সর্প দংশনের বিষও কাজ করতে পারে না, ভক্তিভরে পালন করুন ‘তেজ দশমী’, জেনে নিন অসাধারণ আখ্যান
- Published by:Debalina Datta
- news18 bangla
Last Updated:
মনের ভক্তি দিয়ে পালন করুন ‘তেজ দশমী৷ পৌরাণিক আখ্যানে রয়েছে সাজানো নাগদেবতাকে জয় করার তত্ত্ব৷
হিন্দু সনাতন ধর্মের বিভিন্ন দেবতা- উপদেবতার পূজার চল আছে৷ অনেক সময় এলাকাভিত্তিক দেবতা-রাও স্থানীয় গণ্ডি ছাড়িয়ে সার্বজনীন হয়ে ওঠেন৷ তেমনি তেজজী মহারাজের আরাধনাও এলাকার সীমা পেরিয়ে এখন দেশের বিভিন্ন প্রান্তের বাসিন্দারা আরাধনা করেন৷ ভাদ্রমাসের শুক্ল পক্ষের দশমী তিথিতে এই পর্ব পালিত হয়৷ Photo- File
advertisement
advertisement
পুরাকালে তেজজী রাজা নামের এক ব্যবসায়ী ছিলেন৷ তিনি ছোট থেকেই দুঃসাহসী ছিলেন৷ কোনও বিপদ সংকুল কাজ করতে কোনওরকম ভয় পেতেন না৷ একবার তিনি বোনকে নিয়ে তাঁর শ্বশুরবাড়ি গিয়েছিলেন৷ সেটাও ভাদ্রমাসের শুক্লাপক্ষের দশমী তিথি ছিল৷ তিনি যখন গিয়েছিলেন তখন মেণা নামের একটি ডাকাত তার দলবল নিয়ে এসে গ্রামে আক্রমণ করেন৷ সেই গ্রাম ও তার গ্রামের আশেপাশে লুঠতরাজ চালিয়ে সব নিয়ে চলে যায়৷ Photo- File
advertisement
তেজজী গ্রামের কিছু লোক নিয়ে সেই ডাকাতের থেকে জিনিস উদ্ধার করতে জঙ্গলে প্রবেশ করেন৷ সেই সময় ভাষক নামের একটি সাপ তেজজীর ঘোড়ার রাস্তা আটকে দাঁড়ায়৷ তারপর তেজজীকে দংশন করতে উদ্যত হয়৷ তেজজী তখন সাপটিকে বলে তাঁর বোন ও তার শ্বশুরবাড়ির জিনিস উদ্ধার করে যখন ফিরবেন, তখন যেন সাপটি তাঁকে দংশন করে৷ এই শুনে সাপ রাস্তা ছেড়ে দেয়৷ Photo- File
advertisement
advertisement
এই সময় তেজজী নিজের জিভ তাঁকে খুলে দেন৷ বলেন সেই স্থানটিতে সাপটিকে দংশন করতে৷ তাঁর কথা -র দাম দেখে নাগদেব মুগ্ধ হয়ে তাঁকে আশীর্বাদ করেন৷ তিনি তাঁকে বলেন , ‘ যেকোনও ব্যক্তি ওপর সাপের দংশন হলে যদি তোমার নাম স্মরণ করে তাহলে কোনও সাপের দংশন কাজ করবে না৷ ’ এই কথা বলে নাগদেবতা তেজজীর জিভে দংশন করেন৷ এই পবিত্র তিথিতেই তেজজী মন্দিরে তাঁর অর্চনা হয়৷ সাপের সঙ্গে লড়াই করার ক্ষেত্রে তাঁকে স্মরণ করে পূজা করা হয়৷ Photo- File