Tsunami : সুনামি হয় কেন? ভয়ঙ্কর মহাপ্রলয় থেকে কি বাঁচা যায়? বিস্ফোরক তথ্য জেনে রাখুন
- Published by:Suman Majumder
- news18 bangla
Last Updated:
Tsunami- সমুদ্রের বিশাল জলরাশির একটা অংশ হঠাত্ ফুলে ফেঁপে অনেকগুলো বড় বড় ঢেউয়ের সিরিজ হয়ে উঠলে তাকে সুনামি বলে। সুনামি মানেই পাহাড়সম উচ্চতার বড় বড় ঢেউ, কেউ কেউ বলে ট্রেন অব ওয়েব। যে কারণে অনেকে সুনামিকে tidal wave বলে। ঢেউয়ের প্রবাহ।
সুনামি মানেই যেন আতঙ্ক! সুনামির আরেক নাম নীরব ঘাতক। এর উত্পত্তি নীরবে, আসেও চুপিচুপি, কিন্তু ধ্বংস করে যায় সরবে।রাশিয়ার উপকূলে ভয়াবহ ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে বুধবার (৩০ জুলাই)। রিখটার স্কেলে এই কম্পনের মাত্রা ছিল ৮.৮। শক্তিশালী এই ভূমিকম্পের পর রাশিয়ার কুড়িল দ্বীপপুঞ্জে আঘাত হেনেছে সুনামি।
বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। বুধবার (৩০ জুলাই) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে রাশিয়ার সংবাদমাধ্যম আরটি।
বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। বুধবার (৩০ জুলাই) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে রাশিয়ার সংবাদমাধ্যম আরটি।
advertisement
২০০৪ সালে ঘটে যাওয়া ইন্ডিয়ান সুনামি দিয়ে এই শতাব্দীতে সুনামির সঙ্গে মানুষের পরিচয় হয়। ৯ রিখটার স্কেলের ভূমিকম্প হয়েছিল সেবার। সুনামির শক্তি ছিল ২৫ হাজার অ্যাটম বোমা বিস্ফোরণের সমান। তার আগেও সুনামি হয়েছে কিংবা হত। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে হয়ে যাওয়া সুনামির তীব্রতায় আড়াই লাখের চেয়ে বেশি মানুষের মৃত্যু সুনামিকে নতুন করে স্মৃতিতে তুলে আনে। এই সুনামির বীভৎস রূপ মানুষের মনে আতঙ্কের সৃষ্টি করে।
advertisement
ইংরেজিতে বলে Tsunami। জাপানি অভিধান থেকে এই শব্দের উত্পত্তি। পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশি সুনামি হয় জাপানে। পৃথিবীর ৮০ শতাংশ সুনামি হয় প্রশান্ত মহাসাগরে। আড়াই হাজার বছর আগে প্রাচীন গ্রিক ইতিহাসে Thucydides মেডিটেরিনিয়ান সাগরে সুনামির কথা উল্লেখ করেছিলেন। ভূমিকম্প থেকে অগ্ন্যুত্পাত, সাইক্লোন থেকে টর্নেডো, প্রাকৃতিক বিপর্যয়গুলো মানব ইতিহাসে যুগে যুগে ছিল।
advertisement
সমুদ্রের বিশাল জলরাশির একটা অংশ হঠাত্ ফুলে ফেঁপে অনেকগুলো বড় বড় ঢেউয়ের সিরিজ হয়ে উঠলে তাকে সুনামি বলে। সুনামি মানেই পাহাড়সম উচ্চতার বড় বড় ঢেউ, কেউ কেউ বলে ট্রেন অব ওয়েব। যে কারণে অনেকে সুনামিকে tidal wave বলে। ঢেউয়ের প্রবাহ। কেউ কেউ সুনামিকে বলে Killer wave; কিন্তু বিজ্ঞানীদের মতে tidal শব্দটি ভুল।
advertisement
সমুদ্রের ঢেউ শুধু হাওয়ার কারণে হয় না। অনেকে ভাবেন, ঢেউয়ের জল দুলে ওঠে কেবল হাওয়ার কারণে। ঢেউ হয় চাঁদ এবং সূর্যের গ্রাভিটির কারণে। চাঁদের এবং সূর্যের গ্রাভিটি পৃথিবী পৃষ্ঠে থাকা জলকে টানে, আবার পৃথিবীর গ্রাভিটি জলকে তার দিকে টেনে ধরে রাখে। তৈরি হয় জলের প্রবাহ বা তরঙ্গ। এটাই ঢেউ। সে ঢেউগুলোর একটি নির্দিষ্ট মাত্রা আছে। কিন্তু সুনামির ঢেউ আলাদা।
সুনামি দুভাবে হয় বা হতে পারে। প্রাকৃতিক কারণে অথবা কৃত্রিম সৃষ্ট কারণে। সুনামি হয় সমুদ্রের তলদেশে কোনও ভূমিকম্প হলে, কোনও অগ্ন্যুত্পাত হলে, সমুদ্রের তলদেশে থাকা বড় কোনও গ্লেসিয়ার হঠাত্ ধসে পড়লে। অনেক সময় কোনও বিশাল মেটেরয়েড ভূপৃষ্ঠে এসে সমুদ্রের কোনও অংশকে আঘাত করলেও হয়। আবার সমুদ্রের তলদেশে কোনও বড় বিস্ফোরণ ঘটালে বা কোনও পরীক্ষামূলক বোমার বিস্ফোরণ ঘটালে সুনামি হতে পারে।
সুনামি দুভাবে হয় বা হতে পারে। প্রাকৃতিক কারণে অথবা কৃত্রিম সৃষ্ট কারণে। সুনামি হয় সমুদ্রের তলদেশে কোনও ভূমিকম্প হলে, কোনও অগ্ন্যুত্পাত হলে, সমুদ্রের তলদেশে থাকা বড় কোনও গ্লেসিয়ার হঠাত্ ধসে পড়লে। অনেক সময় কোনও বিশাল মেটেরয়েড ভূপৃষ্ঠে এসে সমুদ্রের কোনও অংশকে আঘাত করলেও হয়। আবার সমুদ্রের তলদেশে কোনও বড় বিস্ফোরণ ঘটালে বা কোনও পরীক্ষামূলক বোমার বিস্ফোরণ ঘটালে সুনামি হতে পারে।
advertisement
advertisement
সুনামির ক্ষতি পুরোপুরি ঠেকানো অসম্ভব। তবে তা সাধ্যমতো কমিয়ে আনার চেষ্টা করা যেতে পারে। ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনের ভূমিকম্প প্রকৌশল বিভাগের রিডার ড. তিজিয়ানা রোসেত্তো বলেছেন, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ও প্রাণহানির সংখ্যা কমিয়ে আনতে দুর্যোগ মোকাবিলা-সংক্রান্ত পরিকল্পনাকারীদের অনেক কিছুই করার রয়েছে। ড. রোসেত্তো বলেন, অনেক পূর্বসতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে। যেমন, কোনও বিল্ডিংয়ের নকশা এমনভাবে তৈরি করতে হবে যাতে তা সমুদ্রের স্রোতের ধাক্কা সহ্য করতে পারে। তবে তিনি সতর্ক করে বলেছেন, আগাম-সতর্কতামূলক ব্যবস্থা কতটা সহায়ক হবে, তা নির্ভর করবে সুনামি কত দূরে আঘাত হানছে তার ওপর। খুব কাছেই আঘাত হানলে এই সতর্কতা-ব্যবস্থা খুব কার্যকর হবে না।