Most Expensive Dust: সোনা-রুপোর থেকেও বেশি দামি, এক চিমটি ধুলোর দামই ৪ কোটি টাকা! অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি

সমস্ত কঠোর পরিশ্রম ধুলোয় পরিণত হয়। এই প্রচলিত প্রবাদটি হয়তো অনেকেই শুনে থাকবেন। এমনিতে তো ধুলোকে মূল্যহীন বলেই গণ্য করা হয়। কিন্তু আজ আমরা বলব এক অন্য গল্প।

আসলে ধুলোরও মূল্য রয়েছে। শুনে হয়তো নিজের কানকে বিশ্বাস করানো যাবে না। অবিশ্বাস্য মনে হলেও এটা একেবারেই সত্যি। ধুলো কিন্তু সব সময় অপ্রয়োজনীয়, প্রাণহীন হয় না।

কখনও কখনও এর মূল্য পৌঁছে যায় কয়েক কোটিতে। তবে আসল বিষয়টা হচ্ছে, ধুলোটা কোথা থেকে আসছে। নিশ্চয়ই মনে হচ্ছে যে, ধুলো কীভাবে মূল্যবান হতে পারে। আজ সেই মহার্ঘ্য ধুলোর গল্পই বলা যাক।

আসলে এই ধুলো কিন্তু আমাদের পৃথিবীতে পাওয়া যায় না। বরং এই মহার্ঘ্য ধুলো পাওয়া যায় উপগ্রহ চাঁদে। সেখানকার এক চিমটি ধুলোর দামই কয়েক কোটি টাকা।

এমনকী নিলামে দেখা গিয়েছে, এক চিমটি ধুলোর জন্য মানুষ ৪ কোটি ১৬ লক্ষ ৭১ হাজার ৪০০ টাকা দিতে পর্যন্ত রাজি হয়ে গিয়েছে।

এক চিমটি এই মহার্ঘ্য ধুলো চাঁদ থেকে পৃথিবীতে এনে বিক্রি করা হয়েছে। আর এর এত মূল্যের কারণ হল, এটা ভীষণই বিরল। অ্যাপোলো ১১ চন্দ্র অভিযান থেকে ওই ধুলো পৃথিবীতে আনা হয়েছিল। সেই ধুলোই বনহ্যামস-এ নিলাম করা হয়েছে।

২০২২ সালের এপ্রিল মাসে ওই নিলামে তা বিক্রি হয়েছিল প্রায় ৫০ লক্ষ ডলারে। ভারতীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ হল ৪ কোটি ১৬ লক্ষ টাকা। যদিও ওই ধুলো কে কিনেছেন, সেটা জানা যায়নি। তবে এই নিলাম ইতিহাসের পাতায় স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে।

কিন্তু কীভাবে ওই ধুলো পৃথিবীতে আনা হল? আসলে অ্যাপোলো ১১ অভিযানের সময় মহাকাশতারী নিল আর্মস্ট্রং এই ধুলো পৃথিবীতে এনেছিলেন। নিলামে এর দর উঠেছিল ৪ লক্ষ ডলার পর্যন্ত।

কিন্তু প্রিমিয়াম, ফি ইত্যাদি নিয়ে সর্বমোট মূল্য পৌঁছেছিল ৫০ লক্ষ ডলারে। তবে অনেকেই হয়তো জানেন না যে, বিশ্বের মধ্যে শুধুমাত্র তিনটি দেশেই চন্দ্রের ধুলো রয়েছে।

আর সেই দেশগুলি হল আমেরিকা, রাশিয়া এবং চিন। এমনকী আমেরিকার কাছে চাঁদের পাথরের নমুনাও রয়েছে। তবে রাশিয়া এবং চিনের কাছে শুধুমাত্র চাঁদের ধুলোই রয়েছে।