#কলকাতা: হিন্দু পুরাণ (Hindu Mythology) মতে হিন্দু দেবদেবী অসংখ্য৷ তার মধ্য মহাদেবের (Mahadev) আরাধনা এক অন্য জায়গায়, অন্য মাত্রার৷ শৈবরাই নন যেকোনও হিন্দু ঘরেই মহাদেবের (Shiv)অর্চনা হয়৷ এই মহাদেবের আলোকজ্যোতি আরাধনা এক আলাদা মাত্রা দেয়৷ মহাদেবের জ্যোতির্লিঙ্গ ১২ (12 Joytirlingo) টি জায়গায় রয়েছে৷ বহু প্রাচীনকাল থেকেই এই জ্যোতির্লিঙ্গের (Joytirlinga) আরাধনা হয়৷ দেশের বিভিন্ন স্থানের পবিত্র এই লিঙ্গের আরাধনা করা হয়৷ মহাশিবরাত্রির (Maha Shivratri) পুণ্য লগ্নে জেনে নিন সবকটি জ্যোতির্লিঙ্গের অপার মহিমা৷ মহাশিবরাত্রি (Shivratrri) তিথিতে মহাদেবের অর্চনা করলে কেটে যায় সব বাধা৷
সোমনাথ মন্দির
গুজরাতের সোমনাথ মন্দির শিবশক্তির জ্যোর্তিলিঙ্গগুলির মধ্যে অন্যতম পবিত্র মন্দির৷ কথিত রয়েছে এই মন্দির ১৬ বার ধ্বংস ও তার পুনর্নির্মাণ করা হয়েছে। দক্ষের অভিশাপে পড়ে চন্দ্র। তার জন্য চন্দ্রের আলো কমে যায়। ফলে সমস্ত বিশ্ব অন্ধকার হওয়ার ভয়ে, দক্ষের কাছে দরবার করেন বাকি দেবতারা। তখন দক্ষ জানান যে যদি মহাদেবের পুজো করেন চন্দ্র, তাহলেই তাঁর আলো ফিরে আসবে। এরপর চন্দ্র শিবের পুজো শুরু করল , তাঁর আলো ফিরে আসে, শিবশক্তির জ্যোতির আশীর্বাদে। এটাই গুজরাতের সোমনাথ মন্দিরের প্রচলিত কাহিনি।
মল্লিকার্জুন মন্দির
অন্ধ্র প্রদেশে রয়েছে মল্লিকার্জুন মন্দির। দক্ষিণ ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশ রাজ্যের শ্রীশৈলমে অবস্থিত শিবমন্দির। প্রচলিত কাহিনি অনুযায়ী একবার শিব, বিষ্ণু, ও ব্রহ্মার মধ্যে শ্রেষ্ঠত্ব নিয়ে বিতর্ক ওঠে, তখনই শিব- ব্রহ্মা ও বিষ্ণুকে একটি পরীক্ষায় ফেলেন। যার পর শিব ত্রিভুবনকে একটি অনন্ত আলোর লিঙ্গ বা জ্যোতির্লিঙ্গ দ্বারা বিভক্ত করেছিলেন। শিবের সেই রূপকে এই মন্দিরে পূজা করা হয় বলে শোনা যায়। অনেকে আবার বলছেন, শিব পার্বতীর কথা শুনে কার্তিকের রাগের প্রেক্ষিতেও শিবের জ্যোতির উদয়মানতাকে এখানে পুজা করা হয়।
বৈদ্যনাথ মন্দির
ঝাড়খন্ডের বৈদ্যনাথ মন্দির ঘিরেও রয়েছে অনেক পৌরাণিক কথা। একবার নিজের উপাসনায় শিবকে খুশি করেন রাবণ। প্রত্যুত্তরে শিবের কাছ থেকে একটি জ্যোতির্লিঙ্গ পান তিনি। শিব বলেন, যে এই লিঙ্গ লঙ্কা যাওয়ার আগে যেন রাবণ কোথাও না রাখেন। যেখানে রাখা হবে সেখানেই এটি প্রতিষ্ঠিত হবে। এরপর লঙ্কা ফেরার পথে রাবণ সেই লিঙ্গকে একটি ছোট বালকের হাতে দিয়ে , তা ধরে রাখতে বলেন। সেই বালক লিঙ্গটি রেখে দেন ভূমিতে, আর সেখানেই প্রতিষ্ঠিত হয় শিব মন্দির। পরে জানা যায় সেই বালকটি শিবপুত্র গণেশ। যে জায়গায় সেই জ্যোর্তিলিঙ্গ রাখা হয়, তার স্থান ছিল ঝাড়খণ্ডে ,যেখানে মন্দিরটি গড়ে উঠেছে।