Dhanteras: ধনতেরাসে ধনদেবীর আরাধনা, কেনাকাটার হিড়িক! এই দিন কেন পালিত হয়? জ্যোতিষশাস্ত্র কী বলছে দেখুন

Last Updated:
Dhanteras: শাস্ত্রমতে, ধন ত্রয়োদশীর দিন সমুদ্র মন্থন থেকে অমৃত কলস নিয়ে ধন্বন্তরী আবির্ভূত হন। সমুদ্র মন্থনের ফলে ১৪টি রত্নের উৎপত্তি হয়। এই দিন দেবী লক্ষ্মী, গণেশ এবং কুবেরের পুজো করা হয়।
1/6
উৎসব প্রিয় বাঙালি মজেছে দক্ষিণ ভারত, মহারাষ্ট্রের সংস্কৃতিতে। দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চলের বাজারগুলি ছেয়েছে গিয়েছে সোনা-রুপো সহ মাটির লক্ষ্মী-গনেশের মূর্তিতে। পাশাপাশি মঙ্গলঘট, কাঁসা-পিতলের ঘটি, বাটি সহ নানা সামগ্রী দেদার বিক্রি হচ্ছে। কেন এই ধনতেরাসের সময় লক্ষ্মীপুজো সহ কেনাকাটার হিড়িক পড়ে মানুষের মধ্যে? কী বলছে জ্যোতিষশাস্ত্র? (ছবি ও তথ্যঃ দীপিকা সরকার)
উৎসব প্রিয় বাঙালি মজেছে দক্ষিণ ভারত, মহারাষ্ট্রের সংস্কৃতিতে। দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চলের বাজারগুলি ছেয়েছে গিয়েছে সোনা-রুপো সহ মাটির লক্ষ্মী-গনেশের মূর্তিতে। পাশাপাশি মঙ্গলঘট, কাঁসা-পিতলের ঘটি, বাটি সহ নানা সামগ্রী দেদার বিক্রি হচ্ছে। কেন এই ধনতেরাসের সময় লক্ষ্মীপুজো সহ কেনাকাটার হিড়িক পড়ে মানুষের মধ্যে? কী বলছে জ্যোতিষশাস্ত্র? (ছবি ও তথ্যঃ দীপিকা সরকার)
advertisement
2/6
দীপাবলি মূলত পাঁচ দিনের উৎসব। এর মধ্যেই পড়ে ধনতেরাস। এই ‘ধন’ শব্দের অর্থ সম্পত্তি এবং 'তেরাস' মানে ত্রয়োদশী অর্থাৎ ধনসম্পদ বৃদ্ধি ও সংসারের মঙ্গল কামনায় এদিন লক্ষ্মীপুজো করা হয়। ধনতেরাসের দিন দেবী লক্ষ্মী তাঁর ভক্তদের গৃহে যান ও তাঁদের ইচ্ছাপূরণ করেন বলে বিশ্বাস। ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের কাছে এই দিনটি খুব গুরুত্বপূর্ণ। সম্পদের দেবতা কুবেরও এদিন পূজিত হন।
দীপাবলি মূলত পাঁচ দিনের উৎসব। এর মধ্যেই পড়ে ধনতেরাস। এই ‘ধন’ শব্দের অর্থ সম্পত্তি এবং 'তেরাস' মানে ত্রয়োদশী অর্থাৎ ধনসম্পদ বৃদ্ধি ও সংসারের মঙ্গল কামনায় এদিন লক্ষ্মীপুজো করা হয়। ধনতেরাসের দিন দেবী লক্ষ্মী তাঁর ভক্তদের গৃহে যান ও তাঁদের ইচ্ছাপূরণ করেন বলে বিশ্বাস। ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের কাছে এই দিনটি খুব গুরুত্বপূর্ণ। সম্পদের দেবতা কুবেরও এদিন পূজিত হন।
advertisement
3/6
দক্ষিণ ভারতে, বিশেষ করে তামিলনাড়ুতে ধনতেরাস পালিত হয় প্রধানত স্বাস্থ্য ও সমৃদ্ধির দেবতা ধন্বন্তরি ও দেবী লক্ষ্মীকে উদ্দেশ্য করে। এই উৎসবে বিশেষ আয়ুর্বেদিক ওষুধ (মারুন্ডু) তৈরি করা হয় এবং গবাদি পশুকেও সম্মান জানানো হয়। মূলত অবাঙালিদের মধ্যে এর প্রচলন থাকলেও এখন বাঙালিদের মধ্যেও ছড়িয়ে পড়েছে এই উৎসব। এই উৎসবে মূলত সোনা, রুপো কেনা হয়।
দক্ষিণ ভারতে, বিশেষ করে তামিলনাড়ুতে ধনতেরাস পালিত হয় প্রধানত স্বাস্থ্য ও সমৃদ্ধির দেবতা ধন্বন্তরি ও দেবী লক্ষ্মীকে উদ্দেশ্য করে। এই উৎসবে বিশেষ আয়ুর্বেদিক ওষুধ (মারুন্ডু) তৈরি করা হয় এবং গবাদি পশুকেও সম্মান জানানো হয়। মূলত অবাঙালিদের মধ্যে এর প্রচলন থাকলেও এখন বাঙালিদের মধ্যেও ছড়িয়ে পড়েছে এই উৎসব। এই উৎসবে মূলত সোনা, রুপো কেনা হয়।
advertisement
4/6
গত দশ বছরেও বাঙালি সংস্কৃতিতে ধনতেরাসের ছোঁয়া লাগেনি। কিন্তু মিশ্র সংস্কৃতির প্রভাবে এবং বিজ্ঞাপনের যুগে ধনতেরাস ঢুকে পড়েছে বাঙালির ঘরে ঘরে। কিন্তু এই ধনতেরাস কাকে বলে? কেনই বা পালন করা হয়?
গত দশ বছরেও বাঙালি সংস্কৃতিতে ধনতেরাসের ছোঁয়া লাগেনি। কিন্তু মিশ্র সংস্কৃতির প্রভাবে এবং বিজ্ঞাপনের যুগে ধনতেরাস ঢুকে পড়েছে বাঙালির ঘরে ঘরে। কিন্তু এই ধনতেরাস কাকে বলে? কেনই বা পালন করা হয়?
advertisement
5/6
শাস্ত্রমতে, ধন ত্রয়োদশীর দিন সমুদ্র মন্থন থেকে অমৃত কলস নিয়ে ধন্বন্তরী আবির্ভূত হন। সমুদ্র মন্থনের ফলে ১৪টি রত্নের উৎপত্তি হয়। এই দিন দেবী লক্ষ্মী, গণেশ এবং কুবেরের পুজো করা হয়। ধন্বন্তরিকে বৈদ্য, বনস্পতি এবং ওষুধের অধিপতি হিসাবে নিযুক্ত করেছিলেন বিষ্ণু। ধন্বন্তরীর আশীর্বাদে সমস্ত রোগের বিনাশ হয়ে যেত। তাই ধনতেরাসে এই দেবদেবীদের পুজো করা হয়।
শাস্ত্রমতে, ধন ত্রয়োদশীর দিন সমুদ্র মন্থন থেকে অমৃত কলস নিয়ে ধন্বন্তরী আবির্ভূত হন। সমুদ্র মন্থনের ফলে ১৪টি রত্নের উৎপত্তি হয়। এই দিন দেবী লক্ষ্মী, গণেশ এবং কুবেরের পুজো করা হয়। ধন্বন্তরিকে বৈদ্য, বনস্পতি এবং ওষুধের অধিপতি হিসাবে নিযুক্ত করেছিলেন বিষ্ণু। ধন্বন্তরীর আশীর্বাদে সমস্ত রোগের বিনাশ হয়ে যেত। তাই ধনতেরাসে এই দেবদেবীদের পুজো করা হয়।
advertisement
6/6
দুর্গাপুরের বিশিষ্ট জোতিষশাস্ত্রবিদ সন্দীপ শাস্ত্রী জানান, এটা দক্ষিণ ভারতের ও পশ্চিম ভারতের সংস্কৃতি, অবাঙালিদের রীতিনীতি। কিন্তু ১০ বছর ধরে দেখা যাচ্ছে সমগ্র ভারতবাসী এই সংস্কৃতিতে গা ভাসিয়েছেন। যেহেতু বাঙালি সমস্ত উৎসবে মাততে ভালোবাসেন, সেই জন্য বাঙালি ইদও পালন করেন আবার ক্রিসমাস ডেও করেন। স্বাভাবিক ভাবেই ধনতেরাসের সংস্কৃতিতেও জড়িয়ে পড়েছেন পশ্চিম বাংলার মানুষ। (ছবি ও তথ্যঃ দীপিকা সরকার)
দুর্গাপুরের বিশিষ্ট জোতিষশাস্ত্রবিদ সন্দীপ শাস্ত্রী জানান, এটা দক্ষিণ ভারতের ও পশ্চিম ভারতের সংস্কৃতি, অবাঙালিদের রীতিনীতি। কিন্তু ১০ বছর ধরে দেখা যাচ্ছে সমগ্র ভারতবাসী এই সংস্কৃতিতে গা ভাসিয়েছেন। যেহেতু বাঙালি সমস্ত উৎসবে মাততে ভালোবাসেন, সেই জন্য বাঙালি ইদও পালন করেন আবার ক্রিসমাস ডেও করেন। স্বাভাবিক ভাবেই ধনতেরাসের সংস্কৃতিতেও জড়িয়ে পড়েছেন পশ্চিম বাংলার মানুষ। (ছবি ও তথ্যঃ দীপিকা সরকার)
advertisement
advertisement
advertisement