হাতে বেশি সময় নেই, কিন্তু ঘুরতে চান একাধিক জায়গা, তাহলে ঘুরে আসুন আউশগ্রাম
Last Updated:
হাতে মাত্র দু থেকে তিন দিনের ছুটি, ভাবছেন কোথায় ঘুরতে যাবেন? সাতপাঁচ না ভেবে চলে যান বর্ধমানের আউশগ্রাম।
ছুটিতে ঘুরতে যাওয়ার প্ল্যান করছেন। আপনি কি এমন জায়গা খুঁজছেন যেখানে গেলে মাত্র দুদিনের ছুটিতে বেশ কয়েকটি আকর্ষণীয় স্থান দর্শন করতে পারবেন আপনি। আর চিন্তা নেই আজ আপনাকে খোজ দেবো এমনই একটি জায়গার। যেখানে গেলে খুব কম দূরত্বের মধ্যেই আপনি ভ্রমণ করতে পারবেন বেশ কয়েকটি জায়গা। বর্ধমান জেলার আউশগ্রাম হল এরকম ট্যুরের আদর্শ জায়গা।
advertisement
advertisement
advertisement
ভালকি মাচান: গভীর অরণ্যে সুন্দরী ভালকি মাচান। শব্দ দানবের হুঙ্কার নেই। কোলাহল নেই এখানে। আছে শুধু পাখির ডাক, বনের শুকনো পাতার মর্মর ধ্বনি। রয়েছে নজর মিনার। ভিতরে গভীর সুড়ঙ্গ। বর্ধমানের রাজা অবসর কাটাতে ও শিকার করতে নজর মিনারে যেতেন। বন্দুক হাতে শিকারের জন্য অপেক্ষা করতেন রাজা। এই ভালকি মাচানের মধ্যেই জলাশয়। তাতে রয়েছে বোটিংয়ের ব্যবস্থাও।
advertisement
advertisement
advertisement
কালিকাপুর রাজবাড়ি: প্রায় ৪০০ বছর আগের এই রাজবাড়ি অবস্থা এখনও বেশ লক্ষণীয়। ঐতিহ্যের সঙ্গে মাথা তুলে এখনও দাড়িয়ে আছে এই রাজবাড়ি। বলিউড-টালিউডের বহু সিনেমায় দেখা পাওয়া গিয়েছে কালিকাপুর রাজবাড়ি। সমগ্র রাজবাড়ীর মধ্যে মন্দির গুলিই এখনও মাথা তুলে দাঁড়িয়ে আছে পুরোনো ঐতিহ্যের গন্ধ মেখে। কালিকাপুর পৌঁছেই চোখে পড়বে ২ টি শিব মন্দির এবং একটি বড় ফটক। সেই ফটক পেরিয়েই আপনি ঢুকে যেতে পারবেন রাজবাড়ীর নাটমন্দিরে। কি বিশাল সেই দুর্গামন্দিরের চাতাল। চাতালের মাঝে তাল গাছের মতন দাঁড়িয়ে গগনচুম্বী ৬-৮ টি স্তম্ভ।
advertisement
ডোকরা গ্রাম: আউশগ্রামের দরিয়াপুর গ্রামে বর্তমানে ৫০-৫৫টি পরিবারের বাস। (আউশগ্রাম ১ ব্লকের) দিকনগর ২ পঞ্চায়েতের অন্তর্গত দরিয়াপুরের জনসংখ্যা ৩৫০ জনের কাছাকাছি। তাঁরা প্রায় সকলেই ডোকরা শিল্পের কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করেন। ছত্তিশগড়ের বস্তার জেলার যাযাবর সম্প্রদায় একটা সময়ে ঘুরতে ঘুরতে এই অঞ্চলে এসে বসতি স্থাপন করেছিলেন। কয়েক জন ওড়িশা থেকেও এসে এখানে বসতি স্থাপন করেছিলেন। সারা বছর এখানকার শিল্পীরা ডোকরা শিল্পের কাজ করলেও, মাঝে মধ্যে কিছু পরিবার টিনের কাজও করে থাকেন। তাই আপনার আউশগ্রামের ট্যুরের তালিকায় রাখতেই পারেন ডোকরা গ্রামকে।
advertisement
পীর বহমান সাহেবের মাজার: এটি ধর্মীয় একটি স্থান। বাংলার নবাব হোসেন শাহের আমলে আউশগ্রাম এলাকায় ধর্মপ্রচারের উদ্দেশ্যে পির বহমান সাহেব এসেছিলেন। শোনা যায়, সে সময় সুদূর আরব থেকে নয়জন ধর্মপ্রচারক ভারতে আসেন। তাঁদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন পির বহমান। তিনি আউশগ্রামের বহমানপুরের একটি বটগাছের তলায় আশ্রয় নেন। সুয়াতা গ্রামে বটগাছতলাতেই থাকতেন তিনি। এরপর সেখানে তৈরি হয় পীর বহমান সাহেবের মাজার। যা স্থানীয়দের কাছে বিশ্বাসের জায়গা। ফলে আপনার ভ্রমণের তালিকায় রাখতে পারেন এই পীর বহমান সাহেবের মাজারকেও।
advertisement