North 24 Parganas News:  ব্যারাকপুরে আচমকা হলটা কী? গঙ্গার পাড়ে উপচে পড়ল ভিড়, কাতারে কাতারে মানুষের ঢল কেন?

Last Updated:
North 24 Parganas News:  ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চল-সহ গঙ্গা তীরবর্তী মানুষদের মধ্যে এই উৎসবকে ঘিরেই এখন আনন্দের মেজাজ। এখন ছট পুজোর উদযাপন শুধু অবাঙালিদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নেই। সারাদেশের বিভিন্ন সম্প্রদায় এবং ধর্মের মানুষ এখন এই উৎসবকে আপন করে নিয়েছে।
1/5
উত্তর ২৪ পরগনা, রুদ্র নারায়ণ রায়: জাঁকজমক ভাবে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের পাশাপাশি জেলায়ও পালিত হচ্ছে ছট পুজো উৎসব। মূলত এদিন গঙ্গা পুজোয় অংশ নেন ছটব্রতীরা। দীপাবলির পরেই পালিত হয়ে থাকে এই ছট পুজো। চার দিন ধরে চলে পুজো। ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চল সহ গঙ্গা তীরবর্তী হিন্দিভাষী মানুষদের মধ্যে এই উৎসবকে ঘিরে এখন তাই আনন্দের মেজাজ
উত্তর ২৪ পরগনা, রুদ্র নারায়ণ রায়: জাঁকজমক ভাবে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের পাশাপাশি জেলায়ও পালিত হচ্ছে ছট পুজো উৎসব। মূলত এদিন গঙ্গা পুজোয় অংশ নেন ছটব্রতীরা। দীপাবলির পরেই পালিত হয়ে থাকে এই ছট পুজো। চার দিন ধরে চলে পুজো। ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চল-সহ গঙ্গা তীরবর্তী মানুষদের মধ্যে এই উৎসবকে ঘিরে এখন তাই আনন্দের মেজাজ।
advertisement
2/5
জানা যায় এটি মূলত সূর্যদেব ও তার পত্নী উষা দেবীর পুজো। উপাস রেখে এই পুজো করতে হয় বলে বেশ কষ্টসাধ্য কাজ, ছট পুজোয় প্রচুর রীতি আচার মানতে হয়। সূর্যোদয়ের আগেই স্নান সেরে ফেলতে হয়। সারাদিন নীরম্বু উপবাস রাখা হয়। মহাভারতে ছটের সূত্র পাওয়া যায়। সূর্যপুত্র কর্ণের সূর্য উপাসনা থেকে এই রীতির প্রচলন বলেও অনেকে মনে করেন
জানা যায় এটি মূলত সূর্যদেব ও তার পত্নী উষা দেবীর পুজো। উপাস রেখে এই পুজো করতে হয় বলে বেশ কষ্টসাধ্য কাজ, ছট পুজোয় প্রচুর রীতি আচার মানতে হয়। সূর্যোদয়ের আগেই স্নান সেরে ফেলতে হয়। সারাদিন নীরম্বু উপবাস রাখা হয়। মহাভারতে ছটের সূত্র পাওয়া যায়। সূর্যপুত্র কর্ণের সূর্য উপাসনা থেকে এই রীতির প্রচলন বলেও অনেকে মনে করেন।
advertisement
3/5
আবার অনেকের মতে, ১৪ বছর বনবাস কাটিয়ে রামচন্দ্র অযোধ্যায় ফেরেন, ফিরে তিনি ও সীতা দুজনেই সূর্য দেবতার তপস্যায় উপবাস করেন বলেও মনে করেন অনেকে। ছটব্রতীরা তাই গঙ্গায় গিয়ে পুজোর মাধ্যমে নিজেদের অর্ঘ্য নিবেদন করেন। জেলার বিভিন্ন পুকুর ও ঝিলেও ব্রত পালনের ভিড় লক্ষ্য করা গিয়েছে
আবার অনেকের মতে, ১৪ বছর বনবাস কাটিয়ে রামচন্দ্র অযোধ্যায় ফেরেন, ফিরে তিনি ও সীতা দুজনেই সূর্য দেবতার তপস্যায় উপবাস করেন বলেও মনে করেন অনেকে। ছটব্রতীরা তাই গঙ্গায় গিয়ে পুজোর মাধ্যমে নিজেদের অর্ঘ্য নিবেদন করেন। জেলার বিভিন্ন পুকুর ও ঝিলেও ব্রত পালনের ভিড় লক্ষ্য করা গিয়েছে।
advertisement
4/5
এই পুজোর রীতি মেনে স্নানের পরে লাউয়ের তরকারি ছোলার ডাল পায়েস রান্না করা হয়, একটা গোটা কলার কাঁদি উৎসর্গ করা হয় সূর্যদেবকে। দ্বিতীয় দিনে গুড়ের পায়েস ও পুড়ি নিবেদন করেন অনেকেই, তারপর উপশীরা নিয়ম ভঙ্গ করেন। তৃতীয় দিন হল কঠিনতম দিন। এই দিন খাদ্য ও জল ছাড়া উপবাস করেন। চতুর্থ দিন সূর্য ওঠার সঙ্গে সঙ্গে সূর্যদেবের কাছে প্রার্থনা সরে অবশেষে এই ব্রতের সমাপ্তি হয়
এই পুজোয় রীতি মেনে স্নানের পরে লাউয়ের তরকারি, ছোলার ডাল, পায়েস রান্না করা হয়, একটা গোটা কলার কাঁদি উৎসর্গ করা হয় সূর্যদেবকে। দ্বিতীয় দিনে গুড়ের পায়েস ও পুড়ি নিবেদন করেন অনেকেই, তারপর উপশীরা নিয়ম ভঙ্গ করেন। তৃতীয় দিন হল কঠিনতম দিন। এই দিন খাদ্য ও জল ছাড়া উপবাস করেন। চতুর্থ দিন সূর্য ওঠার সঙ্গে সঙ্গে সূর্যদেবের কাছে প্রার্থনা সেরে অবশেষে এই ব্রতের সমাপ্তি হয়। 
advertisement
5/5
যদিও এখন ছট পুজোর উদযাপন শুধু অবাঙালিদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নেই। সারাদেশের বিভিন্ন সম্প্রদায় এবং ধর্মের মানুষ এখন এই উৎসবকে আপন করে নিয়েছে। এই পুজো হিন্দু বর্ষপঞ্জিকার কার্তিক মাসের শুক্লপক্ষের ষষ্ঠী তিথিতে উদযাপিত হয়। জেলার বিভিন্ন ঘাটে তাই নিষ্ঠার সঙ্গে এই রীতি পালনের মধ্যে দিয়ে স্নান করতে দেখা গিয়েছে অগণিত ভক্তদের
যদিও এখন ছট পুজোর উদযাপন শুধু অবাঙালিদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নেই। সারাদেশের বিভিন্ন সম্প্রদায় এবং ধর্মের মানুষ এখন এই উৎসবকে আপন করে নিয়েছে। এই পুজো হিন্দু বর্ষপঞ্জিকার কার্তিক মাসের শুক্লপক্ষের ষষ্ঠী তিথিতে উদযাপিত হয়। জেলার বিভিন্ন ঘাটে তাই নিষ্ঠার সঙ্গে এই রীতি পালনের মধ্যে দিয়ে স্নান করতে দেখা গিয়েছে অগণিত ভক্তদের। 
advertisement
advertisement
advertisement