Divorce Case: 'হানিমুনে সুখ দিতে পারেনি স্বামী', হাই কোর্টে ৯০ লাখ টাকা খোরপোশ চেয়ে বিচ্ছেদ দাবি স্ত্রীর! মোক্ষম রায় আদালতের
- Published by:Ratnadeep Ray
- news18 bangla
Last Updated:
Divorce Case: বিচ্ছেদ মানেই খোরপোশ নিয়ে টানাপড়েন, কখনও আবার খোরপোশের অঙ্কের জন্যও দীর্ঘ দিন চলে মামলা। তেলেঙ্গানা হাইকোর্ট একটি বিবাহবিচ্ছেদ মমলায় এক মহিলার এককালীন ৯০ লাখ টাকার খোরপোষের দাবি খারিজ করে দিয়েছে। কেন বিচ্ছেদ চাইলেন স্ত্রী?
হায়দরাবাদ: বিচ্ছেদ মানেই খোরপোশ নিয়ে টানাপড়েন, কখনও আবার খোরপোশের অঙ্কের জন্যও দীর্ঘ দিন চলে মামলা। তেলেঙ্গানা হাইকোর্ট একটি বিবাহবিচ্ছেদ মমলায় এক মহিলার এককালীন ৯০ লাখ টাকার খোরপোষের দাবি খারিজ করে দিয়েছে। আদালত স্পষ্ট জানিয়েছে, স্বামীর মিলনে অক্ষমতার অভিযোগের সাপেক্ষে কোনও জোরালো প্রমাণ না থাকায় ওই মহিলার দাবি খারিজ করে দিয়েছে আদালত। স্ত্রীর দাবি ছিল, তাঁর স্বামী ফুলসজ্জার রাত তো বটেই দুবার হানিমুনেও তার সঙ্গে কিছুই করেননি। Representative Image
advertisement
জানা গিয়েছে, ২০১৩ সালের ডিসেম্বরে হায়দরাবাদে বিয়ে হয়েছিল তাদের। স্ত্রীর অভিযোগ ছিল যে তার স্বামী তার স্বাস্থ্যের সমস্যার কথা লুকিয়েছিলেন এবং বিয়ের প্রথম দিন থেকেই তিনি শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করতে অক্ষম ছিলেন। ওই মহিলা আদালতে বলেছিলেন, কেরালা এবং কাশ্মীরে হানিমুনের সময়ে এই সমস্যা হয়েছিল। ২০১৫ সালে যখন তাঁরা আমেরিকা গিয়েছিলেন, তখন সেখানকার ডাক্তাররা তার স্বামীর শারীরিক সমস্যার কথা নিশ্চিত করেছিলেন। Representative Image
advertisement
স্বামীর যুক্তিস্বামী আদালতে জানিয়েছেন, তাদের বৈবাহিক জীবন স্বাভাবিক ছিল। তিনি স্বীকার করেছিলেন যে তার শরীরে প্রাথমিক সমস্যাগুলি ছিল, কিন্তু ওষুধের মাধ্যমে স্বাস্থ্যের উন্নতি হয়। পাশাপাশি তিনি এটাও বলেছিলেন যে তিনি স্ত্রীকে আর্থিক সাহায্যও করেছেন, যার মধ্যে প্রায় ২৮ লাখ টাকা সরাসরি তার অ্যাকাউন্টে ট্রান্সফার করা হয়েছিল। স্বামীর দাবি ছিল যে স্ত্রীর মামলা আসল সমস্যার চেয়ে বেশি টাকার লোভের উপর ভিত্তি করে। Representative Image
advertisement
আদালত কেন মামলা খারিজ করল?হাইকোর্ট সমস্ত মেডিকেল রিপোর্টের খতিয়ে দেখে। সেই রিপোর্টে নপুংসকতার কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। বিয়ের আগের রিপোর্টেও ওই ব্যক্তির স্পার্ম কাউন্ট স্বাভাবিক ছিল। বিচারকরা প্রশ্ন তোলেন, স্ত্রী ২০১৮ সালে বিয়ের পুরো পাঁচ বছর পর তালাকের আবেদন করেছিলেন। যদি বিয়েতে কখনও শারীরিক সম্পর্ক না হয়ে থাকে তাহলে তিনি এতদিন চুপ কেন ছিলেন? আদালত এই দেরিকেও সন্দেহজনক মনে করেছে। Representative Image
advertisement