Mohun Bagan Tutu Bose: হুইলচেয়ারে করে ভোট প্রচারে ! হাউজফুল ফার্স্ট শো, টুটু যেন বাগানের বাঁশিওয়ালা
- Published by:Siddhartha Sarkar
- news18 bangla
- Reported by:PARADIP GHOSH
Last Updated:
Report-পারাদীপ ঘোষ: তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে বিপদে আপদে বটগাছের মতো আগলে রেখেছেন গঙ্গা পাড়ের সবুজ মেরুনকে। বরাভয় দিয়েছেন ক্লাব সমর্থকদের। হয়ে উঠেছেন বাগান জনতার একমাত্র মাসিহা। আজও তাই মোহনবাগান ও ‘ডাবল টু’ সমার্থক।
পারাদীপ ঘোষ, কলকাতা: একেবারে সাদামাটা, আটপৌরে এন্ট্রি। সপ্তাহ শেষে উত্তর কলকাতার আহিরিটোলা দোলনা পার্ক তখন সবুজ মেরুন সদস্যদের ভিড়ে গমগম করছে। মোহনবাগান ভোটের প্রাক নির্বাচনী কর্মীসভায় সৃঞ্জয় অনুগামীদের উপচে পড়া ভিড়। দক্ষ ক্লাব সংগঠকের মতই সভার এই মাথা থেকে ওই মাথায় দৌড়ে বেড়াচ্ছেন বাগানের প্রাক্তন সচিব সৃঞ্জয় বোস। এমন সময়েই হুইলচেয়ারে করে তাঁর আগমন। সবুজ মেরুনের উত্তম কুমার। টুটু বোস।
advertisement
তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে বিপদে আপদে বটগাছের মতো আগলে রেখেছেন গঙ্গা পাড়ের সবুজ মেরুনকে। বরাভয় দিয়েছেন ক্লাব সমর্থকদের। হয়ে উঠেছেন বাগান জনতার একমাত্র মাসিহা। আজও তাই মোহনবাগান ও ‘ডাবল টু’ সমার্থক। মাতৃসম মোহনবাগানের জন্য কী করেননি তিনি! সে তো এক লম্বা ইতিহাস! যার ছত্রে ছত্রে জড়িয়ে রয়েছে আবেগ, ভালবাসা, নস্টালজিয়া! ৮০ পেরিয়ে আজ সেই টুটু বোস আবারও বাগানমুখী। সবুজ মেরুনে তাকে ছুঁড়ে দেওয়া চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়ে ৷ ছেলে সৃঞ্জয়কে আবারও সচিবের হটসিটে দেখতে চান আশি ঊর্ধ্ব টুটু। অশক্ত শরীরে হুইলচেয়ারে চেপে তাই বাগান জনতার মাঝে সবুজ মেরুন মাসিহা।
advertisement
সৃঞ্জয়ও দীর্ঘদিন মাঠ করেছেন। সচিবের হট সিট সামলেছেন। সৃঞ্জয়ের আমলেই মোহনবাগান ক্লাব তাঁবুর আধুনিকীকরণের শুরু। সৃঞ্জয় জমানাতেই গোয়েঙ্কাদের সঙ্গে গাঁটছড়া বাধার সূত্রপাত। উড়ে এসে জুড়ে বসার লোক নন সৃঞ্জয়! তাই টুটু বোসের চাওয়াতে কোনও অযৌক্তিকতা খুঁজে পাচ্ছেন না মোহনবাগান সদস্যরা। তবুও অদৃষ্টের পরিহাস! গজিয়ে ওঠা দত্ত-মিত্র শক্তির সৌজন্যে বাগানে চ্যালেঞ্জের মুখে বোস পরিবার।
বেহালা থেকে পাইকপাড়া কিংবা আহিরীটোলা থেকে সালকিয়া ৷ সৃঞ্জয় যেখানে মোহনবাগান জনতাও যেন সেখানে ৷ আর টুটু যেন বাগানের বাঁশিওয়ালা ৷ উত্তর কলকাতার আহিরীটোলায় টুটু বোসের ফার্স্ট শো বলে দিচ্ছিল ব্যালট বক্সে সেই ৭৫-এর শিল্ড ফাইনালের স্কোর লাইন না আবার ফিরে আসে ৷
বেহালা থেকে পাইকপাড়া কিংবা আহিরীটোলা থেকে সালকিয়া ৷ সৃঞ্জয় যেখানে মোহনবাগান জনতাও যেন সেখানে ৷ আর টুটু যেন বাগানের বাঁশিওয়ালা ৷ উত্তর কলকাতার আহিরীটোলায় টুটু বোসের ফার্স্ট শো বলে দিচ্ছিল ব্যালট বক্সে সেই ৭৫-এর শিল্ড ফাইনালের স্কোর লাইন না আবার ফিরে আসে ৷
advertisement
হুইলচেয়ারে টুটু আর উঠে দাঁড়িয়ে করতালি দিয়ে বাগান মাসিহাকে বরণ করে নিচ্ছেন হাজারের উপর সবুজ মেরুন সদস্যরা ৷ এই ছবিটাই বলে দিচ্ছিল গঙ্গা পাড়ের ক্লাবে আজও টুটুই উত্তম কুমার, আজও টুটুই অমিতাভ বচ্চন! ডাবল টু-র পাশে সৃঞ্জয়ের সমর্থনে ততক্ষণে জুটে গেছেন বাগান জনতার আরেক মহানায়ক সুব্রত ভট্টাচার্য। একে একে হাজির শিশির ঘোষ, অমিত ভদ্র, শিলটন পাল, অচিন্ত্য বেলেলের মতো প্রাক্তনরাও ৷ সুব্রত, শিশিররা সবুজ মেরুন জার্সিতে ঘাম রক্ত ঝরিয়ে ক্লাবকে ট্রফি এনে দিয়েছেন। মোহনবাগানের ঘরের ছেলেরা কাছ থেকে দেখেছেন সবুজ মেরুনে বোসদের অবদান, আত্মীয়তা, আন্তরিকতা। তাই সৃঞ্জয়ের সমর্থনে স্বতঃস্ফূর্তভাবে এগিয়ে এসেছেন ওরা ৷ কিন্তু এত কিছুর পরেও বাগান নির্বাচন জুড়ে বড় প্রশ্নচিহ্ন! পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে মনোনয়ন পর্বের দিনক্ষণ! আর তাতেই সিঁদুরে মেঘ জমার আশঙ্কা।
advertisement
প্রাক নির্বাচন প্রচার বা প্রস্তুতিতে ফাঁক রাখছে না কোনও পক্ষই। রবিবার সৃঞ্জয়রা সভা সারেন হাওড়ার সালকিয়ায়। অন্যদিকে দত্ত-মিত্ররা বিধাননগরে! তিন বছরে ক্লাবের সাফল্যের খতিয়ান তুলেও যে হালে পানি পাওয়া যাচ্ছে, তেমনটা নয় ৷ বরং সদস্যরাই পাল্টা প্রশ্ন তুলছেন, যে সাফল্যের কথা বলা হচ্ছে সেখানে ক্লাব কর্তাদের ভূমিকা কতটুকু ? সবটাই তো নিয়ন্ত্রিত হয় ভিক্টোরিয়া হাউজ থেকে! এদিকে এদিন টুটু বোসকে ধৃতরাষ্ট্রের সঙ্গে তুলনা করে সদস্যদের প্রশ্নের মুখে পড়েন দত্ত-মিত্র শিবিরের মানস ভট্টাচার্য ৷ এই অবস্থায় পয়লা জুন পরবর্তী সময়ে ভোট বাজারে মিরাকলের আশায় বাগানের দত্ত-মিত্র শিবির ৷