Bangladesh Cricket Team: টেস্ট ক্রিকেটে এমন রেকর্ড গড়ল বাংলাদেশ, যা নেই ভারত-পাকিস্তান-শ্রীলঙ্কার

আফগানিস্তানকে ঘরের মাঠে এক ম্যাচের টেস্ট সিরিজে ৫৪৬ রানের রেকর্ড ব্যবধানে হারিয়ে নয়া ইতিহাস তৈরি করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। দলীয় রেকর্ডের পাশাপাশি একগুচ্ছ ব্যক্তিগত রেকর্ডও গড়েছেন বাংলা টাইগাররা।

১৯৩২ সালে প্রথম টেস্ট খেলেছিল ভারত, ১৯৫২ সালে পাকিস্তান, ১৯৮২ সালে প্রথম টেস্ট খেলেছিল শ্রীলঙ্কা। আর বাংলাদেশের প্রথম টেস্ট ২০০০ সালে। কিন্তু আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে ৫৪৬ রানের জয় টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে তৃতীয় সর্বাধাক জয়। যেই রেকর্ড নেই কোনও এশীয় দেশের।

বাংলাদেশের সবথেকে বড় জয় তো বটেই একবিংশ শতাব্দীতে টেস্টে এখনও পর্যন্ত সর্বাধিক রানে জেতার নজির গড়ল টাইগাররা। এর আগের দুটি বড় জয় সব আগের শতাব্দীতে।

একইসঙ্গে দ্বিতীয় ইনিংসে যে ৬৬১ রানের লিড নিয়েছিল বাংলাদেশ। যা্ টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে নেওয়া সর্বাধিক লিড। কোনও দল এর আগে এত বড় লিড নিতে পারেনি।

আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের হয়ে প্রথম ও দ্বিতীয় দুই ইনিংসেই শতরান করেছেন নাজমুল হাসান শান্ত। তাঁর স্কোর ১৪৬ ও ১২৪। মোমিনুল হকের পর বাংলাদেশের দ্বিতীয় ব্যাটার হিসেবে এক টেস্টে জোড়া শতরান করলেন শান্ত।

শুধু বাংলাদেশের হয়ে নয়, দুই ইনিংসে শতরান করে আরও একটি রেকর্ড গড়েছেন নাজমুল হাসান শান্ত। এক টেস্টে দুই ইনিংস মিলিয়ে রানে গড়ের নিরিখে শান্ত জায়গা করে নিয়েছেন টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে চতুর্থ স্থানে। আফগানদের বিরুদ্ধে ৮২.৮২ গড়ে ব্যাট করেন শান্ত।

যে কোনও একটি টেস্ট ম্যাচে বাংলাদেশের পেসারদের নেওয়া এটি সর্বাধিক উইকেটের ম্যাচ। এই ম্যাচে মোট ১৪টি উইকেট নিয়েছেন শরুফুল ইসলাম, তাসকিন আহমেদ, এবাদত হোসেনরা।

দুই ইনিংস মিলিয়ে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে মোট ২৬১ রান করেছে আফগানিস্তান। যা বাংলা টাইগার্সদের বিরুদ্ধে করা কোনও টেস্ট খেলীয় দেশের দুই ইনিংস মিলিয়ে সবথেকে কম স্কোর।

আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে ম্যাচে ২ ইনিংস মিলিয়ে মোট ৩ উইকেট নিয়েছেন মেহেদি হাসান। সঙ্গে গড়েছেন অনন্য রেকর্ড। বাংলাদেশের তৃতীয় ক্রিকেটার হিসেবে শাকিব ও তাইজুলের পর টেস্ট ক্রিকেটে ১৫০ উইকেটের মালিক হলেন মেহেদি।

জাতীয় দলের এমন সাফল্যে খুশি বাংলাদেশের ক্রিকেট প্রেমিরা। শুভেচ্ছা জোয়ারে ভাসছেন ক্রিকেটাররা। এরপর আফগানদের বিরুদ্ধে ৩টি একদিনের ম্যাচ ও ২টি টি-২০ ম্যাচ রয়েছে বাংলাদেশের।