জমিতে নয়, এবার রাস্তাতেই হবে ধান চাষ! এমন উলটো পুরাণের কারণ কী? জানুন আসল ঘটনা
- Published by:Aishwarya Purkait
- hyperlocal
- Reported by:Madan Maity
Last Updated:
বেহাল রাস্তায় কোনও বাইক, গাড়ি, এমনকি অ্যাম্বুলেন্স পর্যন্ত চলাচল করতে পারে না। এর ফলে রোগী ও তাঁদের পরিবারের সদস্যদের বড় বিপাকে পড়তে হয়।
<strong>পূর্ব মেদিনীপুর, মদন মাইতি:</strong> রাস্তায় ধানের চারা রোপন করে বেহাল রাস্তার সারাইয়ের দাবিতে ক্ষোভ প্রকাশ করল গ্রামবাসীরা। দীর্ঘদিন ধরে রাস্তা সংস্কারের দাবি জানিয়েও কোন সুরাহা না হওয়ায় বাধ্য হয়েই প্রতিবাদে নামেন তারা। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার এগরা ১ ব্লকের ঋষি বঙ্কিমচন্দ্র গ্রাম পঞ্চায়েতের গোপালপুর গ্রামের ছবি। সাধারণ মানুষ ও স্কুলপড়ুয়া শিশুদের প্রতিদিন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। তাই ভিন্ন রকম প্রতিবাদে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাইছেন স্থানীয়রা।
advertisement
অভিযোগ, প্রায় ২৫ বছর ধরে দুই কিলোমিটার রাস্তা বেহাল অবস্থায় পড়ে আছে। বর্ষা আসলেই এই সমস্যার প্রকোপ আরও বাড়ে। স্থানীয়রা বারবার রাস্তা সংস্কারের দাবি জানালেও প্রশাসনের তরফে কোন কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর হতাশ গ্রামবাসীরা শেষমেশ প্রতীকী প্রতিবাদে নামতে বাধ্য হলেন। তাদের আশা, এবার হয়তো কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ হবে। (তথ্য ও ছবি: মদন মাইতি)
advertisement
এই রাস্তাটি দিয়ে প্রতিদিন প্রায় তিনটি গ্রামের হাজার হাজার মানুষ যাতায়াত করেন। হাটে, বাজারে যাওয়া তো দূরের কথা, সপ্তাহে একদিনও সঠিকভাবে যাতায়াত করা সম্ভব হয় না। বেহাল রাস্তায় প্রতিদিন নানা সমস্যার মুখোমুখি হতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। তাঁদের অভিযোগ, গ্রাম পঞ্চায়েত কিংবা ব্লক প্রশাসনের তরফে কোনও উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না। (তথ্য ও ছবি: মদন মাইতি)
advertisement
সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়ছে স্কুল ছাত্রছাত্রীরা। বর্ষাকালে কাদায় ভরা রাস্তায় পড়তে হচ্ছে বিপাকে। অনেক সময় জল জমে থাকায় স্কুলে যাওয়া বন্ধ করতে হয়। শুধু তাই নয়, পরীক্ষার সময়ও সমস্যায় পড়তে হয়। অভিভাবকদের অভিযোগ, প্রশাসনের অবহেলার কারণেই শিশুদের শিক্ষাজীবন ব্যাহত হচ্ছে। (তথ্য ও ছবি: মদন মাইতি)
advertisement
এই বেহাল রাস্তায় কোনও বাইক, গাড়ি, এমনকি অ্যাম্বুলেন্স পর্যন্ত চলাচল করতে পারে না। এর ফলে রোগী ও তাঁদের পরিবারের সদস্যদের বড় বিপাকে পড়তে হয়। সময়মতো চিকিৎসা না পেয়ে মারাত্মক পরিস্থিতির শিকার হতে হয় হচ্ছে। গ্রামবাসীদের মতে, শুধুমাত্র অবহেলা আর দায়সারাভাবে কাজ করার কারণে আজও পরিস্থিতি একই রয়েছে। (তথ্য ও ছবি: মদন মাইতি)
advertisement
এক স্থানীয় বাসিন্দা খগেন রঞ্জিত ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “আমরা বছরের পর বছর দাবি জানিয়েছি, কেউ শুনল না। বাধ্য হয়েই রাস্তার উপর ধানের চারা রোপণ করেছি। আমাদের দুঃখ দুর্দশার কথা কেউ বুঝুক।” তবে প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, দ্রুত এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তাঁদের প্রতিশ্রুতি কতটা বাস্তবায়িত হয়, তা এখন দেখার অপেক্ষা। (তথ্য ও ছবি: মদন মাইতি)