Basirhat: ইছামতীর বুকে লবণের মোকাম ছিল 'এই' শহর! ঘাঁটি গেড়েছিল ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি, সেই বিস্মৃত অধ্যায়ের পাতা উলটে দেখুন

Last Updated:
Basirhat: ইছামতী নদীর তীর ঘেঁষে বসিরহাট আজ এক ব্যস্ত শহর। কিন্তু এই শহরের শিকড় গাঁথা আছে লবণের ইতিহাসে। একসময় বিদ্যাধরীর নোনাজল ফুটিয়ে এলাকার মানুষ নুন তৈরি করতেন। সেই থেকেই গড়ে ওঠে এই অঞ্চলের এক বিশেষ ঐতিহ্য - লবণচাষ ও লবণবাণিজ্য।
1/6
ইছামতীর তীর ঘেঁষে বসিরহাট আজ এক ব্যস্ত শহর, কিন্তু এই শহরের শিকড় গাঁথা আছে লবণের ইতিহাসে। একসময় বিদ্যাধরীর নোনাজল ফুটিয়ে এলাকার মানুষ নুন তৈরি করত। সেই থেকেই গড়ে ওঠে এই অঞ্চলের এক বিশেষ ঐতিহ্য-লবণচাষ ও লবণবাণিজ্য। (ছবি ও তথ্য: জুলফিকার মোল্যা)
ইছামতীর তীর ঘেঁষে বসিরহাট আজ এক ব্যস্ত শহর, কিন্তু এই শহরের শিকড় গাঁথা আছে লবণের ইতিহাসে। একসময় বিদ্যাধরীর নোনাজল ফুটিয়ে এলাকার মানুষ নুন তৈরি করত। সেই থেকেই গড়ে ওঠে এই অঞ্চলের এক বিশেষ ঐতিহ্য-লবণচাষ ও লবণবাণিজ্য। (ছবি ও তথ্য: জুলফিকার মোল্যা)
advertisement
2/6
'বসির’ শব্দের অর্থই হল সামুদ্রিক লবণ, আর ‘হাট’ মানে বাজার। অর্থাৎ বসিরহাট ছিল একসময় লবণের বাজার বা লবণব্যবসার মোকাম। ঐতিহাসিক তথ্য বলছে, এখানেই ছিল ইছামতীর তীরে গড়ে ওঠা লবণ ব্যবসার অন্যতম কেন্দ্র। নদীর নোনা জল থেকেই তৈরি হতো নুন, আর সেই নুন বিক্রি হত দেশের নানা প্রান্তে।
'বসির’ শব্দের অর্থই হল সামুদ্রিক লবণ, আর ‘হাট’ মানে বাজার। অর্থাৎ বসিরহাট ছিল একসময় লবণের বাজার বা লবণব্যবসার মোকাম। ঐতিহাসিক তথ্য বলছে, এখানেই ছিল ইছামতীর তীরে গড়ে ওঠা লবণ ব্যবসার অন্যতম কেন্দ্র। নদীর নোনা জল থেকেই তৈরি হতো নুন, আর সেই নুন বিক্রি হত দেশের নানা প্রান্তে।
advertisement
3/6
লেখক বিশ্বজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতে, 'ইছামতীর তীরে বসিরহাটের শহরের পাশে আজকের বাগুন্ডি গ্রামকে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি লবণ ব্যবসার কেন্দ্র হিসাবে বেছে নিয়েছিল। সেখানে স্থাপিত হয়েছিল ‘সল্ট সুপারিন্টেন্ডেন্ট’ অফিস'। অর্থাৎ ব্রিটিশ শাসন আমলেই বসিরহাট আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের মানচিত্রে স্থান পায় লবণনির্ভর অর্থনীতির মাধ্যমে।
লেখক বিশ্বজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতে, 'ইছামতীর তীরে বসিরহাটের শহরের পাশে আজকের বাগুন্ডি গ্রামকে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি লবণ ব্যবসার কেন্দ্র হিসাবে বেছে নিয়েছিল। সেখানে স্থাপিত হয়েছিল ‘সল্ট সুপারিন্টেন্ডেন্ট’ অফিস'। অর্থাৎ ব্রিটিশ শাসন আমলেই বসিরহাট আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের মানচিত্রে স্থান পায় লবণনির্ভর অর্থনীতির মাধ্যমে।
advertisement
4/6
১৮২২ সালে বসিরহাটের ‘নিমকি দেওয়ান’ হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলেন প্রিন্স দ্বারকানাথ ঠাকুর। লবণ ব্যবসা তদারকির এই সরকারি পদে তাঁর কাজ ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সেই সময় টাকির জমিদার মুন্সি কালীনাথ রায়চৌধুরীর আতিথ্যে বাগুন্ডিতেই থাকতেন তিনি। ইতিহাস বলে, এখান থেকেই দ্বারকানাথের প্রশাসনিক জীবনের সূচনা।
১৮২২ সালে বসিরহাটের ‘নিমকি দেওয়ান’ হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলেন প্রিন্স দ্বারকানাথ ঠাকুর। লবণ ব্যবসা তদারকির এই সরকারি পদে তাঁর কাজ ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সেই সময় টাকির জমিদার মুন্সি কালীনাথ রায়চৌধুরীর আতিথ্যে বাগুন্ডিতেই থাকতেন তিনি। ইতিহাস বলে, এখান থেকেই দ্বারকানাথের প্রশাসনিক জীবনের সূচনা।
advertisement
5/6
ইছামতীর জলপথে গড়ে উঠেছিল নুনের গোলা ও গুদামঘর। নদিয়ার মাজদিয়া থেকে ইছামতী প্রবাহিত হয়ে সুন্দরবনের রায়মঙ্গলে মিশেছে—এই পথ ধরেই চলত বাণিজ্যের রথ। ইছামতীর ধার ঘেঁষে একের পর এক হাট-বাজার, গুদামঘর আর ব্যবসায়িক স্থাপনা গড়ে ওঠে। বসিরহাট হয়ে ওঠে বাণিজ্য ও সংস্কৃতির এক নতুন কেন্দ্র।
ইছামতীর জলপথে গড়ে উঠেছিল নুনের গোলা ও গুদামঘর। নদিয়ার মাজদিয়া থেকে ইছামতী প্রবাহিত হয়ে সুন্দরবনের রায়মঙ্গলে মিশেছে—এই পথ ধরেই চলত বাণিজ্যের রথ। ইছামতীর ধার ঘেঁষে একের পর এক হাট-বাজার, গুদামঘর আর ব্যবসায়িক স্থাপনা গড়ে ওঠে। বসিরহাট হয়ে ওঠে বাণিজ্য ও সংস্কৃতির এক নতুন কেন্দ্র।
advertisement
6/6
সময়ের সঙ্গে সঙ্গে শহর বদলেছে। ইট-পাথরের ঘরবাড়ি, ইটভাটা আর মেছোভেড়ির দখলে হারিয়ে গেছে ধানিজমির সবুজ বিস্তার। তবুও ইতিহাসের পাতায় আজও ঝলমল করে বসিরহাটের সেই পুরনো নাম— লবণের শহর, যে শহর একদিন গড়ে উঠেছিল ইছামতীর লবণাক্ত জলে, মানুষের শ্রমে, আর ব্যবসার স্বপ্নে।
সময়ের সঙ্গে সঙ্গে শহর বদলেছে। ইট-পাথরের ঘরবাড়ি, ইটভাটা আর মেছোভেড়ির দখলে হারিয়ে গিয়েছে ধানিজমির সবুজ বিস্তার। তবুও ইতিহাসের পাতায় আজও ঝলমল করে বসিরহাটের সেই পুরনো নাম - লবণের শহর, যে শহর একদিন গড়ে উঠেছিল ইছামতীর লবণাক্ত জলে, মানুষের শ্রমে, আর ব্যবসার স্বপ্নে। (ছবি ও তথ্য: জুলফিকার মোল্যা)
advertisement
advertisement
advertisement