Plane Missing: ২৩৯ জন যাত্রী নিয়ে আস্ত বিমান গায়েব! ছিলেন এক বাঙালিও, ফ্লাইট MH 370 আজও জলজ্যান্ত রহস্য
- Published by:Raima Chakraborty
- news18 bangla
Last Updated:
Plane Missing: মালয়েশিয়া এয়ারলাইন্স ফ্লাইট ৩৭০ বা এমএইচ ৩৭০ একটি নিয়মিত যাত্রিবাহী বিমান ছিল। মালয়েশিয়ার কুয়ালা লামপুর থেকে চিনের বেজিং যাওয়ার পথে মাঝ আকাশে হারিয়ে যায়।
advertisement
advertisement
এমন ঘটনা কখনও দেখেনি বিশ্ববাসী। একাধিক দেশের যৌথ তৎপরতায় দীর্ঘদিন ধরে আঁতিপাতি করে সন্ধান চালানো। এককথায় গরু খোঁজা খুঁজেও হদিস মেলেনি সে বিমানের একটি টুকরোরও। দুর্ঘটনায় হতাহত যাত্রী, বিমানের ধ্বংসাবশেষ এমনকি ব্ল্যাকবক্স-- সবসুদ্ধ যেন স্রেফ গায়েব হয়ে যায় বিমানটি। চরম রহস্যে হতবাক হয়ে যায় গোটা দুনিয়া, যা ইতিহাসের পাতায় অন্যতম রহস্য হয়ে গিয়েছে।
advertisement
মাঝ আকাশ থেকে ২২৭ জন যাত্রী আর ১২ জন বিমানকর্মীকে নিয়ে জলজ্যান্ত বিমান হারিয়ে গেল কোথায়? বিমানে সম্ভবত এই একজনই বাঙালি যাত্রী ছিলেন। মুক্তেশ মুখোপাধ্যায় ও তাঁর স্ত্রী চিনের মেয়ে জিয়োমো। দুই ছেলে মিরাভ আর মাইলসকে চিনে শাশুড়ির কাছে রেখে মুক্তেশ ও জিয়োমো ভিয়েতনাম বেড়াতে গিয়েছিলেন। চিন ফেরার পথে বিমানের সঙ্গেই সারাজীবনের জন্য নিখোঁজ হয়ে যান তাঁরা।
advertisement
advertisement
advertisement
বিমান চলাচলের ইতিহাসের 'সবচেয়ে রহস্যময়' ঘটনাগুলোর তালিকা তৈরি করতে বললে অনেক বিশেষজ্ঞই মালয়েশিয়ার এমএইচ ৩৭০-র হারিয়ে যাওয়াকে নিঃসংকোচে তালিকার শীর্ষে রাখবেন। যাত্রা শুরু করার ৪০ মিনিটের মধ্যে সব ধরনের যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর বিমানটির কী হয়েছে, তা আজও নিশ্চিতভাবে জানা যায়নি। গত দশ বছরে বিমানটি ‘অদৃশ্য’ হয়ে যাওয়ার পেছনে সম্ভাব্য শত শত কারণ নিয়ে জল্পনা-কল্পনা, গবেষণা হয়েছে।
advertisement
কী হয়েছিল সেদিন, তার নানা তত্ত্ব সামনে এসেছে। নেটফ্লিক্সে সিরিজও হয়েছে। কিন্তু উত্তর অধরাই। বিমান ছিনতাই, গুপ্তচরবৃত্তি, পাইলটের অসুস্থতা, জঙ্গি হামলা, আন্তঃদেশীয় রাজনীতি-সহ বিভিন্ন তত্ত্ব নিয়ে হয়েছে আলোচনা-পর্যালোচনা। লক্ষ লক্ষ ডলার খরচ করে বছরের পর বছর একাধিক দেশের কর্তৃপক্ষ খোঁজ চালিয়েছে বিমানের ধ্বংসাবশেষের। কিন্তু কোনও লাভ হয়নি এখনও।
advertisement
বিমানটি নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার পরদিন মালয়েশিয়ার কর্তৃপক্ষ প্রাথমিকভাবে জানায় যে কুয়ালালামপুর থেকে বেইজিং যাওয়ার পথে ভিয়েতানামের বায়ুসীমায় প্রবেশ করার মুহূর্তে বিমানটি রাডার থেকে অদৃশ্য হয়ে যায়। ওই অনুমান অনুযায়ী পরদিন সকাল থেকেই মালয়েশিয়ার উত্তর-পূর্বে দক্ষিণ চিন সাগরে বিমানটির ধ্বংসাবশেষের খোঁজ শুরু হয়। মালয়েশিয়ার বিমান বাহিনী, কোস্ট গার্ড ও নৌ বাহিনী যৌথভাবে খোঁজ চালায়।
advertisement
advertisement
advertisement
বিমানটি আদৌ ভারত মহাসাগরেই বিধ্বস্ত হয়েছে কি না, তা নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করে থাকেন অনেক বিশেষজ্ঞ ও এই বিষয়ের গবেষক। শেষ দুই বছরের বেশি সময় একাধিক দেশের উদ্ধারকারী দলের অনুসন্ধানে ২০ কোটি ডলারের বেশি অর্থ ব্যয় তবে এমএইচ ৩৭০-র সঙ্গে কী হয়েছে তা নিশ্চিতভাবে যতদিন জানা যাবে না, ততদিন হয়তো এই রহস্যময় ঘটনা সম্পর্কে কোনও তত্ত্বই একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যাবে না।
advertisement