দুর্দান্ত গতিতে এগিয়ে ক্রিকেট দুনিয়ায় রীতিমতো নাম তৈরি করেছিলেন তিনি। স্কুলের সময় থেকেই সচিন তেন্ডুলকরের বন্ধু ছিলেন তিনি। সেই সময় পার্টনারশিপে ঝোড়ো এক ম্যাচে রীতিমতো রেকর্ড গড়েছিল তাঁদের জুটি। তবে সচিন নিজের ফর্ম ধরে রাখতে পারলেও আচমকাই ক্রিকেট দুনিয়া থেকে হারিয়ে গিয়েছিলেন অত্যন্ত সম্ভাবনাময় তারকা বিনোদ কাম্বলি।
আসলে সংবাদমাধ্যমের রিপোর্টে দাবি করা হয় যে, খারাপ আসক্তির কারণেই ক্রীড়া জগৎ থেকে মুছে গিয়েছিল বিনোদের নাম। নিয়ম-শৃঙ্খলা না-মানার দরুন অল্প সময়েই ভেঙে পড়েছিল কেরিয়ার। শুধু তা-ই নয়, ব্যক্তিগত জীবনে তাঁর নানা কার্যকলাপ নিয়েও উঠেছিল বিস্তর সওয়াল। অর্থাৎ বিতর্ক কিছুতেই পিছু ছাড়ে না তাঁর। সম্প্রতি তাঁর নামে উঠেছে ভয়ঙ্কর অভিযোগ। আর অভিযোগকারিণী খোদ তাঁর বর্তমান স্ত্রী আন্দ্রিয়া হেউইট। বিনোদের বিরুদ্ধে মারধরের গুরুতর অভিযোগ এনেছেন আন্দ্রিয়া।
আবার কয়েক মাস আগের একটি সাক্ষাৎকারে নিজের দুর্দশা এবং দুর্দিনের কথা বলতে শোনা গিয়েছিল ভারতীয় দলের প্রাক্তন এই ক্রিকেট তারকাকে। সেই সময় তাঁকে যাতে কাজ দেওয়া হয়, সেই অনুরোধ করেছিলেন তিনি। জানিয়েছিলেন যে, সংসার চালানোর মতো অর্থও তাঁর হাতে নেই। ক্রিকেট কোচিংয়ের চাকরি পেলেও তা করতে তিনি যারপরনাই প্রস্তুত। সেই সময় এ-ও স্বীকার করে নিয়েছিলেন যে, মাদকাসক্তির কারণেই তাঁর জীবন আর কেরিয়ার ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। ফলে মাদকাসক্তি ছেড়েছুড়ে কামব্যাক করতে চান তিনি। যে কোনও শর্তেই তিনি কাজ করতে পারবেন।
আসলে বিনোদ কাম্বলির কেরিয়ার গ্রাফ যত দ্রুত উপরের দিকে উঠেছিল, ঠিক ততটাই তাড়াতাড়ি আবার নীচে নেমে এসেছিল। একটি স্কুল ক্রিকেট ম্যাচে সচিন তেন্ডুলকরের সঙ্গে পার্টনারশিপে উঠেছিল ৬৬৪ রান। যা বিশ্বরেকর্ড তৈরি করেছিল। এর পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট দুনিয়ায় পা রাখার পরে নিজের কৃতিত্বের মাধ্যমে রীতিমতো শোরগোল ফেলে দিয়েছিলেন তিনি। টেস্ট ম্যাচে দ্রুততম ১০০০ রান করার রেকর্ড গড়েছিলেন বাঁ-হাতি এই ব্যাটসম্যান। মাত্র ১৪টি ইনিংস খেলে ১৯৯৪ সালে এক হাজার রান পূর্ণ করেছিলেন তিনি। আজও তাঁর এই রেকর্ডটি অটুট রয়ে গিয়েছে।