দিঘা যাওয়া এবারে আরও সহজ! স্পেশ্যাল লোকাল চালাচ্ছে রেল, লক্ষ লক্ষ পর্যটকদের জন্য বিরাট পদক্ষেপ
- Published by:Shubhagata Dey
- hyperlocal
- Reported by:Madan Maity
Last Updated:
Indian Railways: দিঘা ঘুরতে যাওয়ার চিন্তা এবার ফুরোল, শুক্রবার থেকে শুরু স্পেশ্যাল ট্রেন। দিঘা ঘুরতে আসা যাত্রীদের জন্য বড় সুখবর দিল রেল কর্তৃপক্ষ। পাঁশকুড়া-দিঘা রুটে চলাচলকারী বিশেষ লোকাল ট্রেনের সময়সীমা আরও এক দফা বাড়ান হয়েছে। পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী এই পরিষেবা ২৫ জুলাই পর্যন্ত চালু থাকার কথা ছিল।
*দিঘা ঘুরতে আসা যাত্রীদের জন্য বড় সুখবর দিল রেল কর্তৃপক্ষ। পাঁশকুড়া-দিঘা রুটে চলাচলকারী বিশেষ লোকাল ট্রেনের সময়সীমা আরও এক দফা বাড়ান হয়েছে। পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী এই পরিষেবা ২৫ জুলাই পর্যন্ত চালু থাকার কথা ছিল। কিন্তু যাত্রীদের চাহিদার কথা মাথায় রেখে দক্ষিণ-পূর্ব রেল সিদ্ধান্ত নিয়েছে, ট্রেনটি আগামী ৯ অগাস্ট ২০২৫ পর্যন্ত প্রতিদিন চলবে। ফলে ছুটির দিনে যারা দিঘা ভ্রমণে আসার পরিকল্পনা করছেন, তাদের জন্য এটি একটি স্বস্তির খবর।
advertisement
*দিঘা ও পাঁশকুড়া দুই স্টেশন থেকে প্রতিদিন ট্রেন চলবে নির্দিষ্ট সময়ে। সকাল ৭টায় পাঁশকুড়া স্টেশন থেকে ০৮১১৭ নম্বর পাঁশকুড়া-দিঘা ইএমইউ লোকাল ছাড়বে এবং সকাল ৯ঃ২০ মিনিট নাগাদ দিঘা পৌঁছবে। অপরদিকে, দিঘা থেকে পাঁশকুড়ার দিকে ফিরতি ট্রেন ০৮১১৮ সকাল ৯ঃ৩০ মিনিটে ছেড়ে ১১ঃ৫০ মিনিটে পাঁশকুড়ায় পৌঁছবে। যাত্রীদের সময় মেনে যাত্রা নিশ্চিত করতে এই সূচি নির্ধারণ করেছে রেল কর্তৃপক্ষ।
advertisement
*রেলের দেওয়া বিজ্ঞপ্তিতে স্পষ্ট উল্লেখ রয়েছে, এই দুইটি ট্রেন দিঘা ও পাঁশকুড়ার মাঝখানের প্রতিটি স্টেশনে থামবে। অর্থাৎ এই রুটে ছোট বা বড় প্রতিটি স্টেশনেই যাত্রীরা ওঠানামা করতে পারবেন। বিশেষ করে গ্রামের যাত্রীরা যারা মাঝপথের স্টেশন থেকে দিঘা বা পাঁশকুড়ার দিকে যাতায়াত করেন, তারা এই সুযোগের পুরোপুরি উপভোগ করতে পারবেন।
advertisement
*সপ্তাহান্তে বা ছুটির দিনে দিঘা হয়ে ওঠে পর্যটকের মিলনক্ষেত্র। সেই অতিরিক্ত ভিড় সামাল দিতেই এই বিশেষ ট্রেন চলাচলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দক্ষিণ-পূর্ব রেল। আগে সীমিত সময়ের জন্য চালু হলেও ট্রেনটির জনপ্রিয়তা দেখে সময়সীমা বাড়ান হয়েছে। ফলে পাঁশকুড়া বা হাওড়া দিক থেকে দিঘায় যাওয়া আরও সহজ হচ্ছে সাধারণ মানুষের জন্য।
advertisement
*এই ট্রেন কেবল পর্যটকদের জন্য নয়, দিঘা-পাঁশকুড়া রুটে দৈনিক যাতায়াতকারী স্থানীয় বাসিন্দারাও এর মাধ্যমে উপকৃত হচ্ছেন। অফিসগামী, কলেজ পড়ুয়া, ব্যবসায়ী ও ছোটখাটো দোকানদাররাও এই ট্রেন ব্যবহার করে প্রতিদিনের যাতায়াত অনেক সহজে করতে পারছেন। কম খরচে এবং সময়মত পৌঁছনোর কারণে এই ট্রেনগুলি ইতিমধ্যেই অনেকের ভরসা হয়ে উঠেছে।
advertisement
*এই বিশেষ ট্রেন পরিষেবা রেলের একটি পর্যটন-সহায়ক পদক্ষেপ বলেই মনে করছেন দিঘার হোটেল ব্যবসায়ী ও পর্যটনকর্মীরা। প্রতি বছর দিঘায় লাখ লাখ পর্যটক আসেন। ট্রেনের পরিষেবা আরও সহজ ও নিয়মিত হলে এখানকার হোটেল, রেস্টুরেন্ট ও অন্যান্য ব্যবসাও লাভবান হবে। অর্থাৎ রেলের এই সিদ্ধান্ত শুধু যাত্রীদের জন্য নয়, দিঘার স্থানীয় অর্থনীতির জন্যও ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।