৩০ বছরে দাম বেড়েছে মাত্র এক টাকা! তবু বাম্পার লাভ! 'পার্লে জি' নাম হল কী করে?
- Published by:Suman Majumder
- news18 bangla
Last Updated:
Parle G: ১৯৮২ সালে Parle Gluco-কে Parle-G হিসেবে পুনরায় প্যাকেজ করে।টিভি, রেডিও, সংবাদপত্রে পার্লে জি-র বিজ্ঞাপন দেখানো শুরু হয়। 'জি মানে জিনিয়াস'- এই ট্যাগলাইন জুড়ে দেওয়া হয়।
১৯০০ সালে একটি 12 বছরের ছেলে গুজরাতের ভালসাদ থেকে মুম্বাই চলে আসে।পেট চালানোর জন্য একটি দর্জির দোকানে কাজ শুরু করে সে। ৬ বছর পর অর্থাৎ ১৮ বছর বয়সে সেই ছেলেটি মুম্বাইয়ের গামদেবী এলাকায় দোকান শুরু করে। কাজ ভালই চলছিল। তবে সে কয়েক বছরের মধ্যে নিজের কোম্পানি ডি মোহনলাল অ্যান্ড কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করে ফেলল। সেই ছেলেটির নাম ছিল মোহনলাল দয়াল চৌহান। যিনি পরে পার্লে জি সংস্থার কর্ণধার হন।
advertisement
মোহনলাল দেখলেন, দেশের বেশিরভাগ মানুষ দরিদ্র। তাঁরা দামি ব্র্যান্ডের বিস্কুট কিনতে পারে না। তাই তিনি বাড়িতে তৈরি এবং সস্তা বিস্কুট তৈরি করার সিদ্ধান্ত নেন। যা শুধু ব্রিটিশরাই নয়, ভারতীয়রাও খেতে পছন্দ করল। জার্মানিতে গিয়ে বিস্কুট বানাতে শিখে ৬০ হাজারে একটি মেশিন কিনলেন। ১৯২০ সালে তাঁর পাঁচ ছেলে মানেকলাল, পীতাম্বর, নরোত্তম, কান্তিলাল এবং জয়ন্তীলাল পার্লে জি সংস্থায় যোগ দেন।
advertisement
ব্রিটিশ স্ন্যাক কোম্পানিগুলির বিস্কুটের বিকল্প হিসাবে বাজারে প্রবেশ করার পর পার্লে জি খুব দ্রুত সাফল্য পায়। কম দাম, দুর্দান্ত স্বাদের কারণে এটি ২০১১ সালে বিশ্বের সেরা বিক্রিত বিস্কুট হয়ে ওঠে। তবে এই সাফল্য সহজে আসেনি। স্বাধীনতার পর দুর্ভিক্ষের কারণে গম দুষ্প্রাপ্য হয়ে পড়ে। পার্লে গমের পরিবর্তে বার্লি থেকে বিস্কুট তৈরি শুরু করে। বিক্রি কমে গেলে কোম্পানি বিজ্ঞাপনের আশ্রয় নেয়। তখন থেকেই পার্লে গার্ল-এর জন্ম।
advertisement
advertisement
advertisement
advertisement