মসলিন তৈরির গোপন রহস্য! মহিলাদের কোমল হাতে তৈরি হয় সূক্ষ্মতম সুতো
- Reported by:Tanmoy Mondal
- hyperlocal
- Published by:Nayan Ghosh
Last Updated:
Charkha : মুর্শিদাবাদ সিল্ক থেকে গরদ শাড়ি তৈরি করা হয় রঘুনাথগঞ্জে। রেশম চাষের পর রেশম সুতো চরকায় দিয়ে সুতো তৈরি করেন বাড়ির মহিলারা।
advertisement
advertisement
advertisement
advertisement
চরকা হল তুলা থেকে সুতা তৈরির এক লৌকিক যন্ত্রবিশেষ। চৌদ্দ শতকের মাঝামাঝি উত্তর ভারতে সুতো কাটার যন্ত্র চরকা বা চরখার ব্যাপক প্রচলন ছিল। বাংলায় এই যন্ত্রের প্রচলন ঘটে চৌদ্দ শতকের শেষের দিকে। তাছাড়াও পনেরো শতক থেকে বাংলার যেসব মসলিনসহ অন্যান্য মোটা সুতিবস্ত্র তৈরির জন্য সুতো তৈরি করা হত, তার জন্য ব্যবহৃত হত চরকা।
advertisement
বাংলার লোকজন চরকায় সুতো কেটে বস্ত্র বয়ন করে। পুরুষেরা তৈরি করতেন চরকাযন্ত্র আর মেয়েরা সে যন্ত্রে সুতো কাটতেন। মূলত মোটা সুতিবস্ত্র বয়নের জন্য যে সুতোর দরকার হত, তা চরকায় কাটা হত। মসলিনের মতো সূক্ষ্ম বস্ত্র বয়নের জন্য ছিল আদিম যন্ত্র টাকু বা তকলির ব্যবহার। চরকার চাকাই হল মূল অংশ। চক্কর বা ঘূর্ণনের দ্বারা সুতো তৈরি হয় বলেই নাম হল চরকা।
advertisement
চক্র বা চাকার সঙ্গে একটা হাতলের যোগসূত্র স্থাপন করা হয় ফিতে বা রশি দিয়ে। হাতল হাত দিয়ে ঘোরানো হয়। হাতের কুশলতায় সরু বা মোটা সুতো তুলা থেকে তৈরি করা হয়। চরকা সাধারণত কাঠ দিয়ে তৈরি হয়। চাকমা মেয়েরা প্রায় সবাই চরকায় সুতো কাটতে জানেন এবং তাঁতে সুতিবস্ত্র বয়নে বেশ পারদর্শী। তারা জুমের কার্পাস তুলা থেকে সুতোও তৈরি করেন। তারা চরকাকে বলেন চরকি।









