জলবন্দি কলকাতায় ভয় ধরাচ্ছে ৭৮-এর স্মৃতি! কী হয়েছিল সেই সময়ে? পুজোর মুখে কেমন বৃষ্টি হয়েছিল সেবার?
- Published by:Soumendu Chakraborty
- news18 bangla
Last Updated:
টানা বৃষ্টিতে জলবন্দি গোটা কলকাতা। আর এই জলবন্দি হওয়ার পর থেকেই অনেকেই ১৯৭৮ সালের বন্যার কথা বারংবার মনে করাচ্ছেন।
সোমবার রাত থেকে পাঁচ- ছ ঘণ্টা টানা বৃষ্টিতে কার্যত জলের তলায় কলকাতা, সল্টলেক-সহ বিস্তীর্ণ অঞ্চল। আর এরপর থেকেই শহরবাসীর মনে উঁকি দিচ্ছে ৪৭ বছর আগেরকার স্মৃতি।
advertisement
ফলে, অনেকেই কলকাতা ডুবে যাওয়ার পরে অনেকেই ৭৮ সালের বন্যার স্মৃতি হাতড়াতে শুরু করেছেন।কিন্তু, অনেকেরই সেই সময়ের স্মৃতি ফিকে হয়ে এসেছে। এখন যাঁদের বয়স বছর পঞ্চাশের দিকে। তাঁদেরও সেই বৃষ্টির স্মৃতি ফিকে। কিন্তু প্রবীণদের অনেকেই সেই ভয়াবহ বৃষ্টির কথা এখনও ভোলেননি। এই বন্যার কথা ভোলেননি কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিমও। এ দিন বৃষ্টির জল বের করতে গিয়ে হতাশ হয়ে মেয়রও বলেন, ৭৮ সালের কথা মনে পড়ে যাচ্ছে।
advertisement
বৃষ্টির জেরে শুধু কলকাতাই নয়, হাওড়া, হুগলি, বাঁকুড়া, নদিয়া, মেদিনীপুর ও মুর্শিদাবাদ জেলার বড় অংশ জলের তলায় চলে যায়। কলকাতা বন্দরে নোঙর করা জাহাজগুলিও ঝড়-বৃষ্টির কবলে নড়বড়ে হয়ে পড়ে।শুধু বসতি এলাকা নয়, বন্যার জেরে পশ্চিমবঙ্গের শিল্পাঞ্চলেও তীব্র প্রভাব পড়ে। দুর্গাপুর স্টিল প্ল্যান্ট, বার্নপুরের আইআইএসসিও কারখানা থেকে পার্শ্ববর্তী কয়লাখনি এলাকা ডুবে যায় বৃষ্টির জলে। শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলি একের পর এক বন্ধ হয়ে পড়ে, হাজার হাজার শ্রমিকের জীবিকা অনিশ্চিত হয়ে যায়।
advertisement
প্রচণ্ড বৃষ্টিতে দামোদর নদের জলের পরিমাণ একসময়ে ৭.৫ লক্ষ কিউসেক ছাড়িয়ে যায়, অথচ বাঁধের মাধ্যমে বের করা সম্ভব হয়েছিল মাত্র এক লক্ষ কিউসেক জল। এর ফলেই দামোদরের পাঁচটি উপনদী একসঙ্গে ফুঁসে ওঠে। এই প্রবল জলোচ্ছ্বাসে ভেসে যায় নদীর দুই পাড়ের বিস্তীর্ণ এলাকা। সেই সময় জলস্তর কোথাও কোথাও ১৮ ফুট পর্যন্ত উঠে গিয়েছিল।
advertisement
advertisement
২৭ সেপ্টেম্বর জলস্তর দাঁড়ায় ৫ ফুটে, গবাদি পশুদের ঘণ্টার পর ঘণ্টা লড়াই করতে হয় স্রোতের সঙ্গে। ২৮ সেপ্টেম্বর রাস্তায় জল ১০ ফুটে গিয়ে দাঁড়ায়। গ্রাম ভেসে যায়। ছোট ছোট ডিঙি নৌকায় করে গ্রামের মানুষ আশ্রয় নেন পাকা বাড়িতে।২৯ সেপ্টেম্বর বৃষ্টি থামলেও জল বাড়তে থাকে। বিষাক্ত সাপের উপদ্রব শুরু হয়। অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে ভেসে যাওয়া গ্রামগুলিতে খিচুড়ি, গম, দুধগুঁড়ো, ডাল পৌঁছে দেওয়া হয় নৌকোয় চেপে।
advertisement
advertisement