মসলিন তৈরির গোপন রহস্য! মহিলাদের কোমল হাতে তৈরি হয় সূক্ষ্মতম সুতো

Last Updated:
Charkha : মুর্শিদাবাদ সিল্ক থেকে গরদ শাড়ি তৈরি করা হয় রঘুনাথগঞ্জে। রেশম চাষের পর রেশম সুতো চরকায় দিয়ে সুতো তৈরি করেন বাড়ির মহিলারা।
1/7
রঘুনাথগঞ্জ, তন্ময় মন্ডল: সামনেই দুর্গাপুজো ।তার আগে চুড়ান্ত ব্যস্ততা কাপড়ের দোকানে। মুর্শিদাবাদ সিল্ক থেকে গরদ শাড়ি তৈরি করা হয় রঘুনাথগঞ্জের মির্জাপুরে। আর সেই রেশম চাষের পর রেশম সুতো চরকাতে দিয়ে সুতো তৈরি করে থাকেন বাড়ির মহিলারা।
<strong>রঘুনাথগঞ্জ, তন্ময় মন্ডল:</strong> সামনেই দুর্গাপুজো। তার আগে চুড়ান্ত ব্যস্ততা কাপড়ের দোকানে। মুর্শিদাবাদ সিল্ক থেকে গরদ শাড়ি তৈরি করা হয় রঘুনাথগঞ্জের মির্জাপুরে। আর সেই রেশম চাষের পর রেশম সুতো চরকাতে দিয়ে সুতো তৈরি করে থাকেন বাড়ির মহিলারা।
advertisement
2/7
তবে বাড়ির কাজ সম্পন্ন করেই এই কাজ করে থাকেন তারা। আজও এই গ্রামের মহিলারা তৈরি করে থাকেন সুতো। ফলে সুতোয় বাঁধা জীবন। মাকড়সার জালের মতো এক সূক্ষ প্রায় অদৃশ্য সুতোর উপরেই নির্ভর করে ওঁদের জীবন-জীবিকা।
তবে বাড়ির কাজ সম্পন্ন করেই এই কাজ করে থাকেন তাXরা। আজও এই গ্রামের মহিলারা তৈরি করে থাকেন সুতো। ফলে সুতোয় বাঁধা জীবন। মাকড়সার জালের মতো এক সূক্ষ প্রায় অদৃশ্য সুতোর উপরেই নির্ভর করে ওঁদের জীবন-জীবিকা।
advertisement
3/7
ওঁরা ‘কাটুনি’, অর্থাৎ সুতো কাটেন। তবে সাধারণ সুতো নয়। তাঁতশিল্পে বাংলার অহঙ্কার যে মসলিন কাপড়, সেই মসলিন সুতো ওঁদের কোমল হাতেই তৈরি হয়। উৎকৃষ্ট মানের মসলিন শাড়ি বুনতে এখন সর্বোচ্চ ৫০০ কাউন্টের সুতো ব্যবহার করা হয়।
ওঁরা ‘কাটুনি’, অর্থাৎ সুতো কাটেন। তবে সাধারণ সুতো নয়। তাঁতশিল্পে বাংলার অহঙ্কার যে মসলিন কাপড়, সেই মসলিন সুতো ওঁদের কোমল হাতেই তৈরি হয়। উৎকৃষ্ট মানের মসলিন শাড়ি বুনতে এখন সর্বোচ্চ ৫০০ কাউন্টের সুতো ব্যবহার করা হয়।
advertisement
4/7
মাকড়সার জালের মতো সেই সুতোই তৈরি করেন ওই কাটুনিরা। মহারাষ্ট্র ও বেঙ্গালুরু থেকে আসা বিশেষ ধরনের সুভিন কাপাস তুলো থেকে অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে বিশেষ ধরনের চরকায় তৈরি হয় ওই সুতো। ধৈর্য এবং একাগ্রতা এই কাজে প্রধান হাতিয়ার।
মাকড়সার জালের মতো সেই সুতোই তৈরি করেন ওই কাটুনিরা। মহারাষ্ট্র ও বেঙ্গালুরু থেকে আসা বিশেষ ধরনের সুভিন কাপাস তুলো থেকে অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে বিশেষ ধরনের চরকায় তৈরি হয় ওই সুতো। ধৈর্য এবং একাগ্রতা এই কাজে প্রধান হাতিয়ার।
advertisement
5/7
চরকা হল তুলা থেকে সুতা তৈরির এক লৌকিক যন্ত্রবিশেষ। চৌদ্দ শতকের মাঝামাঝি উত্তর ভারতে সুতো কাটার যন্ত্র চরকা বা চরখার ব্যাপক প্রচলন ছিল। বাংলায় এই যন্ত্রের প্রচলন ঘটে চৌদ্দ শতকের শেষের দিকে। তাছাড়াও পনেরো শতক থেকে বাংলার যেসব মসলিনসহ অন্যান্য মোটা সুতিবস্ত্র তৈরির জন্য সুতো তৈরি করা হতো তার জন্য ব্যবহৃত হতো চরকা।
চরকা হল তুলা থেকে সুতা তৈরির এক লৌকিক যন্ত্রবিশেষ। চৌদ্দ শতকের মাঝামাঝি উত্তর ভারতে সুতো কাটার যন্ত্র চরকা বা চরখার ব্যাপক প্রচলন ছিল। বাংলায় এই যন্ত্রের প্রচলন ঘটে চৌদ্দ শতকের শেষের দিকে। তাছাড়াও পনেরো শতক থেকে বাংলার যেসব মসলিনসহ অন্যান্য মোটা সুতিবস্ত্র তৈরির জন্য সুতো তৈরি করা হত, তার জন্য ব্যবহৃত হত চরকা।
advertisement
6/7
বাংলার লোকজন চরকায় সুতো কেটে বস্ত্র বয়ন করে। পুরুষেরা তৈরি করত চরকাযন্ত্র আর মেয়েরা সে যন্ত্রে সুতো কাটত। মূলত মোটা সুতিবস্ত্র বয়নের জন্য যে সুতোর দরকার হতো তা চরকায় কাটা হতো। মসলিনের মতো সূক্ষ্ম বস্ত্র বয়নের জন্য ছিল আদিম যন্ত্র টাকু বা তকলির ব্যবহার। চরকার চাকাই হল মূল অংশ। চক্কর বা ঘূর্ণনের দ্বারা সুতো তৈরি হয় বলেই নাম হল চরকা।
বাংলার লোকজন চরকায় সুতো কেটে বস্ত্র বয়ন করে। পুরুষেরা তৈরি করতেন চরকাযন্ত্র আর মেয়েরা সে যন্ত্রে সুতো কাটতেন। মূলত মোটা সুতিবস্ত্র বয়নের জন্য যে সুতোর দরকার হত, তা চরকায় কাটা হত। মসলিনের মতো সূক্ষ্ম বস্ত্র বয়নের জন্য ছিল আদিম যন্ত্র টাকু বা তকলির ব্যবহার। চরকার চাকাই হল মূল অংশ। চক্কর বা ঘূর্ণনের দ্বারা সুতো তৈরি হয় বলেই নাম হল চরকা।
advertisement
7/7
চক্র বা চাকার সঙ্গে একটা হাতলের যোগসূত্র স্থাপন করা হয় ফিতে বা রশি দিয়ে। হাতল হাত দিয়ে ঘোরানো হয়। হাতের কুশলতায় শরু বা মোটা সুতো তুলা থেকে তৈরি করা হয়। চরকা সাধারণত কাঠ দিয়ে তৈরি হয়। চাকমা মেয়েরা প্রায় সবাই চরকায় সুতো কাটতে জানে এবং তাঁতে সুতিবস্ত্র বয়নে বেশ পারদর্শী। তারা জুমের কার্পাস তুলা থেকে সুতোও তৈরি করে। তারা চরকাকে বলে চরকি। এরাই চরকায় সুতা কাটে এবং সেসব সুতা দিয়ে বস্ত্র বোনে।
চক্র বা চাকার সঙ্গে একটা হাতলের যোগসূত্র স্থাপন করা হয় ফিতে বা রশি দিয়ে। হাতল হাত দিয়ে ঘোরানো হয়। হাতের কুশলতায় সরু বা মোটা সুতো তুলা থেকে তৈরি করা হয়। চরকা সাধারণত কাঠ দিয়ে তৈরি হয়। চাকমা মেয়েরা প্রায় সবাই চরকায় সুতো কাটতে জানেন এবং তাঁতে সুতিবস্ত্র বয়নে বেশ পারদর্শী। তারা জুমের কার্পাস তুলা থেকে সুতোও তৈরি করেন। তারা চরকাকে বলেন চরকি।
advertisement
advertisement
advertisement