বৃন্দাবনের প্রেমানন্দজি মহারাজের আশীর্বাদের ফল মিলল, ১৮ বছর অপেক্ষার পর শাপমোচন কিং কোহলি ও RCB-র
- Published by:Siddhartha Sarkar
- news18 bangla
Last Updated:
Premamand Maharaj's words of wisdom for Virat and Anushka: কাটল প্রায় ১৮ বছরের খরা। অবশেষে আইপিএল-এর প্রথম জয়ের খেতাব এল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু (আরসিবি)-র হাতে।
কাটল প্রায় ১৮ বছরের খরা। অবশেষে আইপিএল-এর প্রথম জয়ের খেতাব এল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু (আরসিবি)-র হাতে। আইপিএল ২০২৫-এর ফাইনাল ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল পঞ্জাব কিংস এবং রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়। এদিনের ম্যাচ একেবারে শেষ পর্যন্ত আটকে রেখেছিল ক্রিকেট-প্রেমীদের। সেই ম্যাচেই পঞ্জাবকে ধরাশায়ী করে জয়ের মুকুট ওঠে আরসিবি-র মাথায়। আর জয় উদযাপনের সময় বিরাট কোহলি স্বাভাবিক ভাবেই আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছিলেন। সেই ছবি ভিডিও ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়। সেই সঙ্গে স্ত্রী অনুষ্কা শর্মার সঙ্গে জয়ের ট্রফি ধরে থাকার আবেগঘন মুহূর্তও ছড়িয়ে পড়েছে। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর জয়ের পরেই আরও একবার শিরোনামে উঠে এসেছেন আধ্যাত্মিক গুরু প্রেমানন্দজি মহারাজ। তারকা দম্পতি বিরাট কোহলি এবং অনুষ্কা শর্মার উদ্দেশ্যে দেওয়া তাঁর জ্ঞানের বাণীও ফের ছড়িয়ে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। (Photo: AP)
advertisement
চলতি বছর জানুয়ারি মাসে নিজেদের সন্তান ভামিকা এবং অকায়কে নিয়ে বৃন্দাবনের প্রেমানন্দজি মহারাজের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন তারকা জুটি বিরাট কোহলি এবং অনুষ্কা শর্মা। শান্তি সন্ধানের উদ্দেশ্যেই সেখানে গিয়েছিলেন তাঁরা। সেই সময় ক্রিকেট তারকা বিরাট কোহলির নিষ্ঠা এবং কঠোর পরিশ্রমের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেছিলেন প্রেমানন্দজি মহারাজ। সেই সঙ্গে ওই তারকা দম্পতিকে জীবনের পাঠ সংক্রান্ত পরামর্শও দিয়েছিলেন।
advertisement
বিরুষ্কাকে কী বলেছিলেন প্রেমানন্দজি মহারাজ? বিরাট এবং অনুষ্কার উদ্দেশ্যে তিনি বলেন যে, “অভ্যাসে কোনওরকম খামতি রাখা চলবে না।” এখানেই শেষ নয়, এই তারকা দম্পতি কীভাবে নিজ নিজ ক্ষেত্রে কাজের মাধ্যমে দেশে আনন্দ এনে দিচ্ছেন, সেই বিষয়েও বক্তব্য রেখেছেন তিনি। প্রেমানন্দজি মহারাজের কথায়, “সবথেকে বড় কথা হল, আমরা আমাদের অভ্যাস বা কাজের মাধ্যমে মানুষকে আনন্দ দিচ্ছি। আর ওঁরা (কোহলি) নিজের খেলার মাধ্যমে গোটা ভারতকে আনন্দ দিচ্ছেন। ওঁরা জয়ী হলে সারা ভারতে আতসবাজি পোড়ানো হয়। উদযাপনে মেতে ওঠে গোটা দেশ। এটা কি তাঁদের অভ্যাস নয়?” (Photo: AP)
advertisement
প্রেমানন্দজি মহারাজ আরও বলে চলেন যে, “যদি ওঁরা নিজেদের জয় ঈশ্বরের উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করেন, তাহলে গোটা ভারতই তাঁদের সঙ্গে নিজেদের যোগসূত্র খুঁজে পাবেন। ওঁরা যদি জয় লাভ করেন, তাহলে ভারতের প্রত্যেকটা শিশুই আনন্দে নেচে উঠবে। তাই নিজেদের অভ্যাসে থাকার জন্য সাধনা এবং ভজন করেন, এমনকী সেটা সাধারণ খেলা হলেও গোটা দেশই তার থেকে আনন্দ নিংড়ে নেয়। আমরা যদি কোনও কারণে আমাদের অনুশীলনের উপর মনোনিবেশ করি, তাহলে তাতে খামতি থাকার কথা নয়। সেই সঙ্গে এরই মাঝে নিজের সর্বশক্তিমানের নাম নেওয়ার কথাও আমাদের মনে রাখা উচিত। তাই এটা তাঁদের অভ্যাস (সাধনা)।” (Photo: AP)
advertisement
মনে করা হচ্ছে যে, প্রেমানন্দজি মহারাজের বাণী যেন বিরাটের ক্ষেত্রে অন্য স্তরে অনুরণিত হয়। আর সেই কারণেই তিনি ঐতিহাসিক জয় লাভ করতে সক্ষম হয়েছেন। টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসর গ্রহণের কথা ঘোষণা করার পরের দিনই প্রেমানন্দজি মহারাজের কাছে গিয়েছিলেন বিরাট এবং অনুষ্কা। সেই সময় বিরাটকে সেখানে নাম-জপ করতেও দেখা যায়। এর থেকেই স্পষ্ট যে, আধ্যাত্মিকতার প্রতি গভীর টান রয়েছে এই তারকা ক্রিকেটারের। (Photo: AP)