E-Challan Scam: ট্র্যাফিক আইন লঙ্ঘনের মেসেজ, ক্লিক করলেই সর্বনাশ! ই-চালানের নামে চলছে জালিয়াতি
- Published by:Ananya Chakraborty
- trending desk
- Reported by:Trending Desk
Last Updated:
E-Challan Scam: সাবধান! ফের বাড়ছে অনলাইন ই-চালান স্ক্যাম, কিন্তু এই কেলেঙ্কারি বোঝার উপায় কী? জেনে নিন বিশদে
পুরোদমে চলছে উৎসবের মরশুম। এরই মাঝে ই-চালান কেলেঙ্কারির বিরুদ্ধে আরও একবার সচেতনতা প্রচার করছে ভারত সরকার এবং সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা। আসলে সাইবার অপরাধীরা গ্রাহকদের ফোনে মেসেজ পাঠিয়ে দাবি করছে যে, রোড ট্রান্সপোর্ট এবং হাইওয়েজ মিনিস্ট্রির তৈরি eChallan Parivahan পোর্টালের মাধ্যমে তাঁদের অবিলম্বে ট্রাফিক লঙ্ঘনের বকেয়া পরিশোধ করতে হবে। ২০১২ সালে চালু হয়েছিল এবং সারা দেশে তা ২০১৭ সালে বাস্তবায়িত হয়েছিল। এই ই-চালান ব্যবস্থার মাধ্যমে সরকার এবং জনসাধারণ ট্রাফিক আইন লঙ্ঘন আর জরিমানার উপর নজরদারি চালাতে পারে।
advertisement
কীভাবে অনলাইন ই-চালান কেলেঙ্কারি হচ্ছে? যদিও বেশিরভাগ কেলেঙ্কারি সহজেই ধরা যায়। কিন্তু ই-চালানের ক্ষেত্রে কোনটা আসল আর কোনটা নকল, তা বোঝা বেশ মুশকিল। কারণ দুই ধরনের মেসেজই একরকম দেখতে হয়। ভারত সরকারের জারি করা নির্দেশিকায় বলা হয়েছে যে, অপরিচিত কোনও নম্বর থেকে আপনারা কোনও এসএমএস অথবা মেসেজ পেতে পারেন। যেখানে বলা হবে যে, ট্রাফিক লঙ্ঘনের জেরে আপনার গাড়ির জরিমানা করা হচ্ছে।
advertisement
আর সেই লিঙ্কে ক্লিক করলে একটি ভুয়ো ওয়েবসাইট খুলে যাবে। যেটি দেখতে একেবারে আসলটির মতোই। ওই ভুয়ো ওয়েবসাইটে একটি সেকশন রয়েছে। যেখান থেকে দ্রুত পেন্ডিং ট্রাফিক ভায়োলেশনের জন্য জরিমানা পরিশোধ করা যায়। আর ব্যবহারকারীরা এখানে নিজেদের ব্যাঙ্কিং সংক্রান্ত তথ্য দিলেই নিমেষে অ্যাকাউন্ট ফাঁকা করে দেবে স্ক্যামাররা। শুধু তা-ই নয়, হ্যাকও করতে পারে তারা।
advertisement
পুণে সিটি ট্রাফিক ব্রাঞ্চের অফিসাররা একটি প্রেস বিবৃতি জারি করেছিলেন গত বছর। সেখানে পেমেন্ট করার জন্য নাগরিকদের ‘ই-চালান পরিবহন লিঙ্ক’-এর সত্যতা যাচাই করতে বলা হয়েছিল। গত বছরই গাড়ির মালিকদের কাছ থেকে জাল ই-চালান লিঙ্ক এবং লক্ষ লক্ষ টাকা প্রতারণার অভিযোগে ঝাড়খণ্ডের এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছিল আহমেদাবাদ ক্রাইম ব্রাঞ্চ।
advertisement
অনলাইন ই-চালান কেলেঙ্কারি বোঝার উপায়: গত বছর সাংবাদিকদের একটি বিবৃতিতে জানানো হয়েছে যে, ফরিদাবাদ ডিসিপি হেডকোয়ার্টার্স এবং সাইবার ক্রাইম অফিসার হেমেন্দ্র কুমার মীনা বলেন যে, আপনারা যদি এই ধরনের মেসেজ পান, তাহলে তাড়াহুড়ো করে রিপ্লাই দেবেন না কিংবা চালান পেমেন্ট করবেন না। আসল ই-চালানের মেসেজের মধ্যে থাকবে ইঞ্জিন এবং চ্যাসিস নম্বরের মতো ক্রিটিক্যাল ভেহিকেল-স্পেসিফিক ডিটেলস।
advertisement