Mukesh Kumar: ছেলের সাফল্যে চোখে জল মায়ের, ভারতীয় দলে সুযোগ পেয়ে লড়াই স্বার্থক মুকেশ কুমারের
- Published by:Sudip Paul
- news18 bangla
Last Updated:
Mukesh Kumar: ১২ জুলাই থেকে শুপু হতে চলেছে ভারতীয় ক্রিকেট দলের ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর। সেই সফরে ভারতীয় দলে সুযোগ পেয়েছেন বাংলা ক্রিকেট দলের পেসার মুকেশ কুমার। ভারতীয় টেস্ট ও একদিনের দলে স্কোয়াডে সুযোগ পেয়েছেন মুকেশ।
১২ জুলাই থেকে শুপু হতে চলেছে ভারতীয় ক্রিকেট দলের ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর। সেই সফরে ভারতীয় দলে সুযোগ পেয়েছেন বাংলা ক্রিকেট দলের পেসার মুকেশ কুমার। ভারতীয় টেস্ট ও একদিনের দলে স্কোয়াডে সুযোগ পেয়েছেন মুকেশ।
advertisement
এই খবর আসার পর একদিকে যেমন খুশির হাওয়া বাংলার ক্রিকেট মহলে। ঠিক অপরদিকে, খুশি মুকেশের মুকেশের বাড়ি বিহারের গোপালগঞ্জও। সেখানে তরুণ পেসারের পরিবার থেকে আত্মীয়, প্রতিবেশী সকলের মধ্যেই খুশি ও উৎসবের আবহ।
advertisement
ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে ভারতীয় ক্রিকেট দল ২টি টেস্ট, ৩টি ওডিআই ও ৫টি টি-২০ ম্যাচ খেলবে। বিসিসিআই শুক্রবার দল ঘোষণা করেছে, যেখানে মুকেশ কুমারকে জায়গা দেওয়া হয়েছে। বিহারের আরেক খেলোয়াড় ঈশান কিষাণও এই দলের একজন সদস্য।
advertisement
মুকেশ কুমার গোপালগঞ্জের কাকদকুন্ড গ্রামের বাসিন্দা। ক্রিকেটার মুকেশ কুমারের ঘনিষ্ঠ বন্ধু ও জেলা দলের প্রাক্তন অধিনায়ক অমিত কুমার জানান, মুকেশ কুমারের নির্বাচনের খবর পাওয়া মাত্রই ক্রিকেটপ্রেমীদের মধ্যে উচ্ছ্বাস-উদ্দীপনা দেখা গিয়েছে।
advertisement
ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে ভারতীয় দলে ডান হাতি পেসার মুকেশ কুমার সুযোগ পাওয়ার পর মুকেশের মা মালতী দেবী, কাকা ও গোটা পরিবারের চোখে খুশির কান্না দেখা যায়। ভারতীয় দলে নির্বাচিত হওয়ার পর মা মালতী দেবী তার ছেলের সঙ্গে কথাও বলেছেন।
advertisement
ভারতীয় দলের সুযোগের জন্য মুকেশকে কতটা লড়াই করতে হয়েছে তা জানিয়েছেন কাকা কৃষ্ণা সিং। তিনি বলেন, 'বাড়ির দায়িত্ব শুধু আমার ওপর, বাকিরা রোজগারের জন্য বাইরে গেছে। প্রথম দিকে ক্রিকেট খেলা নিয়ে আমি মুকেশের বিপক্ষে ছিলাম। ়মনে হয়েছিল খেলাধুলার করে কিছু হওয়ার নয়। মানুষের অভিযোগ ও অপবাদের ভয় ছিল। কিন্তু লোকেরা যখন মুকেশকে তার ভাল খেলার জন্য অভিনন্দন জানাতে শুরু করে, তখন বুঝতে পেরিছিলাম যে যে মুকেশ ভাল কিছু করছে।
advertisement
পুরনো কথা মনে করে কৃষ্ণকান্ত সিং বলেন,'মুকেশ কুমারকে অস্বীকার করার পরও তিনি গোপনে ক্রিকেট খেলতে যেতেন। পরিবারের আর্থিক অবস্থা ভাল ছিল না। তাই শিক্ষিত হয়ে চাকরি পাওয়ার চাপ সবসময়ই থাকত। কিন্তু আজ তার পরিশ্রম ও নিষ্ঠা প্রমাণ করেছে যেখানে ইচ্ছা আছে, সেখানে উপায় আছে।'
advertisement
