Plane Accident Human Body Impact: বিমান দুর্ঘটনার মুহূর্তে ঠিক কী অবস্থা হয় মানব শরীরের! কতটা যন্ত্রণা সহ্য করে মানব শরীর? জানুন...

Last Updated:
Plane Accident Human Body Impact: বিমান দুর্ঘটনার সময় মানবদেহ নানা ধরণের বিপদের মুখে পড়ে। তীব্র ধাক্কা, ওজনহীনতা, ডিপ্রেশন, হাইপোথার্মিয়া এবং মানসিক আতঙ্ক একসঙ্গে কাজ করে। আর কী কী হয় জানতে বিস্তারিত পড়ুন...
1/11
বিমান দুর্ঘটনার সময় হঠাৎ ধাক্কা বা পতনের ফলে শরীর প্রবল ধাক্কা সহ্য করে। যাত্রীরা ভয়, আতঙ্ক ও শারীরিক আঘাতের সম্মুখীন হন। কপাল ভাল থাকলে দুর্ঘটনার পরে কয়েকজন বেঁচে থাকতে পারে। কিন্তু বেশিরভাগ যাত্রীকেই জীবনের মায়া হারাতে হয়।
বিমান দুর্ঘটনার সময় হঠাৎ ধাক্কা বা পতনের ফলে শরীর প্রবল ধাক্কা সহ্য করে। যাত্রীরা ভয়, আতঙ্ক ও শারীরিক আঘাতের সম্মুখীন হন। কপাল ভাল থাকলে দুর্ঘটনার পরে কয়েকজন বেঁচে থাকতে পারে। কিন্তু বেশিরভাগ যাত্রীকেই জীবনের মায়া হারাতে হয়।
advertisement
2/11
তীব্র ধাক্কার ফলে শরীরের ক্ষতি তীব্র গতি এবং আকস্মিক দুর্ঘটনার কারণে বিমানের গতি হঠাৎ কমে গেলে যাত্রীরা সামনে ছিটকে পড়েন। এতে হাড় ভাঙা, মাথায় চোট, অভ্যন্তরীণ রক্তপাতের মতো আঘাত হয়।
তীব্র ধাক্কার ফলে শরীরের ক্ষতি তীব্র গতি এবং আকস্মিক দুর্ঘটনার কারণে বিমানের গতি হঠাৎ কমে গেলে যাত্রীরা সামনে ছিটকে পড়েন। এতে হাড় ভাঙা, মাথায় চোট, অভ্যন্তরীণ রক্তপাতের মতো আঘাত হয়।
advertisement
3/11
ফাইট-অর-ফ্লাইট প্রতিক্রিয়া আতঙ্কের মুহূর্তে অতিরিক্ত উত্তেজনার কারণে শরীর প্রতিক্রিয়া দিতে শুরু করে। এই সময় শরীরে অ্যাড্রেনালিন হরমোন বাড়ে, ফলে হৃদস্পন্দন ও শ্বাসপ্রশ্বাস বেড়ে যায়। এই সময় ব্যথার অনুভব উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যায়, কিন্তু আতঙ্ক দ্বিগুন হারে বেড়ে যায়।
ফাইট-অর-ফ্লাইট প্রতিক্রিয়া: আতঙ্কের মুহূর্তে অতিরিক্ত উত্তেজনার কারণে শরীর প্রতিক্রিয়া দিতে শুরু করে। এই সময় শরীরে অ্যাড্রেনালিন হরমোন বাড়ে, ফলে হৃদস্পন্দন ও শ্বাসপ্রশ্বাস বেড়ে যায়। এই সময় ব্যথার অনুভব উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যায়, কিন্তু আতঙ্ক দ্বিগুন হারে বেড়ে যায়।
advertisement
4/11
ওজনহীনতার অনুভব: বিমান হঠাৎ নিচের দিকে নামতে শুরু করলে শরীর একদম হালকা হয়ে যায়৷ মনে হবে শরীরে কোনও ওজনই নেই৷ হঠাৎ আঘাতের কারণে মানুষ আসন থেকে উপরে উঠে ভেসে থাকে কিছু সময়ের জন্য।
ওজনহীনতার অনুভব: বিমান হঠাৎ নিচের দিকে নামতে শুরু করলে শরীর একদম হালকা হয়ে যায়৷ মনে হবে শরীরে কোনও ওজনই নেই৷ হঠাৎ আঘাতের কারণে মানুষ আসন থেকে উপরে উঠে ভেসে থাকে কিছু সময়ের জন্য।
advertisement
5/11
বিমানে ধাক্কার সময় ‘ব্রেস ফর ইমপ্যাক্ট’ বলা হয়। কেউ কেউ মনে করেন এতে পিঠে ক্ষতি হতে পারে, কিন্তু বিশেষজ্ঞদের মতে এটি মাথা ও শরীর রক্ষা করে।
বিমানে ধাক্কার সময় ‘ব্রেস ফর ইমপ্যাক্ট’ বলা হয়। কেউ কেউ মনে করেন এতে পিঠে ক্ষতি হতে পারে, কিন্তু বিশেষজ্ঞদের মতে এটি মাথা ও শরীর রক্ষা করে।
advertisement
6/11
এক্সপ্লোসিভ ডিকম্প্রেশন: বিমানের চাপ হঠাৎ কমে গেলে বিশাল ক্ষতি হতে পারে। শরীর বাইরে ছিটকে যেতে পারে এবং শ্বাসরুদ্ধ হয়ে মৃত্যু পর্যন্ত ঘটতে পারে।
এক্সপ্লোসিভ ডিকম্প্রেশন: বিমানের চাপ হঠাৎ কমে গেলে বিশাল ক্ষতি হতে পারে। শরীর বাইরে ছিটকে যেতে পারে এবং শ্বাসরুদ্ধ হয়ে মৃত্যু পর্যন্ত ঘটতে পারে।
advertisement
7/11
দুর্ঘটনার মুহূর্তে মস্তিষ্ক প্রচণ্ড অ্যাক্টিভ হয়ে ওঠে৷ এই সময় মস্তিষ্ক বেশি তথ্য ধারণ করে বলে মনে হয় সময় যেন থেমে গিয়েছে বা সবকিছুই খুব ধীরে গতিতে চলছে। এটি একধরনের মানসিক প্রতিক্রিয়া।
দুর্ঘটনার মুহূর্তে মস্তিষ্ক প্রচণ্ড অ্যাক্টিভ হয়ে ওঠে৷ এই সময় মস্তিষ্ক বেশি তথ্য ধারণ করে বলে মনে হয় সময় যেন থেমে গিয়েছে বা সবকিছুই খুব ধীরে গতিতে চলছে। এটি একধরনের মানসিক প্রতিক্রিয়া।
advertisement
8/11
বিমান যদি হঠাৎ তীব্র বাঁক নেয় বা দ্রুত নেমে আসে, শরীর প্রবল G-ফোর্সে প্রভাব পরে৷ এই সময় মস্তিষ্ক কাজ করা বন্ধ করে দেয়, মানুষ অচেতন হয়ে পড়তে পারে। ফলে, তারপর যে আঘাত হয় তা সেটা অনেক সময় বুঝতেই পারে না৷
বিমান যদি হঠাৎ তীব্র বাঁক নেয় বা দ্রুত নেমে আসে, শরীর প্রবল G-ফোর্সে প্রভাব পরে৷ এই সময় মস্তিষ্ক কাজ করা বন্ধ করে দেয়, মানুষ অচেতন হয়ে পড়তে পারে। ফলে, তারপর যে আঘাত হয় তা সেটা অনেক সময় বুঝতেই পারে না৷
advertisement
9/11
বিমান দুর্ঘটনার পর সবচেয়ে বড় ঝুঁকি হল আগুন। আঘাত বা বিস্ফোরণের পরপরই আগুন গ্রাস করে নেয় গোটা প্লেনের শরীর৷ এতে ধোঁয়ার কারণে শ্বাস নিতে না পেরে অনেক যাত্রী মারা যান।
বিমান দুর্ঘটনার পর সবচেয়ে বড় ঝুঁকি হল আগুন। আঘাত বা বিস্ফোরণের পরপরই আগুন গ্রাস করে নেয় গোটা প্লেনের শরীর৷ এতে ধোঁয়ার কারণে শ্বাস নিতে না পেরে অনেক যাত্রী মারা যান।
advertisement
10/11
জলে ভেঙে পড়লে হাইপোথার্মিয়ার ভয় ঠান্ডা জলে প্লেন ভেঙে পড়লে আর এক বিপদ৷ মানুষের শরীরের তাপমাত্রা দ্রুত কমে যায়। এরফলে মাত্র কয়েক মিনিটের মধ্যেই হাইপোথার্মিয়ায় মৃত্যু হতে পারে ব্যক্তির।
জলে ভেঙে পড়লে হাইপোথার্মিয়ার ভয় ঠান্ডা জলে প্লেন ভেঙে পড়লে আর এক বিপদ৷ মানুষের শরীরের তাপমাত্রা দ্রুত কমে যায়। এরফলে মাত্র কয়েক মিনিটের মধ্যেই হাইপোথার্মিয়ায় মৃত্যু হতে পারে ব্যক্তির।
advertisement
11/11
মাটিতে আছাড়, পাহাড়ে ধাক্কা, মাঝ আকাশে বিস্ফোরণ, এমন ঘটনায় আরও ভয়ঙ্কর জিনিস হতে পারে৷ অনেক সময় ধাক্কার কারণে বসার সিট থেকে প্রবল ঝাকুনির কারণে যাত্রীদের দেহ আলাদা হয়ে তা বিমান থেকে ছিটকেও যেতে পারে। এটি ভয়াবহ দৃশ্য তৈরি করে। অনেকে আতঙ্কের এই আতঙ্কের কারণে হার্ট অ্যাটাকের শিকারও হয়ে থাকেন৷
মাটিতে আছাড়, পাহাড়ে ধাক্কা, মাঝ আকাশে বিস্ফোরণ, এমন ঘটনায় আরও ভয়ঙ্কর জিনিস হতে পারে৷ অনেক সময় ধাক্কার কারণে বসার সিট থেকে প্রবল ঝাকুনির কারণে যাত্রীদের দেহ আলাদা হয়ে তা বিমান থেকে ছিটকেও যেতে পারে। এটি ভয়াবহ দৃশ্য তৈরি করে। অনেকে আতঙ্কের এই আতঙ্কের কারণে হার্ট অ্যাটাকের শিকারও হয়ে থাকেন৷
advertisement
advertisement
advertisement