মোবাইলে আসক্তি দূর করছে এই খেলা! বাচ্চাদের মধ্যে উৎসাহ প্রবল

Last Updated:
বিশেষভাবে ৯ ও ১০ বছরের বাচ্চারা পেল ব্ল্যাক বেল্ট। মোট তিনজন ব্ল্যাক বেল্ট পায়। এদের মধ্যে একজনের বয়স ৯ বছর, একজন ১০ এবং তৃতীয়জন ১৫ বছর বয়সী। এই ব্ল্যাক বেল্ট হচ্ছে ক্যারাটে প্রশিক্ষণের সর্বশেষ বেল্ট
1/6
বর্তমানে মোবাইলের নেশায় আসক্ত হয়ে পড়ছে বাচ্চারা। শিশুদের মধ্যে অনেকেই খেতে বসে মোবাইলে কার্টুন বা গান দেখতে দেখতে খাবার খাচ্ছে। কেউ আবার পড়াশোনার পরে মোবাইলে ভিডিও দেখছে। যদি না দেওয়া হয় তখন বায়না জুড়ে দেয়। ফলে বাধ্য হয়ে অভিভাবকদের হাতে তুলে দিতে হচ্ছে মোবাইল। এখন আর মাঠে বন্ধুদের সঙ্গে খেলতেও যাচ্ছে না। যেনও মোবাইলের নেশায় আসক্ত হয়ে পড়ছে। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে একটু ব্যাতিক্রমী ছবি দেখা গেল।[ছবি ও তথ্য: রিন্টু পাঁজা]
advertisement
2/6
বাচ্চাদের মোবাইল আশক্তি থেকে দূরে রাখতে বিভিন্ন খেলা বা অন্য কোনও প্রশিক্ষণে যুক্ত করাটা ভাল বলে পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। তাই অনেকের পরিবার ভর্তি করিয়ে দেয় ক্যারাটে, কাওকে আবার যোগাসনে বা ক্রিকেটে। যার ফলে বাচ্চাদের মধ্যে মোবাইল আশক্তি কমছে ধীরে ধীরে।[ছবি ও তথ্য: রিন্টু পাঁজা]
advertisement
3/6
এমনই ছবি দেখা গেল আসানসোলের বার্নপুরে। বার্নপুর রিভার সাইড ক্যারাটে অ্যাকাডেমির পক্ষ থেকে হিরাপুর এলাকায় অনুষ্ঠিত হল ক্যারাটে বেল্ট গ্রেডেশন প্রতিযোগিতা। ছোট্ট ছোট্ট শিশু থেকে স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীরা যারা ক্যারাটে প্রশিক্ষণ নিচ্ছে তারা সারা বছর পরিশ্রম করে চলেছে। এদিন তাদের হাতে পদ অনুযায়ী বিভিন্ন বেল্ট ও স্বারক তুলে দেওয়া হয়।[ছবি ও তথ্য: রিন্টু পাঁজা]
advertisement
4/6
এদিন বিশেষভাবে ৯ ও ১০ বছরের বাচ্চারা পেল ব্ল্যাক বেল্ট। মোট তিনজন ব্ল্যাক বেল্ট পায়। এদের মধ্যে একজনের বয়স ৯ বছর, একজন ১০ এবং তৃতীয়জন ১৫ বছর বয়সী। এই ব্ল্যাক বেল্ট হচ্ছে ক্যারাটে প্রশিক্ষণের সর্বশেষ বেল্ট। যে বেল্ট পেতে গেলে করতে হয় কঠোর পরিশ্রম। যারা ব্ল্যাক বেল্ট পেল তাদের নাম আশী শ্রীবাস্তব, হার্ষিত রাজ, লুৎফিয়া কাজী। এরা জাতীয় ও আন্তর্জাতিক স্তরে ক্যারাটে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে এসেছে।[ছবি ও তথ্য: রিন্টু পাঁজা]
advertisement
5/6
জানা গিয়েছে, এরা কঠোর পরিশ্রম করে চলেছে ৫ বছর ধরে। প্রথমে হোয়াইট বেল থেকে শুরু করে একের পর এক বেল্ট সংগ্রহ করে। সর্বশেষ হিসাবে ব্ল্যাক বেল্ট তুলে দেওয়া হয় তাদের হাতে। এছাড়াও অল ইন্ডিয়া ক্যারাটে প্রশিক্ষণের পক্ষ থেকে সার্টিফিকেট তুলে দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এশিয়া প্যাসিফিক এবং আফ্রিকা কন্টিনেন্টাল জোনের পাওয়ার লিফটিং প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন কুন্তল দাস, আসানসোল পুর নিগমের ৯৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সিবানন্দ বাউরি সহ আরও অনেকে।[ছবি ও তথ্য: রিন্টু পাঁজা]
advertisement
6/6
ক্যারাটে প্রশিক্ষক সিঙ্কু ব্যানার্জি বলেন, বর্তমানে আমি সমস্ত অভিভাবকদের অনুরোধ করব, এখনকার বাচ্চাদের মোবাইলের নেশা থেকে দূর রাখতে ও মেয়েদের আত্মরক্ষার জন্য ক্যারাটে প্রশিক্ষণ নেওয়া অবশ্যই দরকার। সারা বছর পরিশ্রম করার পর আজকে ছাত্র-ছাত্রীদেরকে বেল্ট গ্রেডেশন করা হল। রবিবার সেই অনুষ্টানের আয়োজন করা হয়।[ছবি ও তথ্য: রিন্টু পাঁজা]
advertisement
advertisement
advertisement