ChatGPT-কে দিয়ে ভুলেও করবেন না এই ৭ কাজ, করলেই বিপদ! হতে পারে সাজাও!

সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে লোকেরা পরামর্শের জন্য AI চ্যাটবটগুলি আরও ঘন ঘন ব্যবহার করছে। বিশেষজ্ঞরা এই সরঞ্জামগুলির উপর অতিরিক্ত নির্ভরতার বিরুদ্ধে সতর্ক করেছেন, বিশেষ করে স্বাস্থ্যসংক্রান্ত তথ্যের জন্য। চ্যাটবটগুলি আপাতদৃষ্টিতে ইউজার-ফ্রেন্ডলি এবং নির্ভরযোগ্য বলে মনে হয়। তবে, স্বাস্থ্যের মতো সংবেদনশীল বিষয়গুলির ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞরা তাদের উপর অতিরিক্ত নির্ভরতার বিরুদ্ধে সতর্ক করেছেন।

নিউ ইয়র্ক পোস্টের একটি প্রতিবেদনে ক্লিভল্যান্ড ক্লিনিকের তথ্য উদ্ধৃত করা হয়েছে যা দেখায় যে পাঁচজনের মধ্যে একজন আমেরিকান AI থেকে স্বাস্থ্য পরামর্শ চেয়েছেন। শুধু তাই নয়, গত বছরের একটি জরিপে দেখা গিয়েছে যে প্রায় ২৫% আমেরিকান ঐতিহ্যবাহী থেরাপির চেয়ে চ্যাটবট বেছে নেওয়া পছন্দ করছেন। এই ক্রমবর্ধমান নির্ভরতার প্রেক্ষিতেই বিশেষজ্ঞরা ChatGPT এবং অন্যান্য AI চ্যাটবটগুলির সঙ্গে ব্যক্তিগত বা চিকিৎসা সংক্রান্ত তথ্য শেয়ার করার বিরুদ্ধে সতর্ক করছেন। রইল ৭টি জিনিসের কথা যা ChatGPT এবং অন্যান্য AI চ্যাটবটকে কখনও বলা বা জিজ্ঞাসা করা উচিত নয়!

ব্যক্তিগত তথ্য: নাম, ঠিকানা, ফোন নম্বর বা ই-মেল অ্যাড্রেস AI চ্যাটবটগুলির সঙ্গে কখনই শেয়ার করা চলবে না। এই তথ্য ইউজারকে শনাক্ত করতে এবং তাঁর কার্যকলাপ ট্র্যাক করতে ব্যবহার করা হতে পারে।

আর্থিক তথ্য: আর্থিক তথ্য, যেমন ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নম্বর, ক্রেডিট কার্ড নম্বর ইত্যাদি কখনই AI চ্যাটবটের সঙ্গে শেয়ার করা চলবে না। এই তথ্য ইউজারের টাকা বা আপনার পরিচয় চুরি করতে ব্যবহার করা হতে পারে।

পাসওয়ার্ড: এআই চ্যাটবটসের কাছে কখনই নিজের পাসওয়ার্ড শেয়ার করা চলবে না। এই তথ্য ইউজারের অ্যাকাউন্ট অ্যাক্সেস করতে এবং তাঁর ডেটা চুরি করতে ব্যবহার করা হতে পারে।

নিজের গোপন কথা: AI চ্যাটবটসের কাছে কখনই নিজের গোপন কথা শেয়ার করা উচিত নয়। কাছের মানুষকেও এই ব্যাপারে সব সময় নির্ভর করা যায় না, তা ChatGPT কোন ছাড়! সে ব্যক্তি নয় এবং ইউজারের গোপন কথা সুরক্ষিত রাখবে তা মনে করাটাই মস্ত ভুল!

চিকিৎসা বা স্বাস্থ্য পরামর্শ: আর যা-ই হোক, AI ডাক্তার নয়, তাই কখনই AI-এর কাছে স্বাস্থ্য পরামর্শ চাওয়া উচিত হবে না। এছাড়াও, বিমা নম্বর সহ স্বাস্থ্যের বিবরণ কখনও শেয়ার করা চলবে না।

স্পষ্ট কন্টেন্ট: বেশিরভাগ চ্যাটবট তাদের সঙ্গে শেয়ার করা যে কোনও স্পষ্ট জিনিস ফিল্টার করে, তাই অনুপযুক্ত কনটেন্ট ইউজারকে ব্যান করতে পারে। শুধু তাই নয়, মনে রাখতে হবে যে ইন্টারনেট কখনও কিছু ভুলে যায় না। তাই, খেউই জোর দিয়ে বলতে পারবেন না এগুলো কোথায় ভেসে উঠতে পারে!

এমন কিছু যা পৃথিবীকে জানানোর দরকার নেই: মনে রাখতে হবে যে ইউজার AI Chatbots-কে যা কিছু বলেন, তা সেভ করা হতে পারে এবং অন্যদের সঙ্গে ভাগ করে নেওয়া হতে পারে। তাই, কখনই AI Chatbots-কে এমন কিছু বলা উচিত নয় যা সারা বিশ্বের জেনে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে!