DC vs PBKS: হরপ্রীত-চাহারের স্পিনের ভেলকিতে কুপকাত দিল্লি, ৩১ রানে ম্যাচ জিতল পঞ্জাব

আইপিএলে ফের হার দিল্লি ক্যাপিটালসের। পঞ্জাব কিংসের বিরুদ্ধে ১৬৮ রান তাড়া করতে নেমে ১৩৬-এ আটকে গেল দিল্লির দৌড়। পঞ্জাব কিংসের হয়ে ব্যাটিংয়ে প্রভসিমরন সিংয়ের অনবদ্য শতরান ও বোলিংয়ে হরপ্রীত ব্রার, রাহুল চাহার ও ন্যাথান এলিসের দুরন্ত বোলিংয়ের সৌজন্যে ৩১ রানে জয় পায় পঞ্জাব।

ঘরের মাঠে অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে টস জিতে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেন দিল্লি ক্যাপিটালসের অধিনায়ক ডেভিড ওয়ার্নার। ম্যাচে শুরু থেকেই নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট হারাতে থাকে পঞ্জাব কিংস। শিখর ধওয়ান, লিয়াম লিভিংস্টোন, জিতেশ শর্মা, শাহরুখ খান কেউই বড় রান করতে পারেনি। স্যাম কুরান কিছুটা লড়াই দিলেও বড় স্কোর করতে পারেননি। একদিক থেকে উইকেট পড়লেও অপরদিক থেকে একা ওপেনিং থেকে লড়াই করে যান প্রভসিমরন সিং।

ঠান্ডা মাথায় ব্যাটিং করার পাশাপাশি খেলেন আক্রমণাত্মক শটও। স্যাম কুরানকে সঙ্গে নিয়ে ৭২ রানের পার্টনারশিপ গড়েন প্রভসিমরন সিং। একের পর এক অনবদ্য শট খেলে আইপিএলে নিজের প্রথম শতরান করেন তিনি। শেষ পর্যন্ত ৬৫ বলে ১০৩ রান করে আউট হন পঞ্জাব দ্য পুত্তর। ৬টি ছয় ও ১০টি চারে সাজানো তাঁর ইনিংস। প্রভসিমরন সিংয়ের ব্যাটে ভর করেই ম্যাচে সম্মানজনক ও লড়াই করার মত স্কোরে পৌছায় পঞ্জাব কিংস। ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৬৭ রান করে পঞ্জাব।

রান তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভালোই করেছিল দিল্লি ক্যাপিটালস। ওপেনিং জুটিতে একের পর এর মারকাটারি শট খেলেন দিল্লির দুই ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার ও ফিল সল্ট। ঝড়ের গতিতে অর্ধশতরানের পার্টনারশিপও করেন। ৬৯ রান ওঠে দিল্লির ওপেনিং জুটিতে। এরপর ফিল সল্ট ফিরতেই একের পর এক উইকেট পড়তে শুরু করে দিল্লির।

একদিক থেকে ডেভিড ওয়ার্নার লড়াই চালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। নিজের অর্ধশতরানও পূরণ করেন তিনি। কিন্তু ওয়ার্নার ৫৪ রানে ফিরতেই ধস নামে দিল্লির ইনিংসে। একের পর এক উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় দিল্লি। ৬৯ রানে প্রথম উইকেট হারানো থেকে ৮৮ রানের মধ্যে ৬ উইকেট হারিয়ে ফেলে দিল্লি।

শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৩৬ রান করে দিল্লি ক্যাপিটালস। ৩১ রান জয় পায় পঞ্জাব কিংস। পঞ্জাবের হয়ে সর্বোচ্চ ৪টি উইকেট নেন হরপ্রীত ব্রার। এছাড়া দুটি করে উইকেট নেন রাহুল চাহার ও ন্যাথান এলিস। এই জয়ের ফলে প্লে অফের যাওয়ার আশা টিকে থাকল পঞ্জাবের।