পাওয়ার লিফটিংয়ে পথ দেখাচ্ছে দিঘা! এখান থেকেই নির্বাচিত হবেন ভারতের প্রতিনিধি! লক্ষ্য কাজাখস্তান ও শ্রীলঙ্কা!
- Published by:Soumendu Chakraborty
- hyperlocal
- Reported by:Madan Maity
Last Updated:
দিঘা থেকে শুরু আন্তর্জাতিক যাত্রা, লক্ষ্য কাজাখস্তান ও শ্রীলঙ্কা।
দিঘার বুকে শুরু হল পূর্ব ভারতের ও উত্তর-পূর্ব ভারতের পাওয়ারলিফটিং ও আর্ম রেসলিং প্রতিযোগিতা। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রতিযোগীরা ছুটে এসেছেন এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে। এখান থেকেই নির্বাচিত হবেন ভারতের প্রতিনিধিরা, যারা পরবর্তী সময়ে কাজাখস্তান ও শ্রীলঙ্কায় বিশ্বজয়ের লক্ষ্যে দেশের হয়ে খেলতে যাবে। পর্যটন নগরী দিঘা এবার খেলাধুলার নতুন মঞ্চে পরিণত হয়েছে। ফলে খেলোয়াড়রা যেমন সুযোগ পাচ্ছেন, তেমনই পর্যটনের ক্ষেত্রেও দিঘা বাড়তি গুরুত্ব পাচ্ছে।
advertisement
এই আয়োজনে অংশ নিতে ছুটে এসেছেন বাংলার পাশাপাশি ওড়িশা, ঝাড়খণ্ড, বিহার, আসাম, মিজোরাম ও ত্রিপুরার নামকরা খেলোয়াড়রা। মোট ২৫০ জন প্রতিযোগী মাঠে নামছেন নিজেদের শক্তি ও দক্ষতা দেখাতে। এটি শুধু প্রতিযোগিতা নয়, বরং আন্তঃরাজ্য মেলবন্ধনেরও উৎসব। খেলোয়াড়রা একে অপরের সঙ্গে পরিচিত হচ্ছেন, গড়ে উঠছে নতুন সম্পর্ক। ভবিষ্যতে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ভারতীয় মজবুত দল গঠনে এই প্রতিযোগিতা বড় ভূমিকা রাখবে।
advertisement
অনেকের কাছেই প্রশ্ন থাকে, পাওয়ারলিফটিং ও আর্ম রেসলিং আসলে কী খেলা? পাওয়ারলিফটিং হল ওজন তুলে শক্তি প্রদর্শনের খেলা, যেখানে প্রতিযোগীরা স্কোয়াট, বেঞ্চ প্রেস ও ডেডলিফট করে নিজেদের ক্ষমতা দেখান। অন্যদিকে আর্ম রেসলিং হলো হাতে শক্তি মাপার প্রতিযোগিতা, যেখানে দুই প্রতিদ্বন্দ্বী হাত ধরে টেবিলে লড়াই করেন। এই দুটি খেলাই শারীরিক শক্তি, নিয়মিত অনুশীলন ও মানসিক দৃঢ়তার পরীক্ষা নেয়। ফলে তরুণদের কাছে এ খেলার আলাদা আকর্ষণ রয়েছে।
advertisement
এই প্রতিযোগিতার মাধ্যমে শুধু খেলোয়াড় নয়, সাধারণ পর্যটকরাও লাভবান হচ্ছেন। দিঘার হোটেল, রেস্তোরাঁ, দোকানপাটে ভিড় বাড়ছে, ফলে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের আয় বেড়েছে। আবার তরুণ প্রজন্ম এই ধরনের আন্তর্জাতিক মানের খেলাধুলা কাছ থেকে দেখে অনুপ্রাণিত হচ্ছে। সুস্থ শরীরের গুরুত্ব বোঝাতে ও শরীরচর্চার প্রতি আগ্রহী করে তুলতে এই প্রতিযোগিতার ভূমিকা বিশাল। এখান থেকেই ভবিষ্যতে অনেক তরুণ হয়তো এই ধরনের খেলায় ক্যারিয়ার গড়তে উৎসাহিত হবে।
advertisement
দিঘার এই প্রতিযোগিতাই নির্বাচনের প্রধান আসর। এখান থেকে বাছাই করা হবে ভারতের সেই খেলোয়াড়দের, যারা আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় কাজাখস্তান ও শ্রীলঙ্কায় দেশের হয়ে খেলবেন। তাই প্রতিটি প্রতিযোগীর জন্যই এটি এক অনন্য সুযোগ। জয় বা পরাজয়ের বাইরে গিয়ে, এই প্রতিযোগিতা প্রতিটি খেলোয়াড়ের জীবনে নতুন অধ্যায় লিখছে। আন্তর্জাতিক মঞ্চে খেলোয়াড়দের সাফল্য মানে দেশের সাফল্য, আর সেই প্রস্তুতির সাক্ষী থাকছে দিঘা।
advertisement
আয়োজক সংস্থার পক্ষ থেকে অনুপ যাদব বলেন, “এই ধরনের প্রতিযোগিতা আয়োজনের মূল উদ্দেশ্য হলো তরুণ প্রজন্মকে খেলাধুলার প্রতি উৎসাহিত করা এবং তাদের আন্তর্জাতিক মঞ্চে তুলে ধরা। আমরা চাই ভারতের নাম বিদেশে আরও উজ্জ্বল হোক। দিঘার মত জায়গায় এই আয়োজন করলে খেলোয়াড়রা যেমন অনুপ্রাণিত হন, তেমনই সাধারণ মানুষও সুস্থ জীবনযাপনের বার্তা পান।” ফলে দিঘা শুধুই সমুদ্র সৈকতের শহর নয়, বরং খেলাধুলার আসর হিসেবেও প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে।