ঘোড়ায় চড়ে বর আসছেন আর নতুন বউকে নিয়ে বাড়ি ফিরছেন পালকি করে, এ দৃশ্য কখনও পুরনো হয় না। কোন অতীত থেকে শুরু হয়েছিল বরযাত্রা আর কন্যাবিদায়ের এই প্রথা, এখনও বিয়ের কার্ডে, গ্রাম-শহরের পথে তার টুকরো ছবি ধরা পড়ে। কন্যাবিদায়ের জন্য পালকি আজকাল ভাড়াও পাওয়া যায়। বরের ঘোড়া তো আছেই! তবে প্রথা ভেঙে, বিয়ে আরও জাঁকজমক করে তুলতে হালের বরেরা ঘোড়ার বদলে চোখধাঁধানো কোনও যান বেছে নেন।
এলাকায় এখনও এই বিয়ের হেলিকপ্টারে করে বরযাত্রা আর কন্যাবিদায় লোকের আলোচনার বিষয় হয়ে আছে। স্থানীয়রা বর-কনে তো বটেই, সেই সঙ্গে হেলিকপ্টারের পাশে দাঁড়িয়েও সেলফি তুলেছেন মনের সাধ মিটিয়ে। আর সেই জন্যই রাজাওয়াত পরিবার এখন ইচ্ছাপূরণের প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়েছেন ওই গ্রামে। জানা গিয়েছে যে সদ্য গত শুক্রবার শুভ বিবাহ সম্পন্ন হয়েছে বংশওয়াড়ার সমাজসেবক ঘনশ্যাম সিংয়ের ভাইঝির। মেয়ের বাবা এই বিয়ে দেখে যেতে পারেননি। তাঁর বড় ইচ্ছা ছিল- মেয়ে হেলিকপ্টারে করে শ্বশুরবাড়িতে যাক! একথা জানতে পেরে আর দ্বিধা করেনি রাজাওয়াত পরিবার ৷
বাগদানের সময়ে না কি সিং পরিবার ৫ লক্ষ টাকা যৌতুক দিতে চেয়েছিল, কিন্তু রাজাওয়াতরা তা গ্রহণ করতে অস্বীকার করেন। পাত্রের বাবা নন্দ সিং রাজাওয়াতের সাফ কথা- পণপ্রথার চেয়ে খারাপ কিছু হয় না, নিজেরা না শুধরোলে সমাজ বদলাবে কী করে! নতুন বউ নিয়ে রবিন এবং রাজাওয়াতরা ফিরে গিয়েছেন আলওয়ারের মাধোগড়ে। কিন্তু এই বিয়ের স্মৃতি যে বংশওয়াড়ার মন থেকে মুছবে না, তা আর আলাদা করে বলে দিতে হয় না!