Durga Puja In Barrackpore: কলকাতা থেকে ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে দারুণ সব দুর্গাপুজো, এখনও দেখেননি, যাবেন নাকি, রইল ফটো

উত্তর ২৪ পরগনা, রুদ্র নারায়ণ রায়: শিল্পাঞ্চল হিসেবে পরিচিত হলেও দুর্গোৎসবের রঙে এবারে কলকাতাকে টক্কর দিচ্ছে উত্তর ২৪ পরগনার ব্যারাকপুর মহকুমা। এই মহকুমার বিভিন্ন প্রান্তে থিম সহ নানা ধরনের দুর্গা পুজোর মণ্ডপে প্রতিদিনই উপচে পড়ছে হাজার হাজার মানুষের ভিড়। অষ্টমীতেও শাড়ি পাঞ্জাবিতে দর্শনার্থীদের ভিড় দেখা গিয়েছে একাধিক প্যান্ডেলে। চলেছে বিশেষ পুজো ও অঞ্জলি পর্ব

এরমধ্যে যে পুজো গুলো বিশেষ নজর কেড়েছে তার মধ্যে, বরাহনগরের অন্যতম আকর্ষণ নেতাজি কলোনি লো ল্যান্ড সার্বজনীন দুর্গোৎসব। ৩৬ বছরে পদার্পণ করা এই পূজোর এবারের থিম “বাংলার মুখ”। বাংলার ঐতিহ্যবাহী শিল্পকলাকে — পটচিত্র, পোড়ামাটি, টেরাকোটা, মাদুর, বাঁশ ও বেত শিল্প — মণ্ডপসজ্জার মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে

উদ্যোক্তাদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বাংলার ভাষা, সংস্কৃতি ও শিল্পকে নতুন প্রজন্মের সামনে তুলে ধরাই এবারের মূল উদ্দেশ্য। অন্যদিকে, পূর্ব পানিহাটি সার্বজনীন দুর্গোৎসব ৭৭ বছরে পা দিল। তাদের থিম রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অমর সৃষ্টি “সহজপাঠ”। শিল্পীর কারুকার্যে জীবন্ত হয়ে উঠেছে বাংলার পাঠশালার আবহ

বেলঘড়িয়া মানস বাগ সার্বজনীন দুর্গোৎসব-এর এবারের ভাবনা “তরঙ্গ”। আলোক, শব্দ ও জলের তরঙ্গ থেকে শুরু করে মানবমনের শান্তির তরঙ্গ—এই ধারণাকেই শিল্পী ঝুলন মেহতরী মণ্ডপসজ্জায় তুলে ধরেছেন। প্রতিমা নির্মাণ করেছেন শান্তিনিকেতনের ভীম পাল। সকাল থেকেই দর্শনার্থীদের ভিড় মন্ডপে

হালিশহরের বলাকা শিশু মহল ৩৫ তম বর্ষে তুলে ধরেছে “দীঘার জগন্নাথ ধাম”। জগদ্দলের আতপুর ভ্রাতৃ সংঘ ক্লাব-এর পুজো এবারে পা দিল ৫০ বছরে। থিম “স্বপ্নমহল”, যেখানে বাঁশের চটা দিয়ে তৈরি হয়েছে ময়ূর এবং প্রতিমায় ব্যবহার হয়েছে প্রায় ১০ কেজি সোনার গহনা। বাঁশজাত শিল্পকে কেন্দ্র করেই তাদের এই পরিকল্পনা

এছাড়াও ইছাপুর আনন্দমঠ কেন্দ্রীয় সার্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটি ৭৫ তম বর্ষে “আশার প্রদীপ” থিমে মণ্ডপ সাজিয়েছে। প্রায় ১০ হাজার প্রদীপের আলোয় আলোকিত হয়েছে গোটা মণ্ডপ। মহকুমার একাধিক জায়গায় এভাবে অভিনব ভাবনায় মণ্ডপসজ্জা হওয়ায় পূজোপ্রেমীদের ঢল নামছে প্রতিদিন। নিরাপত্তা ও যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে পুলিশের তরফ থেকেও চলছে কড়া নজরদারি, যাতে প্রত্যেক দর্শনার্থী নির্বিঘ্নে দুর্গাদর্শন করতে পারেন