Snakes: এই ৮টা জিনিস দেখেই ঠকঠক করে কাঁপে সাপ, লেজ গুটিয়ে দৌড় দেয়, বর্ষায় সাপের কামড় থেকে বাঁচতে অবশ্যই জেনে রাখুন
- Published by:Rukmini Mazumder
- news18 bangla
Last Updated:
সাপ মানেই সাক্ষাৎ জম! সাপ মানেই মৃত্যুভয়! প্রতিবছর বর্ষায় অসংখ্য মানুষের মৃত্যু হয় সাপের কামড়ে! সাপকে সবাই ভয় পায়! কিন্তু জানেন কি, সাপ কাকে ভয় পায়? সর্পবিশেষজ্ঞরা বলেন, এমন ৮টি জিনিস রয়েছে যা সাপ জমের মতো ভয় পায়--
বর্ষা মানেই সাপের ভয়! রাস্তাঘাটে জমাজলে সাপ, কখনও বা বৃষ্টির জলের সঙ্গে বাড়িতেও ঢুকে পড়ছে সাপ! বিশেষ করে এই সময়ে শুকনো জায়গার খোঁজে সাপ বসতবাড়িতে ঢুকে আসে! সাপ মানেই সাক্ষাৎ জম! সাপ মানেই মৃত্যুভয়! প্রতিবছর বর্ষায় অসংখ্য মানুষের মৃত্যু হয় সাপের কামড়ে! সাপকে সবাই ভয় পায়! কিন্তু জানেন কি, সাপ কাকে ভয় পায়? সর্পবিশেষজ্ঞরা বলেন, এমন ৮টি জিনিস রয়েছে যা সাপ জমের মতো ভয় পায়--
advertisement
অন্য সাপ--আশ্চর্যের বিষয় হল সাপ সবচেয়ে বেশি ভয় পায় অন্য সাপকে, বিশেষ করে ভিন্ন প্রজাতির সাপকে। আসলে, বড় সাপরা প্রায়ই নিজেদের চেয়ে ছোট সাপকে খেয়ে ফেলে। অন্যান্য প্রাণীদের মতো, সাপও একটি এলাকা দখল করে সেখানে প্রাধান্য বজায় রাখে। তাদের এলাকায় অন্য সাপ ঢুকে পড়লে, মারকাটারি লড়াই বেঁধে যায়।তবে এই নিয়মের কিছু ব্যতিক্রমও রয়েছে। যেমন কিং কোবরা ও ভাইপার জাতীয় কিছু সাপের প্রজাতির ক্ষেত্রে। এরা অন্য প্রজাতির সাপকে ভয় পায় না বরং অনেক বেশি আক্রমণাত্মক হয়।
advertisement
সাপ আগুন এবং কুকুরকে ভয় পায়। আশ্চর্যের বিষয় হল, সাপ টিকটিকিকেও ভয় পায়। আর নেউল তো আছেই! সাপ আর নেউল উভয় উভয়ের বড় শত্রু। কিছু গবেষণায় দেখা গিয়েছে, বিড়াল আশেপাশে থাকলে সাপ খুব দ্রুত তা অনুভব করতে পারে এবং ভয় পেয়ে যায়। সাপ শিকারি কিন্তু সাপকে শিকার করে এমন প্রাণীও রয়েছে। এদের মধ্যে অন্যতম হলো বাজ, ময়ূর, ঈগল, শিয়াল, নেউল এবং র‍্যাকুন।
advertisement
উজ্জ্বল আলো-- সাপ আলোতে খুব সংবেদনশীল। কাজেই তারা চড়া আলোযুক্ত জায়গা এড়িয়ে চলে। সাপেদের চোখ রাতে দেখার উপযোগীভাবে তৈরি, তাই দিনের তীব্র আলোয় তাদের চোখে কষ্ট হয়। অনেক সময় অতিরিক্ত উজ্জ্বল আলো সাপকে অন্ধ করে দিতে পারে। ফলে যদি কোনও অন্ধকার জায়গায় সাপ দেখেন, সঙ্গে সঙ্গে সাপের চোখের দিকে জোড়াল আলো ফেলুন।
advertisement
আওয়াজ ও স্পর্শ –সাপ জোর আওয়াজ বা হঠাৎ করা আওয়াজকে খুব ভয় পায়। তারা তাদের শ্রবণশক্তি ব্যবহার করে খাবার খোঁজে ও শিকারিদের থেকে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখে। এমন অবস্থায়, যদি হঠাৎ আশপাশে জোরে কোনও শব্দ হয়, তাহলে তারা সঙ্গে সঙ্গে নিরাপদ আশ্রয় খুঁজে পালাতে শুরু করে। তবে যদি আশ্রয় না পায়, তাহলে আত্মরক্ষার জন্য আক্রমণও করতে পারে।জোরে আওয়াজ তাদের শ্রবণক্ষমতার ক্ষতিও করতে পারে। এছাড়াও, সাপের ত্বক খুবই সংবেদনশীল ও নরম। কেউ যদি তাদের জোরে চেপে ধরে, তাহলে তারা ভয় পেয়ে যায়। এই কারণেই শুধু স্পর্শ করলেও সাপ ভয় পায়।
advertisement
তীব্র গন্ধ ও তাপমাত্রার পরিবর্তন-- সাপ তীব্র গন্ধ খুব ভয় পায়। খুব তীব্র গন্ধ তাদের দিক নির্ধারণের ক্ষমতা ব্যাহত করে। শুধু তাই নয়, যদি কোথাও তীব্র গন্ধ থাকে, তাহলে সাপের খাবার খুঁজে পেতেও অসুবিধা হয়।কিছু প্রাকৃতিক গন্ধ সাপের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করে। এজন্য সাপ এমন জায়গায় থাকে না, যেখানে কোনও রকম তীব্র গন্ধ রয়েছে। বিশেষ করে রসুন, লেবু, দারুচিনি এবং পুদিনার গন্ধ সাপ খুব ভয় পায়।এছাড়া, তাপমাত্রার পরিবর্তনও সাপদের জন্য খুব ভয়ের বিষয়। জঙ্গলে সাপ তাদের শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের জন্য আশপাশের পরিবেশের উপর নির্ভর করে। যদি হঠাৎ তাপমাত্রা খুব বেশি ওঠানামা করে, তাহলে সাপ ভয় পেয়ে যায়।
advertisement
সাপ যখন ভয় পায়, তখন তাদের শরীরে অ্যাড্রেনালিনের পরিমাণ বেড়ে যায়। এই অবস্থায় সাপ শত্রুর শরীর জড়িয়ে ধরে এবং আক্রমণের জন্য প্রস্তুত হয়, মুখ খুলে ‘ফোঁস’ শব্দ করে।তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সাপ এই আচরণ আক্রমণের উদ্দেশ্যে করে না, বরং নিজেদের বড় এবং ভয়ঙ্কর দেখানোর জন্য করে, যাতে শিকারি ভয় পেয়ে সরে যায়। তবুও, যদি পালানোর আর কোনও উপায় না থাকে, তখন সাপ আক্রমণ করে।এটা মনে রাখা খুব গুরুত্বপূর্ণ যে, অধিকাংশ সাপ আক্রমণাত্মক নয়। তারা কেবল তখনই আক্রমণ করে, যখন ভয় পায়।
