ফলে সমস্যার সমাধান হয়নি। এদিকে চলল দেদার ভোট উৎসব, মানুষ মাতল দলীয় রঙে! কিন্তু হাসপাতালগুলিতে রক্তের জন্য হাহাকার পড়ে গিয়েছে। আত্মীয় স্বজনরা ছুটছে হন্যে হয়ে রক্তের সন্ধানে। কীভাবে মিটবে এই সংকট, এনিয়ে চরম বিপাকে সরকারি ব্লাড ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। গ্রীষ্মকালীন পরিস্থিতিতে ধুঁকছে ব্লাড ব্যাংকগুলি। তার জন্য বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবীগুলির তরফে রক্তদান শিবিরের আয়োজন করা হয় কিন্তু করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে কার্যত বন্ধ সব। ইচ্ছে থাকলেও যেন উপায় নেই। করোনাকালে শিবিরগুলিতে রীতিমতো শিকল পড়েছে। স্বভাবতই রক্তের অভাবে ধুঁকছে সরকারি ব্লাড ব্যাংক। একই দৃশ্য দেখা গেল উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের ব্লাড ব্যাংকে। কিন্তু বিপদের মাঝেও আশার আলো দেখা দিয়েছে। বলতে গেলে, 'গহণ অন্ধকারে' যেন আলোর কিরণ নিয়ে এসেছে শিলিগুড়ি তেরাই লায়নস ব্লাড সেন্টার। এই পরিস্থিতিতে রক্ত সংকট মেটাতে তৎপর হয়েছে বেসরকারি ব্লাড ব্যাংক। রাস্তায় রাস্তায় মোবাইল ব্লাড কালেকশন ভ্যানগুলিকে কাজে লাগানো হচ্ছে। স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাগুলোর সঙ্গে সমন্বয় বজায় রেখে রক্ত সংগ্রহ করা হচ্ছে।