শিবলিঙ্গ সম্পর্কে কিছু অজানা, চমকপ্রদ তথ্য--

শাস্ত্রমতে বিশ্বাস করা হয় সোমবার শিবের দিন। সেই প্রাচীন যুগ থেকে হিন্দুদের মধ্যে শিবলিঙ্গ পুজো প্রচলিত। প্রাচীন রোমে ‘প্রায়াপাস’ নামে যে বিগ্রহের পূজা হতো, অনেকের মতে সেটি শিবলিঙ্গই ছিল। হরপ্পা-মহেঞ্জোদাড়ো সভ্যতার যে ধ্বংসাবশেষ পাওয়া গিয়েছে, তার মধ্যেও পাওয়া গিয়েছে বেশ কিছু শিবলিঙ্গ। শিবলেঙ্গ সম্পর্কে এই তথ্য গুলো অনেকেরই অজানা-- Representative image Photo Source: Collected

সবচেয়ে নীচের চারমুখী অংশটি থাকে মাটির নীচে। এই অংশটি ব্রহ্মা। তার উপরের অংশটি আটমুখী, যা বেদীমূল হিসেবে কাজ করে। এই অংশটি বিষ্ণু। একেবারের উপরের অর্ধবৃত্তাকার অংশ শিব ঠাকুরের প্রতীক হিসেবে পুজো করা হয় হয়। বেদীমূলে একটি লম্বাকৃতি অংশ রয়েছে, যা শিবলিঙ্গের মাথায় ঢালা জল বেরিয়ে যেতে সাহায্য করে। এই অংশের নাম গৌরীপট্ট, যা মূলত যোনির প্রতীক। Representative image Photo Source: Collected

হিন্দু ধর্ম শাস্ত্র অনুযায়ী শিবলিঙ্গের গায়ে হলুদ লাগানো নিষেধ। কারণ, হলুদ একটি প্রাকৃতিক উপাদান যা সাধারণত মহিলারা প্রাসধনী হিসেবে ব্যবহার করে থাকেন। Representative image Photo Source: Collected

শিবলিঙ্গ একই সঙ্গে শিবের সৃজনাত্মক ও ধ্বংসাত্মক রূপের প্রতীক। অনেকে যে একে পুরুষাঙ্গের পূজা হিসেবে ব্যাখ্যা করে অশ্লীলতা বলে মনে করেন, তা একেবারেই ভুল ব্যাখ্যা। Representative image Photo Source: Collected

শিবলিঙ্গের লম্বাকৃতি অংশটিতে পরপর তিনটি খাঁজ কাটা রয়েছে। বৈজ্ঞানিকদের মতে, এই তিনটি খাঁজ আসলে অণুর তিনটি উাপাদান— প্রোটন, নিউট্রন ও ইলেকট্রনের প্রতীক। এই তিনটি উপাদান দিয়েই তৈরি হয়েছে বিশ্বব্রহ্মাণ্ড। Representative image Photo Source: Collected

শিবলিঙ্গে কখনও সিঁদুর লাগাবেন না। কারণ, হিন্দু মহিলারা স্বামীর আয়ুর বৃদ্ধির প্রার্থণায় সিঁথিতে সিঁদুর লাগান। Representative image Photo Source: Collected

শিবলিঙ্গের গায়ে অনেক সময়ে যে সাপটি প্যাঁচালো অবস্থায় দেখা যায়, সেটি আসলে সুপ্ত চেতনার প্রতীক। Representative image Photo Source: Collected