মোবাইলে বিস্ফোরণের কথা তো আজকাল আমরা প্রায়ই শুনি। কিন্তু, কেন সেই বিস্ফোরণ হয়, তা কি আমরা জানি? মোবাইলের ব্যাটারি খারাপ হয়ে যাওয়াই কিন্তু মোবাইল বিস্ফোরণের সবচেয়ে বড় কারণ। ভাবছেন, বাইরে প্রচণ্ড গরম, তাই আপনার ফোনের ব্য়াটারিও তেতে গেছে! সত্যিই কি তাই? তা কিন্তু নাও হতে পারে। কম দামী ফোনের ক্ষেত্রেই বেশি ঘটে এই বিপদ। কারণ, এই ধরনের ফোনে ব্যাটারি-কুলিং-এর ব্য়বস্থা থাকে না। তাই বেশি ব্যবহারে ব্য়াটারি গরম হয়ে যায়। ফলে বাড়ে ফোন ফেটে যাওয়ার সম্ভাবনা। (ছবি- শাটারস্টক)
ব্যাটারির জন্য কেন ফোনে বিস্ফোরণ হয়? আসলে, মোবাইল ফোনে চার্জ দেওয়ার সময় ব্য়াটারি বেশি কাজ করে, ফলে মোবাইলের চারপাশেও রেডিয়েশনের একটা ক্ষেত্র তৈরি হয়। তাই চার্জ দেওয়ার সময় ফোনে কথা বললে ফোন ফেটে যেতে পারে। ব্যবহারকারীর নিজের ভুলের জন্য, ব্যাটারি অতিরিক্ত গরম হয়ে গেলে, ঘটে যেতে পারে বড় কোনও দুর্ঘটনা। এছাড়া, ব্যাটারিতে রাসায়নিক কোনও পরিবর্তন হলেও এটা আপাতদৃষ্টিতে কোনও কারণ ছাড়াই ফেটে যেতে পারে। (ছবি- শাটারস্টক)
মোবাইলের ব্যাটারিতে অনেকগুলি লেয়ার থাকে। কখনও কখনও এই স্তরগুলি ভেঙে যায়। যদি বারবার হাত থেকে ফোন পড়ে যায়, তাহলে আরও বাড়ে এই সম্ভাবনা। স্তরগুলির কোনওটি ভেঙে গিয়ে তাদের মধ্যে ফাঁক তৈরি হলে, ব্যাটারি ফুলতে শুরু করে। এর পরে শর্ট সার্কিটের কারণে ব্যাটারিতে বিস্ফোরণের সম্ভাবনা বাড়ে। একইভাবে, প্রসেসরের ক্ষেত্রেও ঘটতে পারে এই ঘটনা। আজকাল, বেশিরভাগ ফোনেই হাই-এন্ড প্রসেসর থাকে। যেগুলোতে বেশি তাপ উৎপন্ন হয়। যখন ফোনে বেশি লোড পড়ে, তখন প্রসেসর গরম হয়ে যায়। এই প্রসেসর ব্যাটারির ঠিক পাশেই থাকে। তাই প্রসেসর থেকে তাপ ব্যাটেরিতে পৌঁছয় এবং ক্রমে ব্যাটারিকেও উত্তপ্ত করতে শুরু করে। এমন পরিস্থিতিতেও প্রসেসর ব্যাটারি গরম করে এবং ফোনের বিস্ফোরণের সম্ভাবনা বেড়ে যায়। (ছবি- শাটারস্টক)
এমন ঘটনা যদি এড়াতে চান, তবে এর জন্য আপনাকে কিছু সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। ফোনে প্রয়োজন ছাড়া বেশি অ্যাপ ডাউনলোড করবেন না। বালিশের নীচে মোবাইল রেখে ঘুমোবেন না। গরমে বন্ধ গাড়ির ভিতরে মোবাইল রাখবেন না। একটানা ২-৩ ঘণ্টা মোবাইল কানে রেখে কথা বলবেন না, ইয়ারফোন ব্যবহার করুন। ডুপ্লিকেট চার্জার এড়িয়ে চলুন। চার্জ দেওয়ার সময় কল করবেন না, বা গেম খেলবেন না। (ছবি- শাটারস্টক)