সেই ফাইল প্রকাশের পর কৃষ্ণা বসু বলেছিলেন, ‘ রাজ্য যদি নেতাজির গোপন ফাইল প্রকাশ করতে পারে৷ তাহলে কেন্দ্রীয় সরকার পারবে না কেন?'' গোপন ফাইল প্রকাশের পর মুখ্যমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানিয়ে নেতাজির প্রভ্রাতুষ্পুত্র চন্দ্র বসু বলেছিলেন, ‘ বিমান দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়নি নেতাজির ৷ তার প্রমাণস্বরূপ একটি চিঠিও আছে ফাইলে৷’
আবার ২০১৬ সালের ২৭ মে প্রকাশিত গোপন ফাইলে যে তথ্য প্রকাশিত হয়, তা অনুযায়ী, সেই সময় প্রশাসনের শীর্ষ কর্তারা শৌলমারী আশ্রমের এক ব্যক্তিকে নিয়ে নিয়মিত আলোচনা করতেন। প্রকাশিত হওয়া অন্য একটি ফাইলের নথিও বলছে, ভান্ডারির পরিচয়ে নেতাজি বিষয়ক যাবতীয় তথ্য সংরক্ষিত হয়েছিল অধুনা বিলুপ্ত একটি ফাইলে। বলা বাহুল্য, সরকারি সংরক্ষণাগার থেকে হারিয়ে যাওয়া সেই ফাইলের কোনও চিহ্ন আর অবশিষ্ট নেই।
যদিও এ বিষয়ে বিতর্কের সূত্রপাত ১৯৬৩ সালে প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুকে পাঠানো শৌলমারী আশ্রমের সম্পাদক রমণীরঞ্জন দাসের লেখা একটি চিঠি। ওই চিঠিতে নেতাজি বিষয়ক বেশ কিছু তথ্য ছিল বলে প্রকাশ্যে আসে। চিঠি পাওয়ার পর ১৯৬৩ সালের ২৩ মে তারিখে বিষয়টি উদ্ধৃত করে ইনটেলিজেন্স ব্যুরোর ডিরেক্টর বি এন মল্লিককে একটি অত্যন্ত গোপনীয় মেমো পাঠান প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য আপ্তসহায়ক কে রাম।