স্কুলের মাঠে দাঁড়িয়ে ট্রাক্টর, বারান্দায় শুকাচ্ছে ঘুঁটে, ঝোপঝাড়...! সরকারি স্কুলের এমন দুর্দশা কেন?
- Published by:Aishwarya Purkait
- hyperlocal
- Reported by:Bonoarilal Chowdhury
Last Updated:
East Bardhaman News: বন্ধ স্কুল চত্বর আজ পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। বারান্দায় গ্রামবাসীরা নিশ্চিন্তে ঘুঁটে দিচ্ছেন। স্কুল চত্বরে রাখা হয়েছে ট্রাক্টর ও চাষের বিভিন্ন যন্ত্রাংশ। চারপাশে ঝোপঝাড়, ধুলো ও আবর্জনা।
<strong>কেতুগ্রাম, পূর্ব বর্ধমান, বনোয়ারীলাল চৌধুরী:</strong> পূর্ব বর্ধমানের কেতুগ্রাম ২ ব্লকের গঙ্গাটিকুরি গ্রামের দক্ষিণপাড়ায় ২০১৩ সালে রাজ্য সরকারের অনুমোদনে গড়ে ওঠে গঙ্গাটিকুরি জুনিয়র হাইস্কুল। পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পাঠদানের জন্য এই স্কুলে তিনটি শ্রেণিকক্ষ, একটি অফিসরুম এবং মিড ডে মিল রান্নাঘর তৈরি করা হয়েছিল। প্রাথমিক পর্যায়ে প্রায় ৮০ থেকে ৯০ জন পড়ুয়া ভর্তি হয়েছিল এখানে। তখন দু'জন অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক অতিথি শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব নেন।
advertisement
তবে শুরু থেকেই স্থায়ী শিক্ষক না থাকায় অভিভাবকদের অনেকেই অনীহা প্রকাশ করেন। তাঁদের সন্তানদের অতিথি শিক্ষকের কাছে পড়াতে না চেয়ে ক্রমে অন্য স্কুলে ভর্তি করাতে থাকেন। ফলস্বরূপ পড়ুয়ার সংখ্যা ধীরে ধীরে কমতে থাকে। অভিভাবকরা বারবার স্থায়ী শিক্ষক নিয়োগের দাবি জানালেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে সাড়া মেলেনি। অবশেষে ২০২৩ সালে পড়ুয়ার সংখ্যা শূন্য হয়ে যায়।(তথ্য ও ছবি - বনোয়ারীলাল চৌধুরী)
advertisement
যদিও পড়ুয়া না থাকলেও দুইজন অতিথি শিক্ষক প্রতিদিনই স্কুলে হাজিরা দিতেন। ২০২৪ সালের মে মাসে তাঁদেরও অবসর হলে স্কুল কার্যত অচল হয়ে পড়ে। এরপর থেকেই স্কুলে ঝুলছে তালা। এখন প্রায় আড়াই কিলোমিটার দূরের অন্য স্কুলে যেতে হচ্ছে এলাকার ছাত্রছাত্রীদের। এতে স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভ বাড়ছে। (তথ্য ও ছবি - বনোয়ারীলাল চৌধুরী)
advertisement
বন্ধ স্কুল চত্বর আজ পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। বারান্দায় গ্রামবাসীরা নিশ্চিন্তে ঘুঁটে দিচ্ছেন। স্কুল চত্বরে রাখা হয়েছে ট্রাক্টর ও চাষের বিভিন্ন যন্ত্রাংশ। চারপাশে ঝোপঝাড়, ধুলো ও আবর্জনায় ভরে গিয়েছে গোটা স্কুল প্রাঙ্গণ। প্রতিটি শ্রেণিকক্ষের দরজায় ঝুলছে তালা। (তথ্য ও ছবি - বনোয়ারীলাল চৌধুরী)
advertisement
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, এলাকার মেয়েরা দূরে না গিয়ে যাতে স্থানীয় স্কুলেই পড়াশোনা করতে পারে, সেজন্য প্রশাসনের কাছে আবেদন করেছিলেন তাঁরা। সেই উদ্যোগে স্কুল চালু হলেও শুরু থেকেই স্থায়ী শিক্ষক না থাকায় শেষমেশ বন্ধ হয়ে যায়। কেতুগ্রাম ২ চক্রের অবর স্কুল পরিদর্শক অভীক মণ্ডল জানিয়েছেন, পড়ুয়া ও শিক্ষক না থাকাতেই স্কুলটি বন্ধ হয়েছে। তবে আবার চালু করার উদ্যোগ নেওয়া হবে। (তথ্য ও ছবি - বনোয়ারীলাল চৌধুরী)