Monsoon Tips : বর্ষায় ফ্রিজে রেখে দিন এক বাটি নুন, দেখুন তার পর কী 'ম্যাজিক' হয়! ভাবতে পারবেন না!

বর্ষার আগমনে চারিদিক সবুজে ঢাকা পড়ে যায়। কিন্তু সঙ্গে বাতাসে আর্দ্রতা বেড়ে যায়। যার ফলে অনেক জিনিস নষ্ট হতে শুরু করে। বিশেষ করে, ফ্রিজে রাখা সবজি আর্দ্রতার কারণে দ্রুত নষ্ট হয়ে যায়। অনেক সময় সবজি থেকে দুর্গন্ধ বের হতে শুরু করে। ফল, মশলা ইত্যাদিও নষ্ট হতে পারে বর্ষার এই সময়। সবচেয়ে বড় সমস্যা হয় চিনির ভিজে যাওয়ায়।

বর্ষার মরসুমে ফ্রিজের মধ্যেও আর্দ্রতা বেড়ে যায়। ফলে গন্ধ ছড়াতে শুরু করে। এমন অবস্থায় যদি দুই-তিন দিন পরপর ফ্রিজ পরিষ্কার না করা হয়, তাহলে ফ্রিজে কিছু রাখার মতো অবস্থাও থাকে না। আপনি তো এত বছর রান্নায় নুন (লবণ) ব্যবহার করে আসছেন, কিন্তু কখনও ফ্রিজে লবণ রেখে দেখেছেন? বর্ষার সময়ে ফ্রিজে একটি বাটিতে লবণ ভরে রাখুন। তার পর দেখুন ম্যাজিক।

বর্ষার এই সময় ফ্রিজ বারবার খোলার কারণে ফ্রিজের ভিতরে আর্দ্রতা বেড়ে যায়। আর্দ্রতা বেশি হয়ে গেলে ফ্রিজে রাখা সবজি ও ফল দ্রুত পচতে শুরু করে। এই অতিরিক্ত আর্দ্রতার কারণে ব্যাকটেরিয়া জন্ম নেওয়ার আদর্শ পরিবেশ তৈরি হয়ে যায়। ফলে খাবার দুর্গন্ধময় ও অস্বাস্থ্যকর হয়ে পড়ে।

নুন একটি বাটিতে ভরে ফ্রিজে রাখলে সেটি ফ্রিজের আর্দ্রতা শোষণ করার কাজ করে। আসলে, লবণ একটি প্রাকৃতিক আর্দ্রতা শোষক (natural moisture absorber)। লবণের মধ্যে আর্দ্রতা শোষণের গুণ থাকে, যা আশপাশের ভেজাভাব টেনে নেয়। ফলে ফ্রিজের ভেতরের আর্দ্রতা কমে যায়। ফ্রিজ থাকে শুকনো ও পরিষ্কার।

একটা ছোট বাটিতে লবণ ভরে ফ্রিজের যে কোনও কোণে রেখে দিন। তাতে ফ্রিজের ভিতর বর্ষার এই সময় দুর্গন্ধ ছড়াবে না। লবণ আর্দ্রতার কারণে তৈরি হওয়া গন্ধও দূর করতে সাহায্য করে।এই লবণ শুধু আর্দ্রতা নয়, গন্ধও শোষণ করতে পারে।

ফ্রিজে কীভাবে নুন (লবণ) রাখবেন: একটি ছোট বাটিতে ৩–৪ চামচ লবণ নিন। সেই বাটি ফ্রিজের যে কোনও কোণে রেখে দিন।যদি লবণের দানা মোটা ও খসখসে (coarse salt) হয়, তাহলে এর প্রভাব আরও বেশি হবে। ৫–৬ দিন পর লবণ বদলে দিন এবং নতুন লবণ রেখে দিন। কারণ আর্দ্রতা ও গন্ধ শোষণের পর লবণের গুণ কমে যায়।লবণের পাশাপাশি আপনি বেকিং সোডাও ব্যবহার করতে পারেন,এটিও আর্দ্রতা ও গন্ধ দূর করতে খুবই কার্যকর।