Digha Raas Purnima: রাসপূর্ণিমার পবিত্র দিনে দিঘায় লক্ষ লক্ষ পুণ্যার্থীর ভিড়, ভোররাত থেকে চলছে সমুদ্র স্নান, খোল-করতাল ও শঙ্খধ্বনিতে মুখরিত সৈকত
- Published by:Ananya Chakraborty
- hyperlocal
- Reported by:Madan Maity
Last Updated:
Digha Raas Purnima: রাসপূর্ণিমার পবিত্র দিনে দিঘার সমুদ্র সৈকতে লক্ষ লক্ষ পুণ্যার্থীর ভিড়। ভীষ্ম পঞ্চক ব্রত ভঙ্গ উপলক্ষে ভোররাত থেকে সমুদ্র স্নান ও কৃষ্ণনাম সংকীর্তন চলছে।
দিঘার সমুদ্র সৈকতে বুধবার সকাল থেকেই উপচে পড়ছে পুন্যার্থীদের ভিড়। রাসপূর্ণিমার পবিত্র দিনে ভীষ্ম পঞ্চক ব্রত ভঙ্গের শুভক্ষণ ঘিরে সমুদ্র স্নানে মেতে উঠেছেন ভক্তরা। কার্তিক মাসের শেষ পাঁচ দিনে এই ব্রত পালন করেন হিন্দু ধর্মের মানুষ এবং পূর্ণিমার দিনে তা শেষ হয়। ভোররাত থেকেই সূর্যোদয়ের আগে ভক্তরা সমুদ্র স্নান করে খোল-করতাল বাজিয়ে ভক্তি সঙ্গীতে অংশ নেন। বুধবার সকাল থেকেই দিঘার সমুদ্রে থিক থিক করছে পূণ্যার্থীদের ভিড়। (তথ্য ও ছবি : মদন মাইতি)
advertisement
ভোর থেকেই দিঘার সৈকতে লক্ষ লক্ষ মানুষের সমাগম। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আগত ভক্তদের ঢল নেমেছে সমুদ্র তীরে। পর্যটকদের পাশাপাশি স্থানীয় বাসিন্দারাও ভীষ্ম পঞ্চক ব্রত ভঙ্গের জন্য ভিড় জমিয়েছেন। একদিকে চলছে সমুদ্র স্নান, অন্যদিকে ভাসছে কৃষ্ণ নামের সুর। রাসপূর্ণিমার মাহাত্ম্য উপলব্ধি করতে সকলে অংশ নিচ্ছেন এই ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠানে। বুধবার সকাল থেকেই দিঘা সমুদ্র সৈকতে নাম সংকীর্তনে ভোরে উঠেছে।
advertisement
ভক্তদের বিশ্বাস, এই দিনে স্নান ও দান করলে পাপ মোচন হয় এবং অশেষ পুণ্য লাভ করা যায়। তাই বুধবার সকালে দিঘার সমুদ্রে প্রতিটি ঘাটেই সমুদ্র স্নানের ঠিক ঠিক করছে পুন্যার্থীদের ভিড়। স্নান শেষে অনেকে প্রদীপ জ্বালিয়ে প্রার্থনা করছেন পরিবারের মঙ্গল কামনায়। হাতে ফুল, ধূপ, নারকেল, ফল নিয়ে চলছে পুজার্চনা।
advertisement
advertisement
এক পুন্যার্থী সবিতা গিরি বলেন, “আজকের দিনটি আমাদের জন্য অত্যন্ত পবিত্র। কার্তিক মাসের রাসপূর্ণিমা শুধু ভীষ্ম পঞ্চক ব্রত ভঙ্গের দিন নয়, এটি আত্মশুদ্ধিরও প্রতীক। বিশ্বাস করা হয়, আজকের দিনে সমুদ্র স্নান করলে জীবনের সমস্ত দুঃখ-কষ্ট দূর হয় এবং মন শান্ত হয়। তাই ভোরবেলা থেকেই আমরা ভগবানের নামে স্নান ও প্রার্থনা করছি পুণ্য লাভের আশায়।”
advertisement
পুন্যার্থীদের এই বিপুল ভিড় সামাল দিতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা। সৈকতের প্রতি ঘাটে ঘাটে পুলিশ ও সিভিল ডিফেন্স কর্মীদের মোতায়েন করা হয়েছে। দফায় দফায় মাইকিং করে পুন্যার্থীদের সতর্ক করা হচ্ছে। কোনও রকম অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে সতর্ক প্রশাসন। পাশাপাশি পর্যটক ও স্থানীয়দের জন্য নির্দিষ্ট এলাকায় ব্যারিকেড বসানো হয়েছে।
