বদলে গেল আদ্রা স্টেশনের টিকিট বুকিং সিস্টেম! এবার লাইনে না দাঁড়িয়েই টুক করে মিলছে টিকিট, খুশিতে ডগমগ যাত্রীরা
- Published by:Madhab Das
- hyperlocal
- Reported by:Shantonu Das
Last Updated:
আদ্রা জংশনে নতুনভাবে নির্মিত হওয়া টিকিট কাউন্টারটিকে আধুনিক এবং যাত্রীবান্ধব রূপে গড়ে তোলা হয়েছে। যাত্রীদের দ্রুত ও সুবিধাজনকভাবে টিকিট কাটার জন্য বিশেষ প্রযুক্তিনির্ভর ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে।
অমৃত ভারত প্রকল্পে নবজাগরণ, আধুনিক রূপে সেজে উঠছে দক্ষিণ-পূর্ব রেলের অন্যতম আদ্রা জংশন। আধুনিক পরিকাঠামো, যাত্রীবান্ধব পরিষেবা, উন্নত প্রযুক্তি এবং পরিবেশবান্ধব ব্যবস্থা যুক্ত করে জংশনটিকে আন্তর্জাতিক মানের করে তোলা হচ্ছে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে আদ্রা স্টেশন শুধু একটি যাত্রা শুরুর স্থানই নয়, বরং একটি আধুনিক রেল পরিবহন কেন্দ্র হিসেবে পরিণত হতে চলেছে। (ছবি ও তথ্য: শান্তনু দাস)
advertisement
advertisement
advertisement
advertisement
advertisement
advertisement
জংশনে আধুনিক ইলেকট্রনিক ইন্টারলকিং ব্যবস্থা নতুনভাবে চালু করা হয়েছে। এই প্রযুক্তির মাধ্যমে বিভিন্ন মেশিন ও যন্ত্রপাতির সহায়তায় চলমান ট্রেনগুলোর অবস্থান, গতি ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্য নিরবচ্ছিন্নভাবে পর্যবেক্ষণ করা সম্ভব হচ্ছে। এর ফলে ট্রেন চলাচলে নিরাপত্তা ও নিয়ন্ত্রণের মাত্রা আরও বেড়েছে। (ছবি ও তথ্য: শান্তনু দাস)
advertisement
যাত্রীদের সুবিধার কথা মাথায় রেখে আদ্রা জংশনের বাইরের অংশে ট্রেনের সময়সূচি দেখার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা করা হয়েছে। স্থাপন করা হয়েছে এলইডি স্ক্রিন, যেখানে রিয়েল-টাইমে ট্রেনের আগমন ও প্রস্থানের সময়সূচি প্রদর্শিত হচ্ছে। এর ফলে যাত্রীরা সহজেই নির্দিষ্ট ট্রেনের তথ্য জানতে পারছেন এবং তাদের যাত্রা আরও সুশৃঙ্খল ও পরিকল্পিতভাবে পরিচালনা করতে পারছেন। (ছবি ও তথ্য: শান্তনু দাস)
advertisement
আদ্রা জংশন শুধুমাত্র যাত্রীদের চলাচলের একটি কেন্দ্রই নয়, বরং এটি এক অনন্য সাংস্কৃতিক অভিজ্ঞতার ক্ষেত্রও বটে। এখানে উপস্থাপিত হয়েছে পুরুলিয়ার ঐতিহ্যবাহী ছৌ নৃত্যের মনোমুগ্ধকর দৃশ্যাবলি, যা দেখলে যে কোনও দর্শনার্থী মুগ্ধ না হয়ে থাকতে পারবেন না। যাত্রীরা এখানে দাঁড়িয়ে পুরুলিয়ার লোকসংস্কৃতির এই মহামূল্যবান রত্ন সম্পর্কে জানতে পারবেন। ছৌ নৃত্যের পেছনের ইতিহাস, তার বিভিন্ন রূপ, মুখোশ শিল্প, এবং এই নৃত্যের মাধ্যমে প্রকাশিত পৌরাণিক ও বীরত্বগাথা কাহিনিগুলো একত্রে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে এখানে। (ছবি ও তথ্য: শান্তনু দাস)
advertisement
রেল সূত্রে জানা গিয়েছে , সমগ্র দক্ষিণ পূর্ব রেলের মধ্যে অমৃত ভারত প্রকল্পে ৪৬-টি স্টেশন রয়েছে। সমগ্র আদ্রা ডিভিশনে অমৃত ভারত স্টেশনের জন্য ৪০৯.৩৭ কোটি বরাদ্দ রয়েছে। তার মধ্যে বাংলার ১২ টি স্টেশনের জন্য ২৭০.১৪ কোটি টাকা বরাদ্দ আছে। ঝাড়খণ্ডের তিন স্টেশনের জন্য বরাদ্দকৃত অর্থের পরিমাণ ১৩৯.২৩ কোটি। (ছবি ও তথ্য: শান্তনু দাস)
advertisement
রেল যাত্রী আকাশ ব্যানার্জি, অভিষেক কর্মকার, পরিতোষ মুখার্জী বলেন, "আধুনিকতার ছোঁয়ায় নতুন রূপ পাওয়া আদ্রা জংশন এখন আমাদের কাছে একটি গর্বের জায়গা। যেখানে আধুনিক পরিকাঠামো, যাত্রীবান্ধব পরিষেবা, উন্নত প্রযুক্তি ও পরিবেশবান্ধব ব্যবস্থার সংযোজন আমাদের অভিজ্ঞতাকে আরও আরামদায়ক ও স্মরণীয় করে তুলছে।” (ছবি ও তথ্য: শান্তনু দাস)
advertisement