সময় বদলেছে, বিশ্বাস নয়! আজও সুন্দরবনের গভীর জঙ্গলে ভরসার নাম 'বনবিবি'

Last Updated:
মৎস্যজীবী, মধু সংগ্রহকারী কিংবা কাঠুরিয়া - সবাই তাঁর আশীর্বাদ কামনা করেন।
1/6
সুন্দরবনের জঙ্গলজীবী মানুষের কাছে বনবিবি এক আরাধ্যা দেবী। মৎস্যজীবী, মধু সংগ্রহকারী কিংবা কাঠুরিয়া—সবাই তাঁর আশীর্বাদ কামনা করে। জঙ্গলে প্রবেশের আগে নদী-খাঁড়ি পেরোনোর সময় আজও তাঁকে স্মরণ করে পূজা দেওয়া হয়। সুন্দরবনের গভীর অরণ্যে বা খাঁড়ির ধারে গেলে বহু জায়গায় ছোট ছোট বনবিবি মন্দির চোখে পড়ে।
সুন্দরবনের জঙ্গলজীবী মানুষের কাছে বনবিবি এক আরাধ্যা দেবী। মৎস্যজীবী, মধু সংগ্রহকারী কিংবা কাঠুরিয়া - সবাই তাঁর আশীর্বাদ কামনা করেন। জঙ্গলে প্রবেশের আগে নদী-খাঁড়ি পেরোনোর সময় আজও তাঁকে স্মরণ করে পূজা দেওয়া হয়। সুন্দরবনের গভীর অরণ্যে বা খাঁড়ির ধারে গেলে বহু জায়গায় ছোট ছোট বনবিবি মন্দির চোখে পড়ে। (ছবি ও তথ্য : জুফিকার ম্যোল্লা)
advertisement
2/6
কেন জঙ্গলজীবীরা আজও বনবিবির পূজা করে চলেছে, তার পেছনে এক কাহিনী প্রচলিত আছে। সুন্দরবন অঞ্চলের এক প্রত্যন্ত গ্রামে বাস করত এক দরিদ্র বিধবা মা ও তাঁর ছোট ছেলে দুখে। সংসারে অভাব-অনটন থাকলেও মায়ের ভালোবাসায় দুখে বড় হচ্ছিল।
কেন জঙ্গলজীবীরা আজও বনবিবির পুজো করে চলেছেন, তার পেছনে এক কাহিনী প্রচলিত আছে। সুন্দরবন অঞ্চলের এক প্রত্যন্ত গ্রামে বাস করতেন এক দরিদ্র বিধবা মা ও তাঁর ছোট ছেলে দুখে। সংসারে অভাব-অনটন থাকলেও মায়ের ভালবাসায় দুখে বড় হচ্ছিল। (ছবি ও তথ্য : জুফিকার ম্যোল্লা)
advertisement
3/6
দুখের দুই জ্ঞাতি কাকা ছিল পাশের গ্রামে—ধনা আর মনা। একদিন তারা জঙ্গলে মধু আহরণ করতে গিয়ে দুখেকে সঙ্গী করে নেয়। যাওয়ার আগে মা দুখেকে বলে দেন—“বনে আমার মতো আরেক মা আছেন, বিপদে পড়লে তাঁকে ডাকিস।” এই কথাই পরে দুখের জীবনে আশ্রয় হয়ে ওঠে।
দুখের দুই জ্ঞাতি কাকা ছিল পাশের গ্রামে -ধনা আর মনা। একদিন তারা জঙ্গলে মধু আহরণ করতে গিয়ে দুখেকে সঙ্গী করে নেয়। যাওয়ার আগে মা দুখেকে বলে দেন - “বনে আমার মতো আরেক মা আছেন, বিপদে পড়লে তাঁকে ডাকিস।” এই কথাই পরে দুখের জীবনে আশ্রয় হয়ে ওঠে। (ছবি ও তথ্য : জুফিকার ম্যোল্লা)
advertisement
4/6
জঙ্গলে পৌঁছে ধনা-মনা স্বপ্নে জঙ্গলের অধিপতি দক্ষিণ রায়ের দর্শন পায়। বাঘরূপী দক্ষিণ রায় তাদের বিপুল সম্পদের লোভ দেখিয়ে দুখেকে উৎসর্গ করতে বলে। লোভে অন্ধ হয়ে দুই ভাই দুখেকে জল আনতে পাঠিয়ে নৌকা ছেড়ে পালিয়ে যায়।
জঙ্গলে পৌঁছে ধনা-মনা স্বপ্নে জঙ্গলের অধিপতি দক্ষিণ রায়ের দর্শন পায়। বাঘরূপী দক্ষিণ রায় তাদের বিপুল সম্পদের লোভ দেখিয়ে দুখেকে উৎসর্গ করতে বলে। লোভে অন্ধ হয়ে দুই ভাই দুখেকে জল আনতে পাঠিয়ে নৌকা ছেড়ে পালিয়ে যায়। (ছবি ও তথ্য : জুফিকার ম্যোল্লা)
advertisement
5/6
নিরাশ দুখে তখন মায়ের শেখানো কথা মনে করে বনবিবিকে স্মরণ করে। বনবিবি তাঁর আর্তি শুনে উপস্থিত হন এবং বাঘরূপী দক্ষিণ রায়ের হাত থেকে দুখেকে রক্ষা করেন। এরপর তিনি দুখেকে কুমিরের পিঠে ভাসিয়ে নিরাপদে মায়ের কাছে পৌঁছে দেন।
নিরাশ দুখে তখন মায়ের শেখানো কথা মনে করে বনবিবিকে স্মরণ করে। বনবিবি তাঁর আর্তি শুনে উপস্থিত হন এবং বাঘরূপী দক্ষিণ রায়ের হাত থেকে দুখেকে রক্ষা করেন। এরপর তিনি দুখেকে কুমিরের পিঠে ভাসিয়ে নিরাপদে মায়ের কাছে পৌঁছে দেন। (ছবি ও তথ্য : জুফিকার ম্যোল্লা)
advertisement
6/6
এই অলৌকিক ঘটনার পর থেকেই দুখে ও তাঁর মা বনবিবিকে দেবী রূপে পূজা করতে শুরু করেন। ধনা-মনা নিজেদের কুকর্মে লজ্জিত হয়। আর সেই ঘটনার পর থেকে প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে সুন্দরবনের জঙ্গলজীবীরা বনবিবিকে জঙ্গলের রক্ষাকর্ত্রী হিসেবে আরাধনা করে আসছে।
এই অলৌকিক ঘটনার পর থেকেই দুখে ও তাঁর মা বনবিবিকে দেবী রূপে পূজা করতে শুরু করেন। ধনা-মনা নিজেদের কুকর্মে লজ্জিত হয়। আর সেই ঘটনার পর থেকে প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে সুন্দরবনের জঙ্গলজীবীরা বনবিবিকে জঙ্গলের রক্ষাকর্ত্রী হিসেবে আরাধনা করে আসছে। (ছবি ও তথ্য : জুফিকার ম্যোল্লা)
advertisement
advertisement
advertisement