Murshidabad News: জলে ডুবেছে কৃষিজমি, ভেঙে পড়েছে বাড়ি! অতিবৃষ্টিতে মুর্শিদাবাদে ব্যাপক ক্ষতি, ছবিতে দেখুন সেখানকার অবস্থা

Last Updated:
Murshidabad News: ধানের পাশাপাশি পিঁয়াজ, রসুন ও শীতের সবজি, যেমন বাঁধাকপি, ফুলকপি, টমেটো, বেগুন, লাউ, শসা ও মটরশুঁটির ক্ষেতও বৃষ্টির জলে ডুবে গিয়েছে। অনেক জমির চারাগাছ জলে ভেসে গিয়েছে।
1/7
শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত টানা বৃষ্টিতে বিপাকে পড়েছেন মুর্শিদাবাদের সুতির কাশিমনগর অঞ্চলের শতাধিক কৃষক। অবিরাম বৃষ্টিতে বহু ধানের জমিতে জল জমে আছে, অনেক জায়গায় ধান গাছ ভেঙে পড়ে গিয়েছে। সেই গাছের উপর এখন থইথই জল। ফলে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে কৃষকের মাসের পর মাস পরিশ্রমের চাষের ফসল। (ছবি ও তথ্যঃ তন্ময় মন্ডল)
শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত টানা বৃষ্টিতে বিপাকে পড়েছেন মুর্শিদাবাদের সুতির কাশিমনগর অঞ্চলের শতাধিক কৃষক। অবিরাম বৃষ্টিতে বহু ধানের জমিতে জল জমে আছে, অনেক জায়গায় ধান গাছ ভেঙে পড়ে গিয়েছে। সেই গাছের উপর এখন থইথই জল। ফলে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে কৃষকের মাসের পর মাস পরিশ্রমের চাষের ফসল। (ছবি ও তথ্যঃ তন্ময় মন্ডল)
advertisement
2/7
ধান লাগাতে চাষিদের লড়াই কম ছিল না। কেউ নিজের হাতে জমি তৈরি করেছেন। কেউ আবার ঋণ নিয়ে বীজ ও সার কিনেছেন। ভাল ফলনের আশায় ছিলেন, কিন্তু হঠাৎ বৃষ্টিতে সব শেষ। এর জেরে এখন মাথায় হাত চাষিদের।
ধান লাগাতে চাষিদের লড়াই কম ছিল না। কেউ নিজের হাতে জমি তৈরি করেছেন। কেউ আবার ঋণ নিয়ে বীজ ও সার কিনেছেন। ভাল ফলনের আশায় ছিলেন, কিন্তু হঠাৎ বৃষ্টিতে সব শেষ। এর জেরে এখন মাথায় হাত চাষিদের।
advertisement
3/7
স্থানীয় কৃষক আফজাল শেখ বলেন, “আমরা অনেক কষ্টে ধানের চারা তুলেছিলাম, এখন সব গাছ পড়ে আছে। এত জল জমেছে জমিতে পা রাখাও যাচ্ছে না।” ধানের পাশাপাশি পিঁয়াজ, রসুন ও শীতের সবজি, যেমন বাঁধাকপি, ফুলকপি, টমেটো, বেগুন, লাউ, শসা ও মটরশুঁটির ক্ষেতও বৃষ্টির জলে ডুবে গিয়েছে। অনেক জমির চারাগাছ জলে ভেসে গিয়েছে। এখন কী করবেন ভেবে পাচ্ছেন না চাষিরা।
স্থানীয় কৃষক আফজাল শেখ বলেন, “আমরা অনেক কষ্টে ধানের চারা তুলেছিলাম, এখন সব গাছ পড়ে আছে। এত জল জমেছে জমিতে পা রাখাও যাচ্ছে না।” ধানের পাশাপাশি পিঁয়াজ, রসুন ও শীতের সবজি, যেমন বাঁধাকপি, ফুলকপি, টমেটো, বেগুন, লাউ, শসা ও মটরশুঁটির ক্ষেতও বৃষ্টির জলে ডুবে গিয়েছে। অনেক জমির চারাগাছ জলে ভেসে গিয়েছে। এখন কী করবেন ভেবে পাচ্ছেন না চাষিরা।
advertisement
4/7
কৃষক রহিম উদ্দিনের কথায়, “ফুলকপির চারা বাঁচানোর চেষ্টা করছি। কিন্তু জল না নামলে সব পচে যাবে। আবার নতুন করে বীজ ফেলতে গেলে খরচ বাড়বে। আমাদের হাতে টাকা নেই।” সারা বছর এই জমি থেকে যা ফসল হয় তাই দিয়ে সংসার চলে। অক্টোবরের শেষে এমন অকাল বৃষ্টিতে কাশিমনগর ও আশেপাশের গ্রামাঞ্চলে কৃষকদের মধ্যে গভীর চিন্তা ও হতাশা দেখা দিয়েছে।
কৃষক রহিম উদ্দিনের কথায়, “ফুলকপির চারা বাঁচানোর চেষ্টা করছি। কিন্তু জল না নামলে সব পচে যাবে। আবার নতুন করে বীজ ফেলতে গেলে খরচ বাড়বে। আমাদের হাতে টাকা নেই।” সারা বছর এই জমি থেকে যা ফসল হয় তাই দিয়ে সংসার চলে। অক্টোবরের শেষে এমন অকাল বৃষ্টিতে কাশিমনগর ও আশেপাশের গ্রামাঞ্চলে কৃষকদের মধ্যে গভীর চিন্তা ও হতাশা দেখা দিয়েছে।
advertisement
5/7
অন্যদিকে অতিরিক্ত বর্ষণে বাড়ি ভেঙে বিপত্তি দেখা দিয়েছে। কোনও রকমে পরিবারের লোকজন প্রাণে বাঁচলেও গবাদি পশুর মৃত্যু হয়েছে। অতিবৃষ্টির ফলে মুর্শিদাবাদের ফরাক্কার বাহাদুরপুর পঞ্চায়েতের বাগদাবড়া ঘোষপাড়ায় একটি বাড়ি ভেঙে পড়ে যায়। পরিবারের সদস্যদের প্রাণ বাঁচলেও কয়েকটি গবাদি পশুর মৃত্যু হয়।
অন্যদিকে অতিরিক্ত বর্ষণে বাড়ি ভেঙে বিপত্তি দেখা দিয়েছে। কোনও রকমে পরিবারের লোকজন প্রাণে বাঁচলেও গবাদি পশুর মৃত্যু হয়েছে। অতিবৃষ্টির ফলে মুর্শিদাবাদের ফরাক্কার বাহাদুরপুর পঞ্চায়েতের বাগদাবড়া ঘোষপাড়ায় একটি বাড়ি ভেঙে পড়ে যায়। পরিবারের সদস্যদের প্রাণ বাঁচলেও কয়েকটি গবাদি পশুর মৃত্যু হয়।
advertisement
6/7
জানা যায়, শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে মুর্শিদাবাদ জেলা জুড়ে বৃষ্টি শুরু হয়। ফরাক্কা বাগদাবড়া ঘোষপাড়া গ্রামে সুখচাঁদ ঘোষের পরিবার বৃষ্টির কারণে তাড়াতাড়ি খেয়ে ঘুমিয়ে যায়। রাত প্রায় এগারোটা নাগাদ তাঁদের ঘরের একদিক হেলে পড়ে। সুখচাঁদ ঘোষের মা প্রথমে বিষয়টি জানতে পারেন। তিনি সঙ্গে সঙ্গে সবাইকে ঘুম থেকে উঠতে বলেন।
জানা যায়, শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে মুর্শিদাবাদ জেলা জুড়ে বৃষ্টি শুরু হয়। ফরাক্কা বাগদাবড়া ঘোষপাড়া গ্রামে সুখচাঁদ ঘোষের পরিবার বৃষ্টির কারণে তাড়াতাড়ি খেয়ে ঘুমিয়ে যায়। রাত প্রায় এগারোটা নাগাদ তাঁদের ঘরের একদিক হেলে পড়ে। সুখচাঁদ ঘোষের মা প্রথমে বিষয়টি জানতে পারেন। তিনি সঙ্গে সঙ্গে সবাইকে ঘুম থেকে উঠতে বলেন।
advertisement
7/7
তড়িঘড়ি ছোট বাচ্চাদের নিয়ে সবাই ঘর থেকে বেড়িয়ে যান। কিন্তু গোয়ালে থাকা গরু ও ভেড়াদের বের করতে পারেননি। ঘর হুড়মুড় করে পড়ে যাওয়ায় গবাদি পশুর মৃত্যু হয় বলে জানা যায়। (ছবি ও তথ্যঃ তন্ময় মণ্ডল)
তড়িঘড়ি ছোট বাচ্চাদের নিয়ে সবাই ঘর থেকে বেড়িয়ে যান। কিন্তু গোয়ালে থাকা গরু ও ভেড়াদের বের করতে পারেননি। ঘর হুড়মুড় করে পড়ে যাওয়ায় গবাদি পশুর মৃত্যু হয় বলে জানা যায়। (ছবি ও তথ্যঃ তন্ময় মণ্ডল)
advertisement
advertisement
advertisement