Victoria Memorial: সম্পূর্ণ সাদা ভিক্টোরিয়াকে একবার পুরো কালো করে দেওয়া হয়েছিল! কেন জানেন? কারণ শুনে চমকে উঠবেন

Last Updated:
Victoria Memorial: জানেন, শ্বেত পাথরের তৈরি ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালকে একবার সম্পূর্ণ কালে রং করে দেওয়া হযেছিল। সালটা ছিল ১৯৪৩।
1/8
ব্রিটিশ শাসন চলাকালীন কলকাতা ছিল ভারতের রাজধানী। ইংল্যান্ডের রানি ভিক্টোরিয়া তখন আবার ভারতেরও সম্রাজ্ঞী। তাঁর রাজত্বকাল ১৮৫৭ থেকে ১৯০১-এর ২২ জানুয়ারি। সেই বিশেষ দিনেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। আর তাঁর মৃত্যুর পর ভারতীয় উপনিবেশে তাঁর স্মৃতি সৌধ তৈরির সিদ্ধান্ত নেন ব্রিটিশ শাসকরা। সিদ্ধান্ত হয় যে সেই স্মৃতি সৌধ হবে তাজমহলের আদলে।
ব্রিটিশ শাসন চলাকালীন কলকাতা ছিল ভারতের রাজধানী। ইংল্যান্ডের রানি ভিক্টোরিয়া তখন আবার ভারতেরও সম্রাজ্ঞী। তাঁর রাজত্বকাল ১৮৫৭ থেকে ১৯০১-এর ২২ জানুয়ারি। সেই বিশেষ দিনেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। আর তাঁর মৃত্যুর পর ভারতীয় উপনিবেশে তাঁর স্মৃতি সৌধ তৈরির সিদ্ধান্ত নেন ব্রিটিশ শাসকরা। সিদ্ধান্ত হয় যে সেই স্মৃতি সৌধ হবে তাজমহলের আদলে।
advertisement
2/8
যদিও তাতে থাকবে ইউরোপীয় সংস্কৃতির স্পর্শ। রানির নামে সেই সৌধের নাম রাখা হয় ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল। আগাগোড়া শ্বেত পাথরের তৈরি এই স্মৃতিসৌধটি বর্তমানে একটি জাতীয় সংগ্রহশালা এবং কলকাতার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ পর্যটন আকর্ষণ। কলকাতা শহরের ঐতিহ্যবাহী এই ভবনকে ঘিরে রয়েছে নানা মজাদার ঘটনা। অনেকেই হয়তো সেসব ঘটনার কথা জানেন না।
যদিও তাতে থাকবে ইউরোপীয় সংস্কৃতির স্পর্শ। রানির নামে সেই সৌধের নাম রাখা হয় ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল। আগাগোড়া শ্বেত পাথরের তৈরি এই স্মৃতিসৌধটি বর্তমানে একটি জাতীয় সংগ্রহশালা এবং কলকাতার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ পর্যটন আকর্ষণ। কলকাতা শহরের ঐতিহ্যবাহী এই ভবনকে ঘিরে রয়েছে নানা মজাদার ঘটনা। অনেকেই হয়তো সেসব ঘটনার কথা জানেন না।
advertisement
3/8
জানেন, শ্বেত পাথরের তৈরি ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালকে একবার সম্পূর্ণ কালে রং করে দেওয়া হযেছিল। সালটা ছিল ১৯৪৩। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলছিল সেই সময়। এমনকি জাপানি সৈন্যদের আক্রমণের ভয়ে ভিক্টোরিয়ার ছবি প্রকাশও বন্ধ করে দিয়েছিল ব্রিটিশ সরকার।
জানেন, শ্বেত পাথরের তৈরি ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালকে একবার সম্পূর্ণ কালে রং করে দেওয়া হযেছিল। সালটা ছিল ১৯৪৩। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলছিল সেই সময়। এমনকি জাপানি সৈন্যদের আক্রমণের ভয়ে ভিক্টোরিয়ার ছবি প্রকাশও বন্ধ করে দিয়েছিল ব্রিটিশ সরকার।
advertisement
4/8
শ্বেত পাথরের সাদা ইমারত বহু দূর থেকেও দেখা যায়। ফলে সেসব স্থান বোমায় উড়িয়ে দেওয়া সহজ। সে কারণেই সতর্কতা স্বরূপ ভিক্টোরিয়ার রং কালো করে দেওয়া হয়।
শ্বেত পাথরের সাদা ইমারত বহু দূর থেকেও দেখা যায়। ফলে সেসব স্থান বোমায় উড়িয়ে দেওয়া সহজ। সে কারণেই সতর্কতা স্বরূপ ভিক্টোরিয়ার রং কালো করে দেওয়া হয়।
advertisement
5/8
১৯০১ সালের ২২ জানুয়ারি প্রয়াত হন রানি ভিক্টোরিয়া। বলাবাহুল্য মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গে তাঁর রাজত্বকালও শেষ হয়। রানির প্রয়াণের পর কলকাতায় তড়িঘড়ি এক বৈঠক ডাকেন তৎকালীন ভাইসরয় লর্ড কার্জন। প্রয়াত রানিকে বিশেষভাবে সম্মান জানানোর প্রস্তাব রাখেন তিনি। প্রস্তাব ওঠে তাক লাগানো এক স্মৃতি সৌধ তৈরির। যেখানে থাকবে প্রচুর গাছ এবং ফুলের বাগান।
১৯০১ সালের ২২ জানুয়ারি প্রয়াত হন রানি ভিক্টোরিয়া। বলাবাহুল্য মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গে তাঁর রাজত্বকালও শেষ হয়। রানির প্রয়াণের পর কলকাতায় তড়িঘড়ি এক বৈঠক ডাকেন তৎকালীন ভাইসরয় লর্ড কার্জন। প্রয়াত রানিকে বিশেষভাবে সম্মান জানানোর প্রস্তাব রাখেন তিনি। প্রস্তাব ওঠে তাক লাগানো এক স্মৃতি সৌধ তৈরির। যেখানে থাকবে প্রচুর গাছ এবং ফুলের বাগান।
advertisement
6/8
ভাইসরয়ের ইচ্ছে ছিল তাক লাগানো সেই স্মৃতি সৌধ দেখতে পর্যটকরা কলকাতায় ভিড় জমাবেন। তাঁর উদ্দেশ্য ছিল তাজমহলকে টেক্কা দেওয়ার। তবে তাজমহলকে টেক্কা দিতে না পারলেও জনপ্রিয়তায় তাজের ঘাড়েই নিঃশ্বাস ফেলছে কলকাতার ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল।
ভাইসরয়ের ইচ্ছে ছিল তাক লাগানো সেই স্মৃতি সৌধ দেখতে পর্যটকরা কলকাতায় ভিড় জমাবেন। তাঁর উদ্দেশ্য ছিল তাজমহলকে টেক্কা দেওয়ার। তবে তাজমহলকে টেক্কা দিতে না পারলেও জনপ্রিয়তায় তাজের ঘাড়েই নিঃশ্বাস ফেলছে কলকাতার ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল।
advertisement
7/8
রানির স্মৃতি সৌধ বা ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল তৈরির প্রস্তাব করা হয় ১৯০১ সালে। প্রায় পাঁচ বছর ধরে তার নকশা তৈরি সহ অন্যান্য কাজ এগোতে থাকে। ১৯০৬ সালে শুরু হয় সৌধ নির্মাণের কাজ। সৌধটির ভিত্তি প্রস্তর স্থান করেন রাজা পঞ্চম জর্জ। বোন ভিক্টোরিয়ার মৃত্যুর পর তাঁরই রাজা হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বাবা সপ্তম এডওয়ার্ড বেঁচে থাকা পর্যন্ত তিনি রাজা হতে পারেননি।
রানির স্মৃতি সৌধ বা ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল তৈরির প্রস্তাব করা হয় ১৯০১ সালে। প্রায় পাঁচ বছর ধরে তার নকশা তৈরি সহ অন্যান্য কাজ এগোতে থাকে। ১৯০৬ সালে শুরু হয় সৌধ নির্মাণের কাজ। সৌধটির ভিত্তি প্রস্তর স্থান করেন রাজা পঞ্চম জর্জ। বোন ভিক্টোরিয়ার মৃত্যুর পর তাঁরই রাজা হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বাবা সপ্তম এডওয়ার্ড বেঁচে থাকা পর্যন্ত তিনি রাজা হতে পারেননি।
advertisement
8/8
পঞ্চম জর্জ যখন ভারতে এসেছিলেন তখন ভারতীয়দের প্রতি ব্রিটিশদের জাতিগত বিদ্বেশ দেখে অত্যন্ত বিরক্ত হন। ভারতীয় রাজনীতি এবং প্রশাসনিক কাজে ভারতীয়দের অংশগ্রহণকে উৎসাহ দেন। তাঁর রাজত্বকালেই ভারতের রাজধানী কলকাতা থেকে দিল্লিতে স্থানান্তরিত হয়।
পঞ্চম জর্জ যখন ভারতে এসেছিলেন তখন ভারতীয়দের প্রতি ব্রিটিশদের জাতিগত বিদ্বেশ দেখে অত্যন্ত বিরক্ত হন। ভারতীয় রাজনীতি এবং প্রশাসনিক কাজে ভারতীয়দের অংশগ্রহণকে উৎসাহ দেন। তাঁর রাজত্বকালেই ভারতের রাজধানী কলকাতা থেকে দিল্লিতে স্থানান্তরিত হয়।
advertisement
advertisement
advertisement