গোটা গ্রামকে অন্ধকারে ডুবিয়ে কাজ হাসিল! চোরের এমন কীর্তি আগে শোনেননি

ভোরবেলায় এলাকাবাসীরা ট্রান্সফর্মারের কাছে গিয়ে দেখেন গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রাংশ নেই। হঠাৎ বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হওয়ার কারণটি তখনই পরিষ্কার হয়ে যায়। একসঙ্গে তিনটি ট্রান্সফর্মার থেকে যন্ত্রাংশ চুরি হয়েছে। এই ঘটনায় আতঙ্ক ছড়ায় গ্রামজুড়ে। মানুষজন ক্ষোভ প্রকাশ করতে শুরু করেন। সবার মনে একটাই প্রশ্ন, এত বড় চুরির ঘটনা কীভাবে ঘটল?

এলাকাবাসীরা দ্রুত বিদ্যুৎ দফতরে খবর দেন। খবর পেয়ে বিদ্যুৎ কর্মীরা ঘটনাস্থলে এসে চুরির বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তাঁরা দেখেন, একাধিক ট্রান্সফর্মারের গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রাংশ খুলে নিয়ে গেছে দুষ্কৃতীরা। বিদ্যুৎ না থাকায় অসুবিধায় পড়ে সাধারণ মানুষ। জল তোলার পাম্প বন্ধ হয়ে যাওয়ায় দিনের শুরুতেই বিপাকে পড়তে হয় স্থানীয়দের। ফলে ক্ষোভ আরও তীব্র আকার ধারণ করে।

বিদ্যুৎ দফতরের পক্ষ থেকে সঙ্গে সঙ্গে খবর দেওয়া হয় থানায়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পুরো পরিস্থিতি পরিদর্শন করে। বিদ্যুৎ দফতরের আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলে তদন্ত শুরু হয়। প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হচ্ছে, পরিকল্পিতভাবে রাতের অন্ধকারকে কাজে লাগিয়ে চুরি করেছে দুষ্কৃতীরা। বিষয়টি জানাজানি হতেই গ্রামজুড়ে আলোচনার ঝড় ওঠে।

পুলিশ তদন্তে শুরু করে এলাকায় থাকা সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে। সেখানে দেখা যায় এক যুবকের কর্মকাণ্ড। ফুটেজ থেকে শনাক্ত করা হয় ওই যুবককে। এরপর অভিযান চালিয়ে পুলিশ স্বপন দাস নামে ওই যুবককে গ্রেফতার করে। অভিযুক্ত যুবকের বাড়ি পটাশপুরের কল্যাণপুর গ্রামে।

পটাশপুর থানার আধিকারিক বলেন, এই বিষয়ে আমাদের কাছে প্রথমে বিদ্যুৎ দফতরের পক্ষ থেকে অভিযোগ জানানো হয়। অভিযোগ পাওয়ার পরই আমরা দ্রুত তদন্ত শুরু করি।  সূত্র ধরে অভিযুক্তকে শনাক্ত করা সম্ভব হয়। মঙ্গলবার বিশেষ অভিযানে ওই যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাকে কাঁথি মহকুমা আদালতে পেশ করা হবে।