বিরাটি যদুবাবুর বাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড, পুড়ে ছাই ২০০ দোকান, কী ভাবে লাগল আগুন?  

উত্তর ২৪ পরগনা, রুদ্র নারায়ণ রায়: বিরাটি যদু বাবুর বাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড, দুশোরও বেশি দোকান ভস্মীভূত, বছর শেষে ব্যাপক ক্ষতির মুখে ব্যবসায়ীরা। গভীর রাতে ভয়াবহ এমনই অগ্নিকাণ্ডের সাক্ষী রইল উত্তর দমদম পুরসভার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের যদু বাবুর বাজার

আচমকা আগুনে প্রায় দুশোটি দোকান সম্পূর্ণ ভস্মীভূত হয়ে যায়। বছর শেষের মুখে এই অগ্নিকাণ্ডে সর্বস্ব হারিয়ে চরম সংকটে পড়েছেন বাজারের অসংখ্য ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গভীর রাতে প্রথমে নিরাপত্তার রক্ষীরা বাজার এলাকা থেকে ধোঁয়া ও আগুনের লেলিহান শিখা দেখতে পান। সঙ্গে সঙ্গে খবর দেওয়া হয় দমকলে। খবর পেয়ে বিরাটী দমকল কেন্দ্রের পাশাপাশি পার্শ্ববর্তী আরও ছয়টি দমকলের ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছায়

দীর্ঘ কয়েক ঘণ্টার চেষ্টায় ভোরের দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে এখনও বহু জায়গায় ধোঁয়া উঠছে, দমকল জল দিয়ে কুলিংডাউন প্রক্রিয়া চালাচ্ছে। সবজি ও মুদি মালের বাজার হওয়ায়, প্রচুর সবজি ও মোদী মাল দাহ্য পদার্থ মজুদ ছিল

পাশাপাশি উত্তরে হাওয়ায় আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে বলেও জানান প্রত্যক্ষদর্শীরা। আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে সবজি মুদি মালের দোকান সহ সবকিছু। এখন যেন শুধুই ধ্বংসস্তূপ

প্রসঙ্গত, এই যদু বাবুর বাজারে ২০০১ সালেও ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছিল। প্রায় দুই দশক পর ফের একই বাজারে আগুন লাগার ঘটনায় আতঙ্ক ছড়ায় গোটা এলাকায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন উত্তর দমদম পুরসভার পুরপ্রধান বিধান বিশ্বাস। তাঁর সঙ্গে ছিলেন স্থানীয় পুর প্রতিনিধি প্রশান্ত দাস সহ অন্যান্য পুরকর্মীরা

পুরপ্রধান সরজমিনে এলাকা পরিদর্শন করে ক্ষতিগ্রস্ত দোকানদারদের পাশে থাকার আশ্বাস দেন এবং দ্রুত পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হবে বলে প্রতিশ্রুতি দেন।অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত দোকানদারদের অনেককেই অসহায় অবস্থায় কান্নায় ভেঙে পড়তে দেখা যায়। বহু দোকানের মালপত্র, নগদ টাকা ও ব্যবসায়িক সরঞ্জাম সম্পূর্ণভাবে নষ্ট হয়ে গিয়েছে

তবে ঠিক কত টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তা এখনও নির্দিষ্ট করে জানা যায়নি।দমকল সূত্রে জানানো হয়েছে, কীভাবে আগুন লাগল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত অগ্নিকাণ্ডের প্রকৃত কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত করে কিছু বলা সম্ভব নয়। এই অগ্নিকাণ্ডে স্টেশন সংলগ্ন বাজারের বহু ব্যবসায়ী ব্যাপক আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়লেন। ফলে দ্রুত ক্ষতিপূরণ ও পুনর্বাসনের দাবি উঠেছে ক্ষতিগ্রস্তদের তরফে