এগরা, পূর্ব মেদিনীপুর: কিছুদিন আগে পাঁশকুড়া সুপারস্পেস্যালিটি হসপিটাল এর সামনে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয় বাসিন্দারা। তাদের মূল দাবি ছিল হসপিটালে শুধুমাত্র করোনার চিকিৎসা না করে অন্যান্য চিকিৎসা পরিষেবা চালু রাখার আবেদনে। কিন্তু পূর্ব মেদিনীপুর জেলার অপর প্রান্তে আরেকটি সুপার স্পেশালিটি হসপিটালে বিক্ষোভ দেখালেন হসপিটালেরই অস্থায়ী কর্মীরা, যার ফলে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন রোগীর বাড়ির লোকেরা। মূলত বেতন বৃদ্ধিসহ একগুচ্ছ দাবিতে প্রায় 6 ঘন্টা বিক্ষোভ দেখান অস্থায়ী কর্মীরা। যার ফলে ব্যহত হয় চিকিৎসার পরিসেবা। অস্থায়ী কর্মীদের মূল দাবি দীর্ঘ চার বছর ধরে তাদের কোনো বেতন বৃদ্ধি হয়নি যার ফলে সংসার চালাতে রীতিমত হিমশিম খাচ্ছেন কর্মীরা। এছাড়াও সুপার স্পেশালিটি হসপিটাল কে করোনা চিকিৎসার জন্য জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এই কর্মীরা করোনার বিরুদ্ধে প্রথম সারির যোদ্ধা হওয়ায় যে যে সুরক্ষা বিধি মেনে চলার জন্য যেসব পরিকাঠামো জিনিসপত্রের প্রয়োজন তা মেলেনি। নেই পর্যাপ্ত স্যানিটাইজার, গ্লাভস, মাস্ক, এমনকি করোনার বিরুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ পোশাক পিপিই কিট। তাদের দাবি এক বছর আগেই একটা পিপিই কিট দেওয়া হয়েছিল, তারপর মেলেনি নতুন পিপিই কিট। এছাড়াও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ জিনিস মাস্ক, স্যানিটাইজার ও গ্লাভস। করোনার দ্বিতীয় ঢেউ ভারতবর্ষজুড়ে আছড়ে পড়লে তার সংক্রমণের হাত থেকে রেহাই পায়নি পশ্চিমবাংলা। দিনদিন করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঊর্ধ্বমুখী। তাই জেলার বেশ কয়েকটি সুপার স্পেশালিটি হসপিটাল সহ অনেকগুলো প্রাইভেট হসপিটাল কে কোভিড হসপিটালে পরিণত করার নির্দেশ দিয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার স্বাস্থ্য দপ্তর। কিন্তু করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের প্রথম সারির কর্মীদের নেই পর্যাপ্ত পোশাক। তাই জেলার এগরা সুপার স্পেশালিটি হসপিটালে বিক্ষোভে সামিল হয় প্রায় দেড়শ জন অস্থায়ী কর্মীরা। অস্থায়ী কর্মীরা যখন বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন যখন হাসপাতালে ছিল না হাসপাতালে সুপার রঞ্জন রায়। কর্মীরা কার্যত হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছে তাদের দাবি দাবি অবিলম্বে না মেটালে আমরণ অনশনে বসবে।