Shocking Revelation:'আমার ভাই আদতে আমার স্বামীর সন্তান', নিজের মা ও স্বামীর পরকীয়া কীভাবে ধরলেন মহিলা? কী ভয়ানক তথ্য সামনে এল? পড়ুন
- Published by:Rukmini Mazumder
- news18 bangla
Last Updated:
অনেক স্বীকারোক্তিই কাঁপন জাগায়! 'রেডিট'-এ সম্প্রতি প্রকাশিত একটি স্বীকারোক্তি হাজার হাজার মানুষকে হতবাক করে দিয়েছে! সম্পর্কের জটিলতা কোন অন্ধকার বাঁক নিতে পারে, তা অনেকেরই কল্পনার বাইরে
অনেক স্বীকারোক্তিই কাঁপন জাগায়! 'রেডিট'-এ সম্প্রতি প্রকাশিত একটি স্বীকারোক্তি হাজার হাজার মানুষকে হতবাক করে দিয়েছে! সম্পর্কের জটিলতা কোন অন্ধকার বাঁক নিতে পারে, তা অনেকেরই কল্পনার বাইরে। @blownupmarriage1 নামের এক ব্যবহারকারী সদ্য এমন এক হৃদয়বিদারক বিশ্বাসঘাতকতার কাহিনি শেয়ার করেছেন, যা আচমকা শুনলে মনে হবে কোনও সাইকো-থ্রিলারের স্ক্রিপ্ট, কিন্তু এটা আদতেই একেবারে বাস্তব ঘটনা!
Image: News18
Image: News18
advertisement
রেডিট-এর “r/TrueOffMyChest” কমিউনিটিতে ৪০ বছর বয়সী এক মহিলা লেখেন, তিনি তাঁর পরিবারের এমন এক সধ্য জানতে পেরেছেন যা তাঁর পুরো পৃথিবীকে ভেঙে চুরমার করে দিয়েছে। কী সেই সত্য? মহিলা লেখেন, তাঁর স্বামী এবং তার নিজের মায়ের মধ্যে ২২ বছরেরও বেশি সময় ধরে চলছে পরকীয়া সম্পর্ক। এই সম্পর্ক কীভাবে তাঁর নিজের, তাঁর বাবা ও ভাইবোনদের জীবন চিরতরে বদলে দিয়েছে, তা ভাগ করে নেন মহিলা।
advertisement
মহিলা লেখেন, তাঁর স্বামী (বর্তমানে যিনি প্রাক্তন স্বামী)-র সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক শুরু হয়েছিল সহজভাবেই। তাঁরা ১৫ বছর বয়স থেকে প্রেম করতেন এবং ১৭ বছর বয়সে মহিলা গর্ভবতী হলে তাঁরা বিয়ে করেন। মহিলার বাবা-মা মেয়ে-জামাইকে নিজের বাড়িতেই রাখেন। পরবর্তীতে, মহিলার বাবা মেয়ে ও জামাইয়ের জন্য পাশেই একটি বাড়ি কিনে দেন। স্বাভাবিকভাবেই দুই পরিবারের সম্পর্ক আরও দৃঢ় হয়ে ওঠে।
advertisement
সবকিছু ঠিকই চলছিল। আচমকাই ছন্দপতন! মহিলার সামনে আসে সেই ভয়ঙ্কর সত্যটা। সেদিন মহিলা তাড়াতাড়িই বাড়ি ফিরেছিলেন। আর তাতেই ঘত। বিপত্তি। নিজর স্বামী ও নিজের মাকে আপত্তিকর অবস্থায় হাতেনাতে ধরে ফেলেন মহিলা। তাঁদের মুখোমুখি হলে, তাঁরা স্বীকার করে নেন, এই সম্পর্ক ২০ বছরেরও বেশি সময় ধরে চলছে। মহিলার বিয়ের আগে থেকেই। এই সত্য জানতে পেরে তো কাঁপতে থাকে মহিলা। তাঁর মনে সন্দেহ জাগে, তাঁর যমজ দুই ভাই এবং সবচেয়ে ছোট ভাই কি আদৌ তাঁর বাবার জৈবিক সন্তান, নাকি তাঁর স্বামীর সন্তান? অর্থাৎ তাঁর তিন ভাই কি আদৌ তাঁর ভাই নাকি তাঁর ছেলে?
advertisement
মহিলা তাঁর স্বামী ও তাঁর মায়ের সম্পর্কের কথা বাবাকে জানান। স্বাভাবিকভাবেই ভেঙে পড়েন ব্যক্তি। তিনি তৎক্ষণাৎ ডিএনএ পরীক্ষার নির্দেশ দেন যাতে পুরো সত্য প্রকাশ পায়। পরীক্ষার ফল গোটা পরিবারকে আজীবনের জন্য এক ভয়ংকর ধাক্কা দেয়। পিতৃত্ব পরীক্ষায় প্রমাণিত হয় যে, তাঁর স্ত্রী আসলে নিজের জামাইয়ের সন্তানদের জন্ম দিয়েছেন এবং তাঁর সন্তানেরা আদৌ তাঁর নিজের নয়।
এর কিছুদিন পরেই,ব্যক্তি তাঁর স্ত্রীকে বাড়ি থেকে বার করে দেন।
এর কিছুদিন পরেই,ব্যক্তি তাঁর স্ত্রীকে বাড়ি থেকে বার করে দেন।
advertisement
advertisement
বলা বাহুল্য মহিলার পোস্টটি ভাইরাল হতে সময় নেয়নি। কমেন্ট সেকশন ভরে যায় সমালোচনায়। অনেকেই মহিলার মা ও স্বামীর কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানান এবং মহিলার প্রতি সমর্থন ও সংহতি জানান। অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, মহিলা এক অকল্পনীয় বিশ্বাসঘাতকতার শিকার। ঘটনাটি ঘটেছিল ৩ বছর আগে। সম্প্রতি মহিলা সেই ঘটনা সবার সামনে আনেন।