৩০ বছরে দাম বেড়েছে মাত্র এক টাকা! তবু বাম্পার লাভ! 'পার্লে জি' নাম হল কী করে?

Last Updated:
Parle G: ১৯৮২ সালে Parle Gluco-কে Parle-G হিসেবে পুনরায় প্যাকেজ করে।টিভি, রেডিও, সংবাদপত্রে পার্লে জি-র বিজ্ঞাপন দেখানো শুরু হয়। 'জি মানে জিনিয়াস'- এই ট্যাগলাইন জুড়ে দেওয়া হয়।
1/7
১৯০০ সালে একটি 12 বছরের ছেলে গুজরাতের ভালসাদ থেকে মুম্বাই চলে আসে।পেট চালানোর জন্য একটি দর্জির দোকানে কাজ শুরু করে সে। ৬ বছর পর অর্থাৎ ১৮ বছর বয়সে সেই ছেলেটি মুম্বাইয়ের গামদেবী এলাকায় দোকান শুরু করে। কাজ ভালই চলছিল। তবে সে কয়েক বছরের মধ্যে নিজের কোম্পানি ডি মোহনলাল অ্যান্ড কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করে ফেলল। সেই ছেলেটির নাম ছিল মোহনলাল দয়াল চৌহান। যিনি পরে পার্লে জি সংস্থার কর্ণধার হন।
১৯০০ সালে একটি 12 বছরের ছেলে গুজরাতের ভালসাদ থেকে মুম্বাই চলে আসে।পেট চালানোর জন্য একটি দর্জির দোকানে কাজ শুরু করে সে। ৬ বছর পর অর্থাৎ ১৮ বছর বয়সে সেই ছেলেটি মুম্বাইয়ের গামদেবী এলাকায় দোকান শুরু করে। কাজ ভালই চলছিল। তবে সে কয়েক বছরের মধ্যে নিজের কোম্পানি ডি মোহনলাল অ্যান্ড কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করে ফেলল। সেই ছেলেটির নাম ছিল মোহনলাল দয়াল চৌহান। যিনি পরে পার্লে জি সংস্থার কর্ণধার হন।
advertisement
2/7
মোহনলাল দেখলেন, দেশের বেশিরভাগ মানুষ দরিদ্র। তাঁরা দামি ব্র্যান্ডের বিস্কুট কিনতে পারে না। তাই তিনি বাড়িতে তৈরি এবং সস্তা বিস্কুট তৈরি করার সিদ্ধান্ত নেন। যা শুধু ব্রিটিশরাই নয়, ভারতীয়রাও খেতে পছন্দ করল। জার্মানিতে গিয়ে বিস্কুট বানাতে শিখে ৬০ হাজারে একটি মেশিন কিনলেন। ১৯২০ সালে তাঁর পাঁচ ছেলে মানেকলাল, পীতাম্বর, নরোত্তম, কান্তিলাল এবং জয়ন্তীলাল পার্লে জি সংস্থায় যোগ দেন।
মোহনলাল দেখলেন, দেশের বেশিরভাগ মানুষ দরিদ্র। তাঁরা দামি ব্র্যান্ডের বিস্কুট কিনতে পারে না। তাই তিনি বাড়িতে তৈরি এবং সস্তা বিস্কুট তৈরি করার সিদ্ধান্ত নেন। যা শুধু ব্রিটিশরাই নয়, ভারতীয়রাও খেতে পছন্দ করল। জার্মানিতে গিয়ে বিস্কুট বানাতে শিখে ৬০ হাজারে একটি মেশিন কিনলেন। ১৯২০ সালে তাঁর পাঁচ ছেলে মানেকলাল, পীতাম্বর, নরোত্তম, কান্তিলাল এবং জয়ন্তীলাল পার্লে জি সংস্থায় যোগ দেন।
advertisement
3/7
ব্রিটিশ স্ন্যাক কোম্পানিগুলির বিস্কুটের বিকল্প হিসাবে বাজারে প্রবেশ করার পর পার্লে জি খুব দ্রুত সাফল্য পায়। কম দাম, দুর্দান্ত স্বাদের কারণে এটি ২০১১ সালে বিশ্বের সেরা বিক্রিত বিস্কুট হয়ে ওঠে। তবে এই সাফল্য সহজে আসেনি। স্বাধীনতার পর দুর্ভিক্ষের কারণে গম দুষ্প্রাপ্য হয়ে পড়ে। পার্লে গমের পরিবর্তে বার্লি থেকে বিস্কুট তৈরি শুরু করে। বিক্রি কমে গেলে কোম্পানি বিজ্ঞাপনের আশ্রয় নেয়। তখন থেকেই পার্লে গার্ল-এর জন্ম।
ব্রিটিশ স্ন্যাক কোম্পানিগুলির বিস্কুটের বিকল্প হিসাবে বাজারে প্রবেশ করার পর পার্লে জি খুব দ্রুত সাফল্য পায়। কম দাম, দুর্দান্ত স্বাদের কারণে এটি ২০১১ সালে বিশ্বের সেরা বিক্রিত বিস্কুট হয়ে ওঠে। তবে এই সাফল্য সহজে আসেনি। স্বাধীনতার পর দুর্ভিক্ষের কারণে গম দুষ্প্রাপ্য হয়ে পড়ে। পার্লে গমের পরিবর্তে বার্লি থেকে বিস্কুট তৈরি শুরু করে। বিক্রি কমে গেলে কোম্পানি বিজ্ঞাপনের আশ্রয় নেয়। তখন থেকেই পার্লে গার্ল-এর জন্ম।
advertisement
4/7
পার্লে বিজ্ঞাপনের পার্লে গার্ল মানুষের মন জয় করে। ষাটের দশকে অন্যান্য অনেক ব্র্যান্ডও গ্লুকোজ বিস্কুট বিক্রি শুরু করে। তার পর বিস্কুট বিক্রি আবারও কমে আসে। একটি হলুদ মোমের কাগজে মোড়ানো পার্লে বাজারে আসে নতুন করে। তার উপর পার্লে ব্র্যান্ডিং-সহ একটি ছোট মেয়ের ছবি। যা কি না বাজারে হিট।
পার্লে বিজ্ঞাপনের পার্লে গার্ল মানুষের মন জয় করে। ষাটের দশকে অন্যান্য অনেক ব্র্যান্ডও গ্লুকোজ বিস্কুট বিক্রি শুরু করে। তার পর বিস্কুট বিক্রি আবারও কমে আসে। একটি হলুদ মোমের কাগজে মোড়ানো পার্লে বাজারে আসে নতুন করে। তার উপর পার্লে ব্র্যান্ডিং-সহ একটি ছোট মেয়ের ছবি। যা কি না বাজারে হিট।
advertisement
5/7
কোম্পানি ১৯৮২ সালে Parle Gluco-কে Parle-G হিসেবে পুনরায় প্যাকেজ করে।টিভি, রেডিও, সংবাদপত্রে পার্লে জি-র বিজ্ঞাপন দেখানো শুরু হয়। 'জি মানে জিনিয়াস'- এই ট্যাগলাইন জুড়ে দেওয়া হয়।
কোম্পানি ১৯৮২ সালে Parle Gluco-কে Parle-G হিসেবে পুনরায় প্যাকেজ করে।টিভি, রেডিও, সংবাদপত্রে পার্লে জি-র বিজ্ঞাপন দেখানো শুরু হয়। 'জি মানে জিনিয়াস'- এই ট্যাগলাইন জুড়ে দেওয়া হয়।
advertisement
6/7
৩০ বছরে মাত্র এক টাকা বেড়েছে এই বিস্কুটের দাম। ১৯৯৪ সালে।
৩০ বছরে মাত্র এক টাকা বেড়েছে এই বিস্কুটের দাম। ১৯৯৪ সালে।
advertisement
7/7
পার্লে জি-র দাম বাড়েনি ঠিকই। তবে ওজন কমেছে। প্রথমে ১০০ গ্রাম, তার পর ৯২, তার পর ৮৮ গ্রাম করে দেওয়া হয় প্রতি প্যাকেট। জানা যায়, ১৯৯৪ সাল থেকে এখনও পর্যন্ত পার্লে জি-র প্যাকেটের ওজন কমেছে প্রায় ৪৫ শতাংশ।
পার্লে জি-র দাম বাড়েনি ঠিকই। তবে ওজন কমেছে। প্রথমে ১০০ গ্রাম, তার পর ৯২, তার পর ৮৮ গ্রাম করে দেওয়া হয় প্রতি প্যাকেট। জানা যায়, ১৯৯৪ সাল থেকে এখনও পর্যন্ত পার্লে জি-র প্যাকেটের ওজন কমেছে প্রায় ৪৫ শতাংশ।
advertisement
advertisement
advertisement