Plane Crash: আকাশ থেকে পড়েছিল একের পর এক মানুষের মৃতদেহ! 'লকারবি' ষড়যন্ত্রে মৃত্যু ২৭০ জনের
- Published by:Suman Biswas
- news18 bangla
Last Updated:
Plane Crash: উড়ান নেওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই মাঝ আকাশে বিস্ফোরিত হয় বিমানটি। ভেঙে পড়ে স্কটল্যান্ডের একটি ছোট্ট গ্রাম লকারবি-তে।
advertisement
advertisement
বোয়িং-এর বিমানটি লন্ডন থেকে উড়ান নিয়েছিল সন্ধে সাড়ে ৬টা নাগাদ। সন্ধে ৭টা বেজে ২ মিনিটে, স্কটল্যান্ডের আকাশে দুর্ঘটনার শিকার হয় সেটি। তখন বিমানের আনুমানিক গতি ছিল প্রায় ৮০৪ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা। ভূপৃষ্ঠ থেকে উচ্চতা ছিল প্রায় ৯৪০০ মিটার। সে-সময় আচমকাই বিমানবন্দরের রাডার থেকে উধাও হয়ে যায় বিমানটি।
advertisement
advertisement
advertisement
বিষয়টি যাচাই করতে সঙ্গে সঙ্গেই বিশেষ দল পাঠানো হয় সংশ্লিষ্ট অঞ্চলে। তবে ততক্ষণে দেরি হয়ে গেছে অনেকটা। উদ্ধারকারী দল যখন ঘটনাস্থলে গিয়ে পৌঁছায়, তখন মৃত্যু হয়েছে অধিকাংশ যাত্রী এবং বিমানকর্মীর। পাশাপাশি সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস হয়ে গেছে বেশ কয়েকটি বাড়ি। দু’জন যাত্রীকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হলেও, হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার আগেই মৃত্যু হয় তাঁদের।
advertisement
advertisement
এই দুর্ঘটনার ২৪ ঘণ্টা পর ধ্বংসস্তূপ থেকে উদ্ধার করা হয় বিমানের ভয়েস রেকর্ডার। তবে আশ্চর্যের বিষয় হল, সেখানে পাইলটদের কোনো বিপদ সংকেত বা বার্তা দিতেই শোনা যায়নি। পাশপাশি রেকর্ডিং-এর শেষ ১৮০ মিলিসেকেন্ডে শোনা যায় বিস্ফোরণের শব্দ। সেখান থেকেই অনুমান করা হয়, এই বিস্ফোরণে মাঝ-আকাশে দু’টুকরো হয়ে গিয়েছিল প্যান অ্যাম ফ্লাইট ১৩০। ককপিটটি পৃথক হয়ে যাওয়ার পর বিমানের মূল অংশটি আকাশে টর্নেডোর মতো ঘুরতে ঘুরতে আছড়ে পড়ে মাটিতে। তারপর দ্বিতীয়বার বিস্ফোরণের শিকার হয় বিমানটি।
advertisement
advertisement
এই প্রশ্নের উত্তর পেতে আরও দু’বছর অপেক্ষা করতে হয়েছিল গোয়েন্দাদের। প্রমাণ মেলে বিস্ফোরক পদার্থটি রাখা হয়েছিল একটি স্যুটকেসে। পাশাপাশি সেখানে রাখা হয়েছিল তোশিবা বোমবিট-এর একটি রেডিও তথা ক্যাসেট প্লেয়ার এবং শিশুদের একটি জামা। যে-জামাটি ক্রয় করা হয়েছিল মাল্টার একটি প্রতিষ্ঠান থেকে। স্বাভাবিকভাবেই এই চক্রান্তে জড়িয়ে যায় লিবিয়ার নাম। অনুমান করা হয়, মধ্যপ্রাচ্যে পশ্চিমী দুনিয়ার কর্মকাণ্ডের প্রতিশোধ নিতেই এই বোমাটি প্ল্যান্ট করা হয়েছিল বিমানে। বিস্তারিত তদন্তে উঠে আসে লিবিয়ান নাগরিক তথা সাবেক ইন্টেলিজেন্স অফিসার আবদেল বাসেত আল-মেগ্রাহির নাম।
advertisement
advertisement
অবশ্য লকারবি ট্র্যাজেডির রহস্য এখানেই শেষ নয়। পরবর্তীতে এফবিআই ও সিআইএ-র তদন্তে উঠে আসে এই ঘটনার সঙ্গে জড়িয়ে ছিল সিরিয়ার একটি সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠী। পাশাপাশি এই হামলার মদত জুগিয়েছিল ইরান। ১৯৮৮ সালে এই দুর্ঘটনার ছ’মাস আগে ইরানের একটি বাণিজ্যিক বিমানে আক্রমণ করেছিল যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনী। তাতে মৃত্যু হয়েছিল ২৯০ জন মানুষের। মূলত সেই ঘটনার প্রতিশোধ নিতেই লকারবি হামলা করা হয়। এবার এই আদেশ দিয়েছিল তৎকালীন ইরানের স্বর্বাধিনায়ক আলি খামেইনি স্বয়ং। ইরানের গোয়েন্দা বাহিনীও নানাভাবে সাহায্য করেছিল এই হামলা চালানোর জন্য। ২০১৪ সালে এই তথ্য প্রকাশ্যে আসার পর, এখনও চলছে তদন্ত। এখনও এই কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা করে চলেছেন গোয়েন্দারা। কবে বিচার মিলবে নিহতদের?