তরুণী শুয়ে আছেন বড় একটি টেবিলে। সম্পূর্ণ নগ্ন তরুণী। গায়ে সুতোটা পর্যন্ত নেই। তাঁর গোটা শরীরময় সাজানো নানা খাবার। তাঁর দেহ থেকেই খাবার তুলে খাচ্ছেন অতিথিরা, ঠিক যেমন প্লেট থেকে খাবার তুলে খাওয়া হয়। রক্তমাংসের জলজ্যান্ত তরুণী নিথর হয়ে শুয়ে, যেন কোনও প্রাণহীন দেহ।
advertisement
2/5
তরুণীর নগ্ন দেখকে প্লেট হিসাবে ব্যবহার করার প্রথার নাম নিওতাইমারি। মূলত জাপানে প্রচলিত। সেখানকার বিখ্যাত খাবার সুশি পরিবেশনের জন্য এমন আবরণহীন নারী দেহকে বেছে নেওয়া হয় রেস্তোরাঁয়।
advertisement
3/5
অতিথিরা ব্যবহার করেন জাপানের চামচ অর্থাৎ ২টি কাঠি বা চপস্টিক। এই চপস্টিক দিয়েই নারীর দেহর উপর থেকে নেওয়া হয় সাজানো খাবার
advertisement
4/5
কীভাবে শুরু হয় এই প্রচলন? জানা যায়, ১৮ শতাব্দির আশপাশে জাপান ছোট-ছোট টুকরোয় ভেঙে গিয়েছিল। জাপানি যোদ্ধা বা সামুরাই-রা নিজেদের মধ্যে লড়াই চালিয়ে যেত। লড়াই শেষে যখন বিজয়ী সামুরাই বাড়ি ফিরতেন, তখন তাঁর জয় উদযাপিত হত নিওতাইমারি প্রথার মাধ্যমে। নগ্ন নারীদেহ থেকে জাপানি সামুরাই তুলে নিতেন সুশি।
advertisement
5/5
এই প্রথায় নারীকে খাবারের প্লেট হিসাবে ব্যবহার করা হয়। তরুণী সম্পূর্ণ নিশ্চুপ হয়ে শুয়ে থাকেন। সাধারণত বিত্তবানেদের মধ্যে এই প্রথা প্রচলিত কারণ এটি খুব-ই খরচ সাপেক্ষ। জাপানে এই প্রথার প্রচলন থাকলেও, বিশ্বের নানা প্রান্তে এই প্রথাকে নিন্দনিয় বলে আখ্যা দেওয়া হয়েছে।