

*নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে, সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলি বাংলার মাটি কামড়ে ধরতে চাইছে। পিছিয়ে নেই ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা। রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলের সঙ্গে ইতিমধ্যেই রাজনৈতিক লড়াই শুরু হয়ে গিয়েছে বিজেপি-সহ সমস্ত বিরোধী দলগুলির। এ বার আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকায় ভোটব্যাঙ্কে ধস নামাতে ২০২১-র বিধানসভা নির্বাচনে লড়াই করতে চলেছে ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা। তথ্য ও ছবি: অক্ষয় ধীবর।


*রবিবার কলকাতা বড় বাজারে একটি গেস্টহাউজে বিশেষ বৈঠক করেন ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা কেন্দ্রীয় মহাসচিব সুপ্রিয় ভট্টাচার্য। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ঝাড়খণ্ডের আদিবাসী উন্নয়ন মন্ত্রী চম্পায় সোরেন, বিধায়ক সমীর মোহান্তি-সহ পশ্চিমবঙ্গের দায়িত্বে থাকা নেতাকর্মীরা। বিভিন্ন জেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা ও হাজির ছিলেন বৈঠকে।


*পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকাতেই নির্বাচনে লড়বে দল। ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া, পশ্চিম বর্ধমান, পুরুলিয়া, হুগলি, দার্জিলিং, মালদা, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি, বীরভূম-সহ বিভিন্ন জেলায় প্রার্থী দেবে মোর্চা, এমনটাই জানিয়েছেন ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা কেন্দ্রীয় মহাসচিব সুপ্রিয় ভট্টাচার্য্য। এ দিন সস্ত্রীক তারাপীঠে পুজো দেন ঝাড়খন্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন।


*রবিবার বিকেল পাঁচ'টা নাগাদ তিনি তারাপীঠ মন্দিরে আসেন এবং তারা মায়ের পুজো দেন। এ দিন হেমন্ত সোরেনের সঙ্গে এসেছিলেন তার বাবা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শিবু সোরেন, মা রুপি সোরেন এবং বৌদি সীতা সোরেন ও ছেলে মেয়েরা। বলেন, 'তারাপীঠ মন্দিরে আগেও এসেছি। এ বারে অনেকদিন পরে সপরিবারে পুজো দিতে এসেছি মায়ের কাছে। সকলের মঙ্গল কামনা করলাম।'


*রাজনীতি নিয়ে প্রশ্ন করা হলে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'এটা রাজনীতির মঞ্চ নয়। তাই রাজনীতির কথা বলব।' তারাপীঠের উন্নয়ন হয়েছে সে কথা স্বীকার করেছেন একবাক্যে। তারা মায়ের কাছে সকলের জন্য মঙ্গল কামনা করেছেন। তবে বিধানসভা নির্বাচনে ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার প্রার্থী দেওয়া প্রসঙ্গে কোনও মন্তব্য করেননি শিবু সোরেন বা হেমন্ত সোরেন।