Knowledge Story: অদ্ভূত সাগর, ডুবতে চাইলেও ডোবা যায় না, ভেসে থাকে সাঁতার না জানা মানুষও

Last Updated:
Knowledge Story: এই বিশ্বে এমন অনেক জিনিস রয়েছে যা সকলকে অবাক করে। তারমধ্যে অন্যতম হল মধ্য প্রাচ্যে অবস্থিত এই মৃত সাগর। এই সাগরে কেউ চেষ্টা করলেও ডুবতে পারে না।
1/6
এই বিশ্বে এমন অনেক জিনিস রয়েছে যা সকলকে অবাক করে। তারমধ্যে অন্যতম হল মধ্য প্রাচ্যে অবস্থিত এই মৃত সাগর। সাগর বলা হলেও এটি মূলত একটি হ্রদ। যার সর্বোচ্চ গভীরতা ৩০৪ মিটার। মৃত সাগরের পূর্ব সীমান্তে রয়েছে জর্ডান এবং পশ্চিম সীমান্তে যথাক্রমে ইসরাইল ও প্যালেস্টাইন।
এই বিশ্বে এমন অনেক জিনিস রয়েছে যা সকলকে অবাক করে। তারমধ্যে অন্যতম হল মধ্য প্রাচ্যে অবস্থিত এই মৃত সাগর। সাগর বলা হলেও এটি মূলত একটি হ্রদ। যার সর্বোচ্চ গভীরতা ৩০৪ মিটার। মৃত সাগরের পূর্ব সীমান্তে রয়েছে জর্ডান এবং পশ্চিম সীমান্তে যথাক্রমে ইসরাইল ও প্যালেস্টাইন।
advertisement
2/6
বলা হয়, প্রায় তিন মিলিয়ন বছর পূর্বে বর্তমান জর্দান নদী, মৃত সাগর এবং ওয়াদি আরাবাহ অঞ্চল লোহিত সাগর এর জলে বারবার প্লাবিত হত। এর ফলে একটি সরু উপসাগরের সৃষ্টি হয় । উপসাগরটি জেজরিল উপত্যকায় একটি সরু সংযোগের মাধ্যমে লোহিত সাগরের সঙ্গে যুক্ত ছিল।
বলা হয়, প্রায় তিন মিলিয়ন বছর পূর্বে বর্তমান জর্দান নদী, মৃত সাগর এবং ওয়াদি আরাবাহ অঞ্চল লোহিত সাগর এর জলে বারবার প্লাবিত হত। এর ফলে একটি সরু উপসাগরের সৃষ্টি হয় । উপসাগরটি জেজরিল উপত্যকায় একটি সরু সংযোগের মাধ্যমে লোহিত সাগরের সঙ্গে যুক্ত ছিল।
advertisement
3/6
প্রাকৃতিক তত্ত্ব অনুযায়ী প্রায় ২ মিলিয়ন বছর পূর্বে উপত্যকা এবং ভূমধ্যসাগরের মধ্যবর্তী স্থলভাগ যথেষ্ট উচ্চতা লাভ করে। ফলে মহাসাগরের প্লাবনে এই অঞ্চলে সৃষ্ট উপসাগরটি পরিবেষ্টিত হয়ে হ্রদে পরিণত হয়। এই সাগরের অদ্ভূত বিষয় হল কেউ ডুবতে চাইলেও এখানে ডুবতে পারে না। সাঁতার না জানা মানুষও ভেসে থাকে।
প্রাকৃতিক তত্ত্ব অনুযায়ী প্রায় ২ মিলিয়ন বছর পূর্বে উপত্যকা এবং ভূমধ্যসাগরের মধ্যবর্তী স্থলভাগ যথেষ্ট উচ্চতা লাভ করে। ফলে মহাসাগরের প্লাবনে এই অঞ্চলে সৃষ্ট উপসাগরটি পরিবেষ্টিত হয়ে হ্রদে পরিণত হয়। এই সাগরের অদ্ভূত বিষয় হল কেউ ডুবতে চাইলেও এখানে ডুবতে পারে না। সাঁতার না জানা মানুষও ভেসে থাকে।
advertisement
4/6
তবে এর পেছনে রয়েছে বৈজ্ঞানিক কারণও। হিসাব বলছে জলে দ্রবীভূত নুনের পরিমাণ ৩৪ শতাংশ। যা সমুদ্রের জলের চেয়ে ৮.৬ গুণ বেশি। যা জলটিকে পরিস্কার জলের মত অতটা হাল্কা রাখেনি। জলকে ভারী করে দিয়েছে। আর তা এতটাই ভারী যে মানুষের দেহ তার চেয়ে হাল্কা।
তবে এর পেছনে রয়েছে বৈজ্ঞানিক কারণও। হিসাব বলছে জলে দ্রবীভূত নুনের পরিমাণ ৩৪ শতাংশ। যা সমুদ্রের জলের চেয়ে ৮.৬ গুণ বেশি। যা জলটিকে পরিস্কার জলের মত অতটা হাল্কা রাখেনি। জলকে ভারী করে দিয়েছে। আর তা এতটাই ভারী যে মানুষের দেহ তার চেয়ে হাল্কা।
advertisement
5/6
মৃত সাগরের জলে মিশে থাকা লবণে ১৪% ক্যালসিয়াম ক্লোরাইড, ৪% পটাশিয়াম ক্লোরাইড, ৫০% ম্যাগনেসিয়াম ক্লোরাইড এবং ৩০% সোডিয়াম ক্লোরাইড রয়েছে। এই পানির ঘনত্ব ১.২৪ কেজি/লিটার। এই সকল উপাদানের কারণে ডেড সি’র জল পৃথিবীর অন্যান্য স্থানের জলের থেকে অনেক ভারি। তাই এখানে কেউ চেষ্টা করলেও ডুবতে পারে না।
মৃত সাগরের জলে মিশে থাকা লবণে ১৪% ক্যালসিয়াম ক্লোরাইড, ৪% পটাশিয়াম ক্লোরাইড, ৫০% ম্যাগনেসিয়াম ক্লোরাইড এবং ৩০% সোডিয়াম ক্লোরাইড রয়েছে। এই পানির ঘনত্ব ১.২৪ কেজি/লিটার। এই সকল উপাদানের কারণে ডেড সি’র জল পৃথিবীর অন্যান্য স্থানের জলের থেকে অনেক ভারি। তাই এখানে কেউ চেষ্টা করলেও ডুবতে পারে না।
advertisement
6/6
এছাড়া এই মৃত সাগরের জলে লবণের পরিমাণ এতটাই বেশি যে কোনও মাছ বা জলজ প্রাণিও দেখা যায় না। বলা চলে কোনও প্রাণ সৃষ্টির উপযোগী নয়। সেই কারণেই এর নাম ডেড সি। তবে এখানে পর্যটকরা যায়। এবং সেখানে অদ্ভূতভাবে ভেসে থাকার ছবি সামনে আসে। বৈজ্ঞানিক কারণ থাকলেও এই সাগর অবাক করে সকলকেই।
এছাড়া এই মৃত সাগরের জলে লবণের পরিমাণ এতটাই বেশি যে কোনও মাছ বা জলজ প্রাণিও দেখা যায় না। বলা চলে কোনও প্রাণ সৃষ্টির উপযোগী নয়। সেই কারণেই এর নাম ডেড সি। তবে এখানে পর্যটকরা যায়। এবং সেখানে অদ্ভূতভাবে ভেসে থাকার ছবি সামনে আসে। বৈজ্ঞানিক কারণ থাকলেও এই সাগর অবাক করে সকলকেই।
advertisement
advertisement
advertisement